Sunday 22 December 2024
2024-09-18
শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না: নওসাদ সিদ্দিকী নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না। গণপিটুনিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে সকল পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাচ্ছেন, লক্ষ্য করে দেখবেন প্রত্যেকেই মুসলমান-দলিত-আদিবাসী, পিছড়ে বর্গের মানুষ। তাদের বেশিরভাগই অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত। তারাই টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙা বিডিও কার্যালয় সন্নিকটে এক জনসভায় একথা বলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। আমডাঙা কে এস এইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে এই সভা আয়োজিত হয়। নওসাদ সিদ্দিকী তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ১০ হাজার মাদ্রাসা তৈরির প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল? সেই মাদ্রাসাগুলি তো হলই না। যে ৬১৪টি মাদ্রাসা আছে তার পরিকাঠামোর উন্নতিও সরকার করছে না। সেখানে শূন্যপদ পূরণ করছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নয়ন বলতে শুধু নীল-সাদা রঙ করা নয়। শিক্ষাদানের পরিবেশের উন্নতি, শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত বজায় রাখাকেও বোঝায়। সেটা করতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিনি আরো বলেন, আমরা হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত উন্নত সমাজ চাই। আমরা চাই শিক্ষিত সমাজ। এই সমাজের মানুষকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তারা সহজেই হিংসার শিকার হবে না। সেইজন্য মাদ্রাসা পরিচালন সমিতিতে আইএসএফের প্রতিনিধি থাকলে সুষ্ঠু, দুর্নীতিমুক্ত ভাবে মাদ্রাসার কাজকর্ম চলবে। এই সভায় তিনি আবারও কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে হওয়া চিকিৎসকের ওপর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। আমডাঙা কেএসএইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন আগামী ২২ তারিখ, রবিবার। এই নির্বাচনে আইএসএফের ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। ৫ নম্বরে মোহঃ ফারুক উদ্দিন মণ্ডল, ৬ নম্বরে নূর হোসেন মণ্ডল, ৭ নম্বরে হাবিবুর রহমান আকুঞ্জি, ৮ নম্বরে সাইদুল ইসলাম, ১০ নম্বরে মোহঃ আব্দুল আজিম ও মহিলা সংরক্ষিত ২ নম্বরে সারিকা পারভীন বিবি প্রার্থী রয়েছেন। আজকের এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, দলের উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি তাপস ব্যানার্জি, দলের রাজ্য কমিটির সদস্য কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, জামির হোসেন প্রমুখ সহ আমডাঙ্গা অঞ্চলের আইএসএফ নেতৃত্ব।
2024-09-18
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: ডিভিসি সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। তাতে হুগলি ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। জলের তলায় হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির জেরে কানায় কানায় পূর্ণ দামোদর। তার উপর দফায় দফায় জল ছেড়েছে ডিভিসি। অভিযোগ যে ডিভিসি জেলা প্রশাসন, সেচ বিভাগ কাউকেই আগাম সতর্ক করেনি। আজকের এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এটা তো করা উচিত। এই গাফিলতির জন্য রাজ্য সরকারের ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত। এই জল ছাড়ার জন্য হুগলীর পুরশুড়া, তারকেশ্বর, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা ২ নম্বর ব্লক , এমনকি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালেও জল ঢুকেছে। অবিলম্বে সরকারের ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানো দরকার। অভিযোগ উঠেছে, হুগলির কিছু এলাকায় সরকারী ত্রাণের কিছুই নাকি মিলছে না। মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারে ও ত্রাণ সাহায্য পান সেটা সরকারকে দেখার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। এছাড়া আইএসএফ রাজ্য কমিটি বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য আশপাশের এলাকার পার্টি কর্মী-সমর্থকদের আবেদন করছে।
2024-09-17
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বিশ্বনবীর আগমনের দিন অর্থাৎ ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মিলাদুন্নবী জালসা অনুষ্ঠিত হলো হুগলির বৈদ্যবাটি চৌমাথা মুসলিম পাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে। বিশাল এক জুলুস আসে বৈদ্যবাটি মাঠপাড়া মসজিদের ইমাম সাহেব সহ ও সকল মহাল্লাবাসী তাদের জন্য যত কিঞ্চিত তাবারকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ও সুন্দর ভাবে বন্টন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে কচিকাঁচা ছেলেমেয়েদের মধ্যে নাতে রাসুল ও কেরাত প্রতিযোগিতা হয়। তাদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারকে বিশেষ পুরস্কার ছাড়াও সকল প্রতিযোগিদের শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়। ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে একটা আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। মসজিদ কমিটির সদস্যগন ও সম্পাদক সায়েম আলি খুব সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠানটি তদারকি করেন। মাগরিব বাদ মিলাদুন্নবী জালসায় বক্তব্য রাখেন অলবেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি ও ফুরফুরা শরীফ এর ভুমিপুত্র আবু আফজাল জিন্না সাহেব। তাঁর বক্তব্যে নবিপাক (সাঃ) এঁর 63 বছরের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বলা বাহুল্য প্রফেট হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা ( সঃ) ছিলেন একজন মহামানব মহাপুরুষ। সারা বিশ্ববাসীর কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন, এক কথায় তাঁর জীবনের আদর্শ, মানবিকতার কথা বক্তব্যে তুলে ধরেন। দেশবাসীর কল্যান কামনা করে দোয়া প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
2024-09-12
সোনামুখীতে ব্লক জমিয়তের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: আজ ১২ ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বোন্দলহাটি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সোনামুখী ব্লক জমিয়তের মিটিং অনুষ্ঠিত হলো। উক্ত মিটিং উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা জমিয়তের সভাপতি শেখ মোজাহারুল ইসলাম সাহেব, ব্লক সভাপতি সৌরভ সাহেব, এলাকার বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামগন এবং প্রতিটি মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন গণ। আজকের মিটিংয়ে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আজকের মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয় ছিল ব্লক কমিটির মজবুতিকরণ, ব্লকের তহবিল বৃদ্ধি। আগামীতে সোনামুখী ব্লকের তত্ত্বাবধানে পুরো বাঁকুড়া জেলা জুড়ে রাজ্য জমিয়তের সভাপতি চৌধুরী সাহেবকে নিয়ে প্রকাশ্য জমিয়তের সভা করার বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। জমিয়তের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাঁকুড়া জেলা সভাপতি প্রতিটি ইমাম সাহেবের কাছে মসজিদে জুম্মার দিনে প্রচার করার আবেদেন করেন এবং ওয়াকফ ২০২৪ সংশোধন বিল সরকার পাস করাতে না পারে তার জন্য আপনার ইমেলের মাধম্যে মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য আবেদন করেন ।
2024-09-11
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: গণউদ্যোগে গড়ে ওঠা হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে এবার শুরু হল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়া। প্রসঙ্গত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দান করা জমিতে ও সাধারণ মানুষের দানে এবং শ্রমজীবী হাসপাতালের আদর্শে গড়ে ওঠে হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল। তিরিশ শয্যার এই হাসপাতালে গত ১৬ এপ্রিল ২০২৩ থেকে শুরু হয় রুগী ভর্তি। এতোদিন এখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুযোগ ছিল না। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হল এই সুবিধা। প্রথম রুগী ছিলেন স্থানীয় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা ক্ষেতমজুর মনোরঞ্জন রায়। মনোরঞ্জন বাবু প্রস্টেটের সমস্যায় ভুগছেন। আচমকা রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রা কমে যায়। ৯ তারিখ ভর্তি হন হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে। শ্রমজীবী ব্লাড সেন্টারের সহযোগিতায় দেওয়া হয় দু ইউনিট রক্ত। মনোরঞ্জনবাবুর পুত্র বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমরা পরের জমিতে ক্ষেত মজুরের কাজ করি। বাবা মা ও ছয় বনের সংসার, বোনেদের বিয়ে হয়েছে। আমিও খুব কষ্ট করে মাস্টার্স ডিগ্রী করেছি সংস্কৃতে। বি এডও করেছি। চাকরি জোটেনি। ক্ষেত মজুরি করেই সামান্য রোজগার করি। স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়ে খুব উপকৃত হলাম। হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালের সম্পাদক সন্দীপন চ্যাটার্জি বলেন, শ্রমজীবী হাসপাতালের আদর্শে আমরা উদ্বুদ্ধ হয়ে গড়ে তুলেছি হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল। এই হাসপাতালও শ্রমজীবী হাসপাতালের মতোই প্রকৃত খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু যাঁদের প্রকৃত খরচও দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প খুবই সহায়ক হবে। শ্রমজীবী হাসপাতালের সহসম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করে হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামীণ মানুষের নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে উঠে অতি অল্প সময়ে এলাকায় স্বাস্থ্য মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে তা সাধুবাদযোগ্য। এভাবেই শ্রমজীবী ভাবধারা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এবার যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে, তার সুফল অবশ্যই গ্রামীণ মানুষজন পাবেন। শ্রমজীবী হাসপাতালের সম্পাদক ডাক্তার অনিল সাহা বলেন, আমাদের মূল শ্লোগানই হল, আমাদের স্বাস্থ্য আমরাই গড়ব। সেই লক্ষ্যেই শ্রমজীবীর পথচলা। এবার সেই পথ আরও সুগম হবে। হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল নিয়ে উচ্ছসিত রুগীর বাড়ির লোকজনও। প্রতিদিনই নানা বহির্বিভাগ চলে, আসছেন রুগীরা। অনেকে ভর্তি হচ্ছেন অন্তর্বিভাগে। তবে সেবিকা নন্দিনী ভট্টাচার্য বলেন, এই হাসপাতালে যাতায়াতের বন্দোবস্তটি আর একটু উন্নত হলে ভাল হয়। সরকার যদি গণপরিবহনের দিকে একটু নজর দেন তাহলে রুগী ও রুগীর বাড়ির লোকের বড় উপকার হয়।
2024-09-11
লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইনের বাড়ুইপাড়া রেল স্টেশন টির রেলগেট টি মারনযন্ত্রায় পরিনত হয়েছে দৈনন্দিনকার মেনুতে।এই রেলগেট মানুষের জীবন রক্ষা করা যেমন, তেমন নিজেই এখন মানুষের জীবন নেবার উপক্রম হয়ে পড়েছে। কারন গেট নামলেই প্রায় আধ ঘন্টা চল্লিশ মিনিট পর গেট খুলবে। কখনো খুব যার ভাগ্য ভালো দশ পনেরো মিনিটে গেট খোলা পেয়ে থাকে। দীর্ঘক্ষণ এমন গেট পড়ে থাকার কারনে দুদিকেই বহু গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। জরুরী পরিষেবার গাড়ি, এম্বুলেন্স, ইত্যাদি। আবার কখনো এমন হয় গেট তোলার পর গাড়ি পাশ করাতে হিমশিম খেতে হয় আর পি এফ কে। মানে, পাঁঠাও কাঁপছে কামার ও কাঁপছে। বলার কারন গাড়ি আগে পাশ করাবে না আগে ট্রেন পাশ করাবে? কয়েক বছর ধরেই দাবি উঠেছে উড়ালপুলের। আমার মনে হয় যতদিন পর্যন্ত উড়ালপুল না হয় ততদিন পর্যন্ত বিশেষ এক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক বাড়ুইপাড়ার আর পি এফ সহ দায়িত্বশীল প্রশাসন, একটা নির্দিষ্ট টাইম করে গেট বন্ধ ও নির্দিষ্ট টাইম করে গেট তোলার ব্যবস্থা করা। তাহলে বিশাল লম্বা গাড়ির লাইন পড়বে না, কম গাড়ি দ্রুত পাশ হয়ে যাবে। আর গেট মাস্টার সবুজ সিগন্যাল দেবে টাইম বুজে, আবার টাইম বুজে লাল সিগন্যাল দেবে। এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত ক্ষেত্রে একটু হলেও স্বস্তি পাবে। কারন ইতিপূর্বে আমি বেশ কয়েকবার বারুইপাড়ার রেল গেটের দুরবস্থার কথা লেখালেখি করেছিলাম। আবার এই রেলগেটের করুন অবস্থার কথা। সাধারণ মানুষের সুবিধার্তে আমার মতামত প্রকাশ করলাম যদি সহমত পোষণ করেন, বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে বেশি বেশি শেয়ার ও কমেন্টের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করুন, যাতে করে একটা কিছু সুরাহা হয়। লেখক পরিচিতি আবু আফজাল জিন্না। সভাপতি,আ.বা.মা.
2024-09-11
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: রাজ্য জমিয়েত উলামা ই হিন্দের নির্দেশে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জমিয়েতের উদ্যোগে গত ৮ই সেপ্টেম্বর বসিরহাটের খোলাপোতায় এহসানিয়া মাদ্রাসায় জেলার সমস্ত জোন ও ব্লকের পদাধিকারিক ব্যক্তিবর্গ দের নিয়ে সকালে সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় এজেন্ডা মোতাবেক নব নিযুক্ত জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হযরত মাওলানা নজরুল ইসলাম সাহেবকে বরণ করা হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জমিয়ত উলামা- ই-হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম সাহেব। সমগ্র সভাটি পরিচালনা করেন জেলা সম্পাদক হযরত মাওলানা কাজী আরিফ রেজা সাহেব। বিভিন্ন জোন ও ব্লক এর পদাধিকারীক ব্যক্তিবর্গ তাদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। পরিশেষে রাজ্য সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম সাহেব তার মূল্যবান বক্তব্য রাখেন এবং জেলা সম্পাদক হাফেজ মাওলানা কাজী আরিফ রেজা সাহেব সহ তার সম্পাদক মন্ডলীর প্রত্যেকটা সদস্যকে এবং সভাপতি কে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন। পরিশেষে সভাপতি সাহেব দোয়া করে সভা সমাপ্ত করেন।
2024-09-08
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: ঘটনা গত পরশুর দুপুরের। পূর্ব বর্ধমান পুলিশ জেলার কাটোয়া থানা এলাকার। চার বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে তার বাড়ির কাছের কৃষিজমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল একা। সেই সুযোগে সীমন্ত মাঝি নামের এক স্থানীয় শ্রমিক জোর করে মেয়েটিকে টেনে নিয়ে যায় নিজের ঘরে, এবং নির্মম যৌন অত্যাচার চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে মেয়েটি বাবা-মাকে জানায় ঘটনাটা। গ্রামবাসীরা চড়াও হন ধর্ষক সীমন্ত মাঝির বাড়ি। বিপদ আন্দাজ করে ততক্ষণে সীমন্ত গা-ঢাকা দিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জমা পড়ে বিকেলে। শুরু হয় অভিযুক্তের খোঁজে চিরুনিতল্লাশি। জানা যায়, সীমন্তের পৈতৃক বাড়ি কাটোয়ার আকাইহাট এলাকায়। সেখানে কৃষিজমি সংলগ্ন জঙ্গলে তাকে ঢুকতে দেখা গেছে বিকেলের দিকে। পুরো জঙ্গল ঘিরে ফেলা হয়, যে প্রক্রিয়ায় অকুণ্ঠ সাহায্য করেন স্থানীয় মানুষ। অভিযুক্তের অবস্থান চিহ্নিত করতে পুলিশের তরফে জঙ্গলের উপরে ওড়ানো হয় একাধিক ড্রোন। ব্যবহার করা হয় ড্র্যাগন লাইট। অবশেষে একটি পোড়ো বাড়ির ছাদ থেকে ধরা পড়ে নরপশু সীমন্ত। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আমরা তদন্ত শেষ করব এই মামলার। অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি সুনিশ্চিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করব আমরা।
2024-09-07
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: ঘটনা মাত্র ১৩ মাস আগের। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মাটিগাড়া থানার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁর ১৬ বছরের স্কুলছাত্রী মেয়ে ২১ অগস্ট রোজকার মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল সকাল সাড়ে ৯ টায়। আর বাড়ি ফেরেনি, এবং মেয়েটির মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়েছে বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ রবীন্দ্রপল্লীনগরের কাছে মোটাজোল নামের এক নির্জন এলাকায়। তদন্তে নামে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। তদন্তভার পান মাটিগাড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর পরেশ বর্মণ।ময়নাতদন্তে জানা যায়, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। শরীরে ২১ টি আঘাতের চিহ্ন। তদন্তে নেমে মেয়েটির স্কুল থেকে শুরু করে দেহ আবিষ্কারের জায়গা পর্যন্ত সমস্ত সিসিটিভি খুঁটিয়ে দেখে তদন্তকারী অফিসার পরেশ চিহ্নিত করেন মাটিগাড়ার লেনিন কলোনি নিবাসী মহম্মদ আব্বাসকে। যার সাইকেলের পিছনে বসে মেয়েটি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে, এই ফুটেজ হাতে আসে পুলিশের। আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয় দ্রুত। জেরার মুখে সে কবুল করে অপরাধ। জানায়, স্কুল থেকে ফেরার সময় মেয়েটিকে সাইকেলে লিফট দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সে। তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছতে পারবে, এই সরল বিশ্বাসে মেয়েটি রাজিও হয়ে যায়। এরপর ওই আব্বাস মেয়েটিকে রবীন্দ্রপল্লীনগরের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, এবং তারপর খুন। মেয়েটি বাধা দিতে চেয়েছিল প্রাণপণ, আব্বাস ইট দিয়ে বারবার মেয়েটির মাথায় আঘাত করে চিরতরে চুপ করিয়ে দেয়। এই নারকীয় ঘটনার সুবিচার যাতে মেয়েটির পরিবার পায়, সে বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার তো বটেই, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ টিম তদন্তের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনারেটের সিপি সি. সুধাকর স্বয়ং। সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ সংহত করে জমা দেওয়া হয় নিশ্ছিদ্র চার্জশিট। তারপর শুরু হয় ট্রায়াল মনিটরিং বা বিচারপ্রক্রিয়া বিষয়ে সমন্বয়। মামলার বহুপ্রতীক্ষিত রায় বেরিয়েছে আজ। মাননীয় আদালত অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। ঘটনার ১৩ মাসের মধ্যে ফাঁসির আদেশ। তদন্তকারী অফিসার পরেশ বর্মণ এবং তদন্তপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের প্রতিটি সহকর্মীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। মেয়েটি বিচার পেয়েছে, এটুকুই সান্ত্বনা আমাদের। অভিযুক্ত চরম শাস্তি পেয়েছে, এটুকুই প্রাপ্তি।
2024-09-04
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: এক সপ্তাহের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিক সাবির মল্লিকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে। না হলে শ্রম দপ্তর ঘেরাও করা হবে বলে অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) চরম হুঁশিয়ারি দিল। আজ কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলের পক্ষ থেকে এক অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএসএফ চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী হরিয়ানায় গো রক্ষা সমিতির হাতে গণপ্রহারে নিহত সাবির মল্লিকের পরিবারের প্রতি রাজ্য সরকার দায়সারা মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এখনো পর্যন্ত হরিয়ানায় রাজ্য সরকারের কোন প্রতিনিধি পাঠানো হয়নি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তৈরি যে বোর্ড আছে, তাদেরও কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পরিবারকে একটা চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই চাকরি স্থায়ী নাকি অস্থায়ী, সেটা বলা হচ্ছে না। এটা রাজ্য সরকারকে সুষ্পষ্টভাবে বলতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও ঐ দলেরই নেতৃত্বে চলা হরিয়ানা সরকারকেও তুলোধোনা করেন নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আজও হরিয়ানার ফরিদাবাদে আরিয়ান মিশ্র নামে এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে গোরু পাচারকারী সন্দেহে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কোন বর্বর রাজত্বে বাস করছি আমরা? এই হত্যাকাণ্ডেরও বিচার দাবি করছি। তিনি বলেন, হরিয়ানা সরকারকে অবিলম্বে সাবির মল্লিকের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই বিষয়ে যাতে কোন গাফিলতি না থাকে সেটা দেখতে হবে। সামগ্রিক বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই দেখতে হবে। শুধু মেকি দরদ দেখানো নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্র ও হরিয়ানা সরকারের ওপর উপযুক্ত চাপ সৃষ্টি করতে হবে বলে তিনি দাবি জানান। নওসাদ সিদ্দিকী আরো বলেন, রাজ্য সরকার কোনধরণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সহ্য করতে পারছে না। তা না হলে গতকাল হাওড়ায় স্টুডেন্ট ফ্রন্টের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর ঐরকম হিংসাত্মক আচরণ হল কেন? পুলিশ আধিকারিকদের মুখের ভাষাও ছিল অতি জঘন্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর মদতপুষ্ট বলেই পুলিশের একাংশ এইধরণের অশোভনীয়, অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে আইএসএফ চেয়ারম্যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরা গণপিটুনিতে মারা যাচ্ছেন অথচ তিনি নিশ্চুপ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন কলকাতায় তিলোত্তমার নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড নিয়ে শুধু এই রাজ্য নয়, গোটা দেশ এমনকি বিদেশেও তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু রাহুল গান্ধীকে কলকাতায় এসে কোন বিক্ষোভ সভা করতে দেখা গেল না। এমনকি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও তিনি দেখা করলেন না। নওসাদ সিদ্দিকী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য সাহাবুদ্দিন গাজী। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এই সমাজটাকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন। অথচ বিপদের সময় হাত গুটিয়ে বসে থাকেন।এই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে আরজিকর কান্ডের দ্রুত বিচারের জন্য সোচ্চার হন এই বিক্ষোভ অবস্থানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, আবদুল মালেক মোল্লা ছাড়াও সাহাদাত শাহ্, সুফিয়া বেগম প্রমুখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন পার্টির রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি তাপস ব্যানার্জি, উপস্থিত ছিলেন মাহিউদ্দিন আহমেদ, মুসা কালামুল্লাহ, বাহাউদ্দীন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
2024-09-03
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: গোরুর মাংস খাওয়ার অজুহাতে হরিয়ানায় গো-রক্ষক সমিতির লোকেদের হাতে নিহত সাবির মল্লিকের বাড়িতে আজ আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে নওসাদ সিদ্দিকী রাজ্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সব বিষয়েই তো মন্তব্য করেন। কিন্তু কয়েকদিন কেটে গেলেও এই গরিব মুসলমান যুবকটির জন্য তিনি কোন সমবেদনা জ্ঞাপন করেননি। তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে শুনছি। কিন্তু টাকাটা কে দিলেন, সেটা পরিষ্কার নয়। বোঝা যাচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। সরকারের শ্রম দপ্তর হাত গুটিয়ে বসে আছে কেন? তিনি বলেন, আইএসএফের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় তিনি নিজে আওয়াজ তুলেছিলেন বলে পরিযায়ী শ্রমিকদের আলাদা বোর্ড তৈরি হল। সেই বোর্ডের ভূমিকা কি? বোর্ড তার ভূমিকা পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে তিনি মন্তব্য করেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কোন প্রতিনিধিদল হরিয়ানায় গেল না? নওসাদ সিদ্দিকী প্রশ্ন তোলেন। পরিবারের কাউকে চাকরির দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই চাকরিটা স্থায়ী না চুক্তিভিত্তিক সেটা খোলসা করে বলা দরকার। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, হরিয়ানায় গো মাংস নিষিদ্ধ। মুসলমান বাস করেন মাত্র পাঁচ শতাংশ। সেখানে গোরুর মাংস কোথায় পাওয়া যায়? সেই মাংস খাওয়ার মিথ্যা অজুহাতে এই তরতাজা যুবকটিকে মেরে ফেলা হল। নওসাদ সিদ্দিকী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, মুসলমানদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকবেন অথচ তাদের বিপদের সময় পাশে থাকবেন না। এই ভণ্ডামি বন্ধ করুন। রাজ্য বিজেপিকেও তিনি এক হাত নিয়ে বলেন, বিভেদকামী রাজনীতি এই বাংলার মাটিতে করা থেকে বিরত থাকুন। তৃণমূল ও বিজেপির বাইনারি রাজনীতি আজ ধরে ফেলেছে মানুষ। রাস্তায় আজ লক্ষ, লক্ষ মানুষ নেমে এসেছেন। এই ভণ্ডামির রাজনীতি শেষ করতে হবে। নওসাদ সিদ্দিকী আরো বলেছেন, নিহত সাবির মল্লিকের একটি দুই বছর বয়সের শিশু কন্যা রয়েছে। পরবর্তী কালে এই পরিবার চাইলে এই শিশুর যাবতীয় পড়াশোনার খরচ আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকী বহন করবেন বলে ঐ পরিবারকে জানানো হয়েছে।
2024-09-02
নিউজ ডেক্স, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: গতকাল গভীর রাতে কলকাতার নিউটাউনে নাসির উদ্দিন মণ্ডল গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন। খুন হয়ে যাওয়া এই ব্যক্তির বাড়ি ভাঙড়ের পোলেরহাট থানার টোনাউড়িয়া পাড়ায়। এই খুনের ঘটনা থেকে প্রমানিত হচ্ছে যে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তাটুকুও অবহেলিত। আজ আইএসএফ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী মৃতের পরিবারের সাথে দেখা করে তাঁদের পাশে সবসময় থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে এই খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে চিহ্নিত করেছে বলে তিনি জানান। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা সহ যে কোন প্রয়োজন পরিবার চাইলে তিনি তা প্রদান করবেন বলে পরিবারটিকে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, পুলিশ যদি তদন্তে গড়িমসি করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে যাওয়া হবে। তবে আশা করা যায় পুলিশ শীঘ্রই এই তদন্তের কাজ শেষ করে খুনীদের গ্রেপ্তার করবে। বিধায়কের সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সদস্য রাইনুর হক মোল্লা, স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যা সহ আইএসএফের আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
2024-08-31
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: তিন সপ্তাহ গড়িয়ে গেল। ন্যায়বিচার এখনও অধরা। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের ভেতর গভীর রাতে যে চিকিৎসক-ছাত্রী নৃশংসভাবে ধর্ষিত ও খুন হয়েছেন তার তদন্ত চলছেই। কিন্তু মাঠে-ময়দানে-রাস্তায় আন্দোলন, বিক্ষোভের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করলেও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের এক স্বর জাস্টিস ফর আর জি কর। সেই ন্যায়বিচারের জন্য আজ মহানগরী কলকাতায় সুবিশাল প্রতিবাদ মিছিলে পথ হাঁটলেন কয়েক হাজার মানুষ। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে গ্রামবাংলা থেকে মানুষের ঢল নেমেছিল শিয়ালদা চত্বরে। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির মফস্বল শহর থেকে প্রচুর মানুষও। ছিলেন অসংখ্য মহিলাও। হঠাৎ ধেয়ে আসা ক্ষণিকের বৃষ্টিও হার মেনেছে। মানুষগুলি পথ হেঁটেছেন। গন্তব্য শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়। আর জি কর কাণ্ডের ন্যায়বিচার ছাড়াও মিছিল থেকে আদিবাসী তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদার খুনেরও বিচার চাওয়া হয়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অরাজকতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবী ওঠে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিশাল এই মিছিলটি শ্যামবাজার পাঁচমাথার কাছে এলে পুলিশ গতিরোধ করে। শ্লোগানে, শ্লোগানে উদ্বেলিত এই মিছিল পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কিছুটা এগিয়েও যায়। এখানেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তিন সপ্তাহ কেটে যাবার পরেও এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের কোন কিনারা না হওয়াকে তিনি তীব্র সমালোচনা করেন। রাজ্য সরকার অপরাধীদের আড়াল করছেও বলে তাঁর অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর ধর্ষণের শাস্তির প্রশ্নে নতুন আইন নিয়ে আসার ঘোষণাকে তিনি রাজনৈতিক চমক বলে অভিহিত করেন। মানুষের তীব্র ক্ষোভ থেকে বাঁচতে তিনি এই কথা বলছেন। ধর্ষণের শাস্তি তো দেশে চালুই আছে, আবার নতুন করে আইনের কি আছে? তৃণমূল কংগ্রেসের পোষা গুণ্ডা, মস্তান দিয়ে এই গণজাগরণকে যদি রুখতে যান মুখ্যমন্ত্রী, তার ফল ভালো হবে না বলে আইএসএফ চেয়ারম্যান হুঁশিয়ারি দেন। পাশাপাশি সিবিআই-এর শম্বুক গতিতে চলা তদন্তেরও কড়া সমালোচনা করেন নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমরা তাদের তদন্তের গতি প্রকৃতির দিকে নজর রাখছি। কয়েকদিন পরেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই হাজিরা দেবে। প্রয়োজনে প্রতিবাদ মিছিলের অভিমুখ সিবিআই দপ্তরের দিকেও ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরে, নওসাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে রাজ্য কমিটির একটি প্রতিনিধিদল আর জি কর হাসপাতালের গেট পর্যন্ত যায়। কিন্তু পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে ঢুকতে না দিলে, ধর্মঘটী চিকিৎসকদের কয়েকজন গেটের বাইরে এসে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আইএসএফ ধর্মঘটী চিকিৎসকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। আজ মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন নওসাদ সিদ্দিকী ছাড়াও দলের রাজ্য কমিটির কার্যকারী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক, রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি ছাড়াও রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষে সাহাবুদ্দিন গাজী, তাপস ব্যানার্জি, আবদুল মালেক মোল্লা, লক্ষীকান্ত হাঁসদা, কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, সাওন দাস, জুবি সাহা প্রমুখ।
2024-08-21
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ওপর বর্বরোচিত ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ও পার্শ্ববর্তী ওড়িশায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির আহ্বানে বহরমপুরে আজ একটি প্রতিবাদ মিছিল হয়। মিছিলটি শহরের টেক্সটাইল মোড় থেকে জেলা শাসক দপ্তর পর্যন্ত যায়। সেখানে দলের একটি প্রতিনিধিদল জেলা শাসকের দপ্তরে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে আর জি হাসপাতাল কাণ্ডের পরিপ্রক্ষিতে জেলার সরকারী হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। মহিলা চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীরা যাতে কর্মস্থলে কোনরকম হেনস্থার শিকার না হন, সেটা দেখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি, ওড়িশায় যেসব পরিযায়ী শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তার মধ্যে মুর্শিদাবাদের মানুষজনও রয়েছেন। তাদের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ সহ হেল্প লাইন নম্বরের চালু করার কথা বলা হয়েছে। তাদের সমস্যা দেখার জন্য একটি নোডাল অফিসারের নিয়োগের কথা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের হরিহরপাড়া ব্লক সভাপতি রাশিদুল মন্ডল, জলঙ্গি বিধানসভার পর্যবেক্ষক করিউল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ জিয়াগঞ্জ ব্লক সভাপতি রেন্টু সেখ, ডোমকল ব্লক সভাপতি সিদ্দিক সেখ ও ফারাক্কা ব্লক সভাপতি আজমেরুল। এদিকে, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবীতে হাওড়া শহরেও আজ এক মিছিল বের হয়। প্রতিবাদ মিছিলটি হাওড়া ময়দান থেকে জেলা শাসকের দপ্তর পর্যন্ত যায়। এই মিছিলে মহিউদ্দিন আহামেদ মাহি সহ হাওড়া জেলার পার্টি নেতৃত্ব ডা: আফতাবুদ্দিন মোল্লা, ইমরান খান, শেখ নাজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। হুগলীর রিষড়া পঞ্চায়েতের ভাদুয়া মোড় থেকে গুমোডাঙ্গা পর্যন্ত একটি প্রতিবাদী মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির কার্যকারী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক, সাদ্দাম হোসেন সহ হুগলি জেলার নেতৃত্ব। এই মিছিল থেকে তিলোত্তমার খুনিদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি বর্ধমানে খুন হয়ে যাওয়া আদিবাসী তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদার খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবী তোলা হয়। আর জি কাণ্ডের দায়ভার স্বীকার করে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীও মিছিল থেকে তোলা হয়। অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবারেও আইএসএফের উদ্যোগে একই দাবীতে আজ বিকেলে একটি মিছিল হয়েছে। শহরের মহাকুমা হাসপাতাল থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত এই বিশাল মিছিলে সমাজের নানান অংশের মানুষ অংশ নেন। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন আইএসএফ দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা , জেলা সহ সভাপতি শাহাদাত শাহ্ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
2024-08-20
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ছাত্রীর নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বিকেলে বারাসাতে আইএসএফ একটি বিশাল মিছিল বের করে। এই হত্যাকাণ্ডের সুবিচার চেয়ে মিছিলে আওয়াজ ওঠে। পাশাপাশি ঐ হাসপাতালের সিন্ডিকেট রাজ বন্ধ করার লড়াইয়েরও ডাক দেওয়া হয়। এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে যাঁর উপর এই ঘটনা ঘটলো, তিনি এই হাসপাতালের সিন্ডিকেট রাজ ও দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই মিছিল থেকে এই সিন্ডিকেট রাজ খতম ও বিনামূল্যে সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবিও ওঠে। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধেও শ্লোগান ওঠে। মিছিল থেকে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে পুলিশ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। বিশাল এই মিছিলটি বারাসাতের বারাসাত কাছারি ময়দান থেকে শুরু হয়ে ডাকবাংলো মোড় ঘুরে কলোনি মোড় হেলাবটতলায় মিছিল শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত দুই সদস্য জুবি সাহা ও সায়ন দাস। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন আইএসএফের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, দলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি তাপস ব্যানার্জি প্রমুখ।
2024-08-18
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: যুবভারতীর শান্তিপূর্ণ জমায়েতে দুষ্কৃতিদের অস্ত্র-বোমা নিয়ে তাণ্ডবের ছক, ধৃত ২ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোলকাতা পুলিশ জানায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দুই প্রধানের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-জমায়েতে অস্ত্র এবং বোমা নিয়ে একদল দুষ্কৃতির অশান্তি এবং বিশৃঙ্খলার ছক! শুনুন বিধাননগর পুলিশের প্রেস বিবৃতি এবং দুষ্কৃতিদের অশান্তির ছকের অডিও রেকর্ডিং। সমর্থকদের এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই স্টেডিয়াম চত্বরে জারি করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে হস্তক্ষেপের কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু দুই প্রধানের সমর্থকদের সবিনয় অনুরোধ, সতর্ক থাকুন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিরা যেন অশান্তি না করতে পারে। লাল হলুদ এবং সবুজ মেরুন আমাদের সবার আবেগ, দুই প্রধানের সমর্থকরা আমাদের গর্ব। সেই আবেগকে ব্যবহার করে যাতে কিছু দুষ্কৃতি অশান্তি না বাধাতে পারে,সতর্ক থাকুন। আমরাও সতর্ক আছি। অডিওতে যাদের কথা শোনা যাচ্ছে, তাদের আমরা গ্রেফতার করেছি।
2024-08-17
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে যখন আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষিতা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে সারা রাজ্য উত্তাল, প্রায় সেই সময়ে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে (নির্ভয়া নাম পরিবর্তন) এক ২২ বছরের আদিবাসী তরুণী তাঁর বাড়ির পাশে খুন হয়ে গেলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁকেও ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আশ্চর্যের কথা এই ঘটনার পর তিন দিন হয়ে গেল, পুলিশ এখনও কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অথচ পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি SIT গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এটা আবার সেই পুরোনো চাল। SIT গঠন করে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অপপ্রয়াস। আমাদের মনে আছে আনিস খানের খুনের ঘটনা। পনেরো দিনের খুনের কিনারা করার প্রতিশ্রুতি এখন বাতাসে মিলিয়ে গেছে। আজ নান্দুরে গিয়েছিলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি দেখা করেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে। আদিবাসী অধ্যুষিত ঐ গ্রাম। বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আতঙ্কিত। শান্ত এই গ্রামের চেহারা পালটে গেছে। এই আদিবাসী তরুণী বাঙ্গালোরে কাজ করতেন। আবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়াশোনাও করতেন। গত ১২ তারিখে বাড়িতে ফিরেছিলেন। নওসাদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, যেভাবে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সেটাও সন্দেহজনক। কোন ধর্মীয় রীতি না মেনে পুলিশ চাপ দিয়ে এই শেষকৃত্য করিয়েছে। আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত। গ্রামকে আতঙ্কমুক্ত করতে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড যেখানে ঘটেছে সেটাও সঠিকভাবে রক্ষা করা হয়নি। এই থেকে পুলিশের গা ছাড়া ভাব স্পষ্ট। তারা ঢিমেতালে কাজ করছে। আমরা এই নৃশংস ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল তিলোত্তমার হত্যার জন্য ফাঁসি চেয়ে পথ হেটেছেন। একইভাবে আশা করি এই আদিবাসী তরুণীর হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পথ হাঁটবেন। পাশাপাশি, যেভাবে আদিবাসী সমাজকে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কোনঠাসা করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাদের প্রতি অত্যাচার-অবিচার বাড়ছে, তাকে রোধ করতে আইএসএফ ২০১৪ সালের সংসদে পেশ হওয়া ভার্জিনিয়াস খাখা কমিটির সুপারিশগুলির বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছে।
2024-08-15
ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বিগত কয়েকদিন ধরে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণজনিত হত্যার মতন বিভৎস ঘটনায় সারা রাজ্য উত্তাল। এই নারকীয় ঘটনার সুবিচার চেয়ে ও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবীতে গতকাল মধ্যরাতে যখন কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার, হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে, রাস্তা দখল নিয়েছে, প্রতিবাদে সোচ্চার, তখন হঠাৎই ঐ হাসপাতাল চত্বরের ধর্ণামঞ্চে হামলা চালালো একদল উন্মত্ত দুষ্কৃতী। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠছে রাজ্য সরকার ও পুলিশের দ্বিচারিতা। একটা আন্দোলন চলছে। সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাহলে কেন ঐ গোটা এলাকা সুরক্ষিত রাখা হল না? আমরা দেখছি এই অবস্থায় সংস্কারের বাহানায় ঘটনাস্থলের লাগোয়া ঘর ভাঙা হচ্ছে। গতরাতে দেখা গেছে শুধু ধর্ণামঞ্চ নয়, দুষ্কৃতীরা সেমিনার রুমেও হামলা চালাতে চেয়েছে। এমারজেন্সি বিভাগে আগুন দিয়েছে। উদ্দেশ্য পরিষ্কার, তথ্য প্রমাণ লুঠ। আমাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে রাজ্য সরকার ও পুলিশ এমনকিছু তথ্য আড়াল করতে চাইছে, যেটা উন্মোচিত হলে সরকার সঙ্কটে পড়ে যাবে। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছি। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজ্যের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা- বিচার না পাওয়া, প্রভাবশালীকে বাঁচানো, অন্যায়কে প্রশ্রয়, সরকারের মুখ বাঁচানো- সবই মিলেমিশে আছে। সুতরাং তদন্ত কতটা হবে সেটাই প্রশ্নের মুখে। কিন্তু তা সত্বেও আমরা নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে তদন্ত চাই। ডাক্তারদের আন্দোলন যখন আপামর জনগণের আন্দোলনে পরিনত হচ্ছে, যখন গণ বিস্ফোরণের দিকে এগোচ্ছে, তখন কিছু লুম্পেনকে লেলিয়ে একে ভাঙা হচ্ছে কার নির্দেশে? এর পেছনে অবশ্যই গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রকে টেনে উন্মোচন করতে হবে। সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না। রাজ্যে গণপিটুনি বাড়ছে, পুলিশী হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। আনিস খানের হত্যার কিনারা এখন পর্যন্ত হল না। সম্প্রতি আবু সিদ্দিক হালদার পুলিশের অত্যাচারে মারা গেলেন। প্রসেন মণ্ডল চোর সন্দেহে গণপ্রহারে মারা গেলেন। এইরকম হত্যা অসংখ্য। এই হত্যাগুলির বিচার এখনও অধরা। এই সমস্ত অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারগুলিকে সামনে রেখে দুর্বার আন্দোলন, সংগ্রাম চালাতে হবে। জনগণকে বলব, শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন চালান। এই আন্দোলনের ঝাঁঝ ধাপে ধাপে বাড়াতে হবে। রাজ্যের বাক্যবাগীশ, অকর্মণ্য মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশ দপ্তর চালাচ্ছেন। যে দুটি দপ্তর চালাতে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সুতরাং অবিলম্বে তাঁকে ঐ দপ্তর দুটি ছেড়ে দিতে হবে। আর তাঁর কুর্সি থেকে পদত্যাগ-সেটাও সময়েরই দাবী।
2024-08-14
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজের মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে আজ সন্ধ্যায় আইএসএফের একটি প্রতিনিধিদল গিয়ে মৃতের বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে আইএসএফের কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক, রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি ছাড়াও ছিলেন সাওন দাস, জুবি সাহা, আইনজীবী জামির হোসেন, ডাঃ আফতাবুদ্দিন মোল্লা ও ডাঃ মাজেদ মল্লিক। মৃতের বাবাকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেছেন, পরিবারের পাশে আইএসএফ আছে। সুবিচারের দাবিতে দল অন্য সকল অংশের মানুষের সঙ্গে লড়াই করবে। মৃতের বাবা প্রতিনিধিদলকে দেখে আশ্বস্ত হয়েছেন। বলেছেন, তিনি তাঁর কন্যাকে ফিরে পাবেন না। কিন্তু ভবিষ্যতে এই নারকীয় ঘটনা যাতে আর কারুর সাথে না ঘটে সেই বিষয়ে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হোক। তিনি আইএসএফ চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকীকে এই বিষয়ে আওয়াজ তোলায় ধন্যবাদ দিয়েছেন। এদিকে, হাসপাতালের যে ঘরে এই নারকীয় কান্ড ঘটেছে, সেই সেমিনার হলের লাগোয়া ঘর সংস্কারের অছিলায় ভেঙে ফেলার প্রচেষ্টাকে কড়া নিন্দা করছে আইএসএফ। প্রমাণ লোপাটের জন্য এই তড়িঘড়ি কার্যকলাপ হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হবে। বিল্ডিঙের ঐ তলাটি সম্পূর্ণ সীল করে রাখতে হবে।
2024-08-12
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: আর জি কর মেডিকেল কলেজে যে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে, তার ন্যায় বিচারের দাবিতে এবং সমস্ত চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে, আজ স্টুডেন্টস ফ্রন্টের ডাকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ও ডেপুটেশন কর্মসূচি নেওয়া হয়। কিন্তু কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনের বাইরে ও ভিতর থেকে জমায়েত করার আগেই একে একে স্টুডেন্টস ফ্রন্টের সৈনিকদের অনৈতিকভাবে গ্রেফতার করে বিধান নগর পুলিশ। বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী হাতে পায়ে চোট পেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান কর্মসূচি ছিল, কিন্তু তা বানচাল করার উদ্দেশ্যে বিধাননগর সিটি পুলিশের এ সি পি র নেতৃত্বে প্রায় 500 পুলিশ আমাদের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। যে পুলিশ ধর্ষক - খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনা, তারাই ছাত্রদের গ্রেপ্তার করলো, এটা আমাদের সকলের কাছে লজ্জার। আর জি করের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত স্টুডেন্টস ফ্রন্ট রাজপথে থাকবে। আজকের কর্মসূচি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, স্টুডেন্টস ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাকেশ বেরা। সহ-সম্পাদক সেখ সাবির ও জুলফিকার মন্ডল, সৌম্যদীপ দাস, ড: সানাউল্লাহ সহ একাধিক সাথী। যদিও চাপের মুখে পরে, সন্ধ্যায় স্টুডেন্টস ফ্রন্টের সাথীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। স্টুডেন্টস ফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
2024-08-12
উড়িষ্যায় বাঙালিদের উপর লাগাতার হামলার বিরুদ্ধে উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের নিযুক্ত সেকশন অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ নওসাদ সিদ্দিকীর নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া বহু পরিযায়ী শ্রমিক, ফেরিওয়ালা ইদানিং নানানধরণের হেনস্থা এমনকি শারিরীক নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। এইরকম বেশকিছু ঘটনা সংবাদপত্র ও সামাজিক মাধ্যমগুলির মধ্য দিয়ে আমাদের নজরে এসেছে। ওখানকার একশ্রেণি মানুষের মধ্যে চরম সাম্প্রদায়িক ও প্রাদেশিকতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়। এইসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ কলকাতার উৎকল ভবনে গিয়ে ওখানে উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের নিযুক্ত সেকশন অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। তার মাধ্যমে ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝিকে একটি চিঠিও দিয়েছি। ঐ চিঠিতে অবিলম্বে এইরকম অনভিপ্রেত ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। সাক্ষাতে জানিয়েছি ওড়িশার বহু শ্রমিক আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস, সব কিছু আমাদের রাজ্য দায়িত্ব পালন করছে। তেমনই ওড়িশা সরকারেরও উচিত সেখানকার পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক তথা বাংলার মানুষদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এছাড়া, আজই আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়ে এই ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আক্রান্তরা যাতে খুব দ্রুত এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে সেজন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ সহ টেলিফোন নম্বর চালু করার আবেদন জানিয়েছি। এছাড়া এই বিষয়গুলি যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেজন্য একটি নোডাল অফিসার নিয়োগেরও আবেদন চিঠিতে জানানো হয়েছে।
2024-08-12
প্রবল চাপের মুখে শেষমেশ পদত্যাগ করলেন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: প্রবল চাপের মুখে শেষমেশ পদত্যাগ করলেন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ‘কেউ বাধ্য করেননি, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি’, প্রেস মিট করে বললেন সন্দীপ ঘোষ। তিনি এই মুহূর্তে ইস্তফাপত্র নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আরজি করের বাইরে দাঁড়িয়েই সন্দীপ ঘোষ বলেন, “ঘটনার পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পৌঁছে যান ঘটনার ২ ঘণ্টার মধ্যে। পুলিশ পৌঁছে যায়। সিপিও আসেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আন্ডারে সব কিছুই কমপ্লিট হয়ে যায় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে। সে রকম যদি হত, আমার হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ ১ ঘণ্টার মধ্যে আমি পুলিশকে হ্যান্ডওভার করতাম না। অনেক ক্ষেত্রে দোষীদের ধরতেই পুলিশের অনেক সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে কিন্তু বেশি সময় লাগেনি। ১ জনকে অন্তত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধরে ফেলেছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, ‘আপনি নাকি বলেছেন, ওই চিকিৎসক একা কেন সেমিনার রুমে ঘুমোতে গিয়েছিলেন?’ সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। অধ্যক্ষের সাফাই, “এটা সম্পূর্ণই ভুল। আমার মুখে, আমার নামে বসানো হয়েছে। বিগত দিনেও আমার ঘাড়ে এভাবেই কাঁঠাল ভাঙা হয়েছে।” তিনি স্পষ্ট করেছেন, “আমার সঙ্গে কোনও মন্ত্রী, কোনও সিনিয়র অফিসারের কথা হয়নি। কোনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়নি। এটা আমার নিজের দায়িত্ব।” সোমবার সকাল থেকেই সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছিল, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে সন্দীপ ঘোষকে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বে যাচ্ছেন তিনি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন সন্দীপ ঘোষ। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “আমার কাছে বদলি সংক্রান্ত কোনও তথ্য নোটিস নেই। আমি নিজে থেকেই পদত্যাগ করছি। ” তিনি বললেন, “এই ঘটনার নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করলাম। আমার নামে যে অপপ্রচার হয়েছে, তিলোত্তমা (নির্যাতিতা ) একা ছিল কেন, তিলোত্তমা (নির্যাতিতা ) আত্মঘাতী হয়েছেন, এগুলো আমি কখনই বলিনি। আমার নামে মিথ্যা রটেছে। ডাক্তারদের মধ্যেও চোর ডাকাত রয়েছে, সেই মুখোশগুলো খুলে যাবে। আমি অর্থোপেডিক সার্জেন, আমার দুটো হাত রয়েছে, আমি কিছু করে খেতে পারব।” আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া, চিকিৎসকরা। প্রথম থেকেই অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। কারণ এর আগেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছিল। তা নিয়ে চলেছিল কাটাছেঁড়াও। তবে এবার তিলোত্তমার ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই। বাকি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোও বিক্ষোভে সামিল হন। রবিবার অপসারিত হন আরজি করের সুপার। কিন্তু তখনও প্রশ্ন ওঠে, সুপার অপসারিত হলেও, বহাল তবিয়তে কেন থাকবেন অধ্যক্ষ? সোমবার থেকে লাগাতর কর্মবিরতির ডাক দেন তাঁরা। সে কর্মবিরতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়তে থাকে। সকাল থেকেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর থেকে বদলি করে দেওয়া হবে। তার মধ্যেই তাঁর ইস্তফার কথা ঘোষণা সন্দীপ ঘোষের।
2024-08-12
আর. জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় কোলকাতা পুলিশের বিশেষ আবেদন নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: আর. জি কর মেডিক্যাল কলেজে যে চিকিৎসক তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে, এই কঠিন সময়ে আমরা সর্বান্তঃকরণে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে আছি। এই ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ, শোক, রাগ অত্যন্ত স্বাভাবিক, বিশেষ করে চিকিৎসক সমাজের এবং মৃতার পরিজনদের। এই ক্ষোভ-শোক-ক্রোধের নতমস্তক শরিক আমরাও। এই যন্ত্রণা বর্ণনাতীত। আমাদের তদন্ত চলছে আন্তরিক সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে। এই নারকীয় ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি তথ্যপ্রমাণসহ। আরও কেউ ঘটনায় জড়িত ছিল কী না, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। মৃতার পরিবারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে, এবং তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁদের জানাচ্ছি আমরা। একটি কথা সবিনয়ে বলার। সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশেষত ফেসবুকে ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন অসত্য, অনুমাননির্ভর এবং বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব ছড়িয়ে দিচ্ছেন নেটিজেনদের একাংশ। আমাদের আন্তরিক অনুরোধ, না-যাচাই-করা এই ধরণের তত্ত্ব, তথ্য বা গুজবে কান দেবেন না। এতে তদন্তের ক্ষতি হয়, ন্যায়ের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, এবং সর্বোপরি শোকগ্রস্ত পরিবারটি আরও বেশি করে যন্ত্রণাদগ্ধ হয়। আবার বলি, সততা, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চলছে। কাল্পনিক তত্ত্ব এবং গুজব ছড়ালে সেই তদন্তেরই গতি ব্যাহত হয়। বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের বলি, আমরা বুঝতে পারছি আপনাদের শোক, সমর্থন করছি আপনাদের ন্যায়বিচারের দাবি। আপনাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিশ্বাস রাখুন, যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। রাজ্যের মানুষকে জানাই, আমাদের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। কলকাতা পুলিশ যথাসাধ্য দ্রুততায় চার্জশিট জমা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। ন্যায়বিচার হবেই। দ্রুতই হবে। না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। ভরসা রাখুন। A few days ago, a young medical student was taken from our midst in tragic circumstances, the victim of a most heinous crime. In this hour of grief, our thoughts remain with her family and loved ones, and we also share the anger felt by the community at large. This is a pain no one should have to endure. Our investigation of the crime is being conducted with utmost integrity, honesty, and transparency. Within just 24 hours, we apprehended one individual responsible for the act, and are working tirelessly to find out if anyone else was involved. We have been, and will continue to be, in close communication with the victim’s family, ensuring they are informed of every step we take. However, it has come to our notice that several factually incorrect and unverified claims are being widely circulated on social media. We urge everyone not to share or believe any so-called ‘facts’ of the case, because they are nothing but unfounded rumors. Not only do they obstruct the investigation and cause even more distress to the bereaved family, but also hinder the course of justice. We are committed to ensuring a thorough investigation, and the rampant spread of misinformation will only make our job more difficult. To the students who are seeking justice, we hear you, and we share your pain. We are in active dialogue with you and are fully dedicated to ensuring swift justice. We assure the public that our investigation is proceeding in the right direction, and we will do whatever it takes to file an early charge sheet and ensure a speedy trial. Justice will be served, and we will not rest until it is done.
2024-08-12
চিকিৎসকদের কাছে মারাত্মক অভিযোগ নিহত ছাত্রীর পরিবারের নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: রবিবার নিহত ছাত্রীর বাড়িতে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস’-র প্রতিনিধিদল। ছবি: অভিজিৎ বসু ধর্ষণ করেই হত্যা করা হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ছাত্রীকে। ঘটনা নিয়ে ভুল প্রচারের প্রতিবাদ করে রবিবার বললেন চিকিৎসকরাই। রবিবার নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস’-র প্রতিনিধি এই চিকিৎসকরা। পরিবার তাঁদের কাছে মারাত্মক অভিযোগ জানিয়েছে। এই মঞ্চের আহ্বায়ক চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী পানিহাটিতে বলেন, ‘‘হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রচার চলছে কোনও কোনও জায়গায়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। ধর্ষণ করেই হত্যা করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার সাক্ষ্য দিচ্ছে ময়না তদন্ত রিপোর্টই।’’ তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের অনুমান একজন এভাবে নির্যাতন করতে পারে না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে আমাদেরও মনে হয়েছে একাধিক যুক্ত থাকতে পারে। সিমেন নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে একাধিক অপরাধী জড়িত কিনা।’’ এই মঞ্চের দাবি, সরানো জরুরি আরজি কর হাসপাতালের মাথায় যারা বসে রয়েছে তাদের। সব মহিলা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যে। না করা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন চিকিৎসকরাই। ছিলেন চিকিৎসক তমোনাশ চৌধুরী, বিদিশা দত্ত, মৌমিতা মুখার্জী, সংঘমিত্রা ঘোষ, আশিস কুমার মণ্ডলও। গোস্বামী বলেন, ‘‘ময়না তদন্তের রিপোর্টও জানাচ্ছে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ওই ছাত্রী। বাবা-মা এবং পরিজনরাও জানিয়েছেন যে সর্বাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তাঁরা।’’ তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন সিবিআই তদন্তে আপত্তি নেই। পরিবারও সিবিআই তদন্তে আগ্রহী বলেই মনে হয়েছে।’’ হাসপাতাল এবং পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। জানিয়েছেন চিকিৎসক প্রতিনিধিদলের সদস্যরাই। হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল আত্মহত্যা। নিহত ছাত্রীর মা তাঁদের বলেছেন যে পুলিশের এক আধিকারিক প্রলোভন দেখিয়ে চুপ করে যেতে বলেছিলেন। গোস্বামী বলেন, ‘‘এরা কারা খুঁজে বের করা হোক। এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ গোস্বামী বলেন, ‘‘চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা পুরুষ বা মহিলা আলাদা করে দেখেন না। কিন্তু ডিউটি রুম, বিশ্রামকক্ষ আলাদা থাকতে হয়। কেবল মেডিক্যাল কলেজ নয়, গ্রাম বা ব্লক স্তরে যে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকরা রয়েছেন, কারও নিরাপত্তা নেই। তবু ডিউটি করে যান তাঁরা। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই দাবিতে আন্দোলন চলবে।’’
2024-08-11
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: মন্দির থেকে কষ্টি পাথরের কোটি টাকার মূর্তি চুরি। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার আহিরন থেকে গ্রেপ্তার করা হলো মুল অভিযুক্ত রনবীর ঠাকুর নামে এক যুবককে। পুলিস সূত্রে খবর, ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার জিরুয়াবাড়ি এলাকার একটি প্রাচীন মন্দির থেকে কষ্টি পাথরের হনুমান মুর্তি চুরি করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। স্থানীয়দের হাতে কয়েকজন ধরা পড়লেও চুরি হওয়া মুর্তি নিয়ে চম্পট দেয় মুল অভিযুক্ত রনবীর ঠাকুর। গোপন ডেরায় মূর্তিটি রেখে ট্রেনে চেপে সুতির আহিরনে পৌঁছে যায় সে। যদিও ঝাড়খন্ড পুলিশ ফোন লোকেশন ট্যাপ করে বিষয়টি নজরে আসতেই সুতি থানার পুলিশকে খবর দেন। তারপরেই আহিরন থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে সুতি থানার পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অভিযুক্তকে ঝাড়খন্ড পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চুরি হয়ে যাওয়া কষ্টি পাথরের মূর্তিটির মূল্য কয়েক কোটি টাকা বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
2024-08-08
মনোয়ার হোসেইন, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বর্ধমান শহরে তেতুলতলা বাজারের লস্কর দিঘি মহল্লাতে সাজো সাজো রব, সাধারণ মানুষ সাংবাদিক ভিড় জমিয়েছেন মহাম্মদ হোসেনের বাড়িতে, পুত্র আস্তাক হোসেন ওরফে বাবু জানালেন যে তার দুলাভাই অর্থাৎ জামাইবাবু মহাম্মদ ইউনুস সাহেব পড়শি দেশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে যোগদান করেছেন। মহাম্মদ ইউনুস 28 জুন ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতের চট্টগ্রাম হাটহাজারীর বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হাজি দুলামিয়া মাতা সুফিয়া খাতুন। নয় ভাই বোনের তৃতীয় সন্তান। বাংলাদেশের সামাজিক উদ্যোক্তা ,অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ তিনি ই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হলেন ৮ ই আগস্ট ২০২৪। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্র বিত্ত ধারণার প্রবর্তনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেছিলেন । বর্তমান বয়স ৮৪ বছর। বিশ্ব ইতিহাসে মাত্র ১২ জন এক সঙ্গে নোবেল, আমেরিকান প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড ও মার্কিন কংগ্রেসানাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তাদের অন্যতম মহাম্মদ ইউনুস, সেদিক থেকে বিচার করলে তিনি এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানীয় বিশ্ব পথিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি। মেট্রিকুলেশনের ১৬ তম স্থান পেয়েছে । স্বাধীনতা বিষয় পুরস্কার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার ১৯৯৪, আন্তর্জাতিক গান্ধী পুরস্কার ২০০০, নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৬, ভলভো পরিবেশ পুরস্কার ২০০৩, যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম ২০০৯, কংগ্রেসনাল গোল্ড মডেল ২০১০। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকাতে ফুল স্কলারশিপে গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি নাগরিক কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকাতে সমর্থন সংগ্রহ অংশগ্রহণ করে হইচই ফেলে দেন এবং স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করেন। ১৯৭৫ থেকে ৮৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন ১৯১২ থেকে ১৯১৮ স্কটল্যান্ড এর গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলার ছিলেন। ১৯ ৯৬ খ্রিস্টাব্দে সাবেক বিচারপতি মোঃ হাবিবুল্লাহ রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা দায়িত্ব ইতিমধ্যে পালন করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ভেরা ফরোস্টোনকোর নামের এক রাশিয়ান কন্যাকে আমেরিকায় পড়াশোনার সুবাদে পরিচিতি ও বিবাহ ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে একটি কন্যা সন্তান মনিকা ইউনুস জন্মগ্রহণের তিন মাস পরই ডিভোর্স হয়ে যায়। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে মহাম্মদ ইউনুস দ্বিতীয়বার আফরোজি বেগমকে বিবাহ করেন তখন আফরোজি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিদ্যা নিয়ে পিএইচডি করছেন তখন পরিচয় ও বিবাহ পরবর্তীকালে জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে একটি কন্যা সন্তান গ্রহণ করেন যার নাম দেনা আফরোজ ইউনুস। আফরোজী বেগমের অর্থাৎ মহাম্মদ ইউনুসের শ্বশুরবাড়ি বর্ধনের তেঁতুলতলা বাজারের লস্কর দিঘিতে। শশুরের নাম মোঃ হোসেন শাশুড়ি মা সিতারা বেগম। তৎকালীন যুগে মোঃ হোসেন ছিলেন বর্ধমান আদালতের স্কোর যিনি ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে মেট্রিকুলেশনে প্রথম বিভাগে পাশ করে নজর পেরেছিলেন ব্রিটিশ এবং বর্ধমান বাসির। মোঃ হোসেনের ১০ সন্তান সকলকেই মানুষের মতন মানুষ করেছিলেন। প্রথম সন্তান আনিসুল হোসেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান বাস্তুকার ও বোর্ড মেম্বার । দ্বিতীয় সন্তান আলতাফ হোসেন ইউএসএ নিউইয়র্কের সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিক, তৃতীয় সন্তান আশফাক হোসেন বাবু বর্ধমানে মা সিতারা বেগমকে নিয়ে নিজের সুপার মার্কেট পরিচালনা করেন, চতুর্থ সন্তান ফিরজি বেগম বাংলাদেশের একটি কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপিকা, পঞ্চম সন্তান চিকিৎসক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, ষষ্ঠ সন্তান আফরোজি বেগম ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা যিনি মোঃ ইউনুসের সহধর্মিনী, সপ্তম সন্তান ফেরদৌসী বেগম লন্ডনে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, অষ্টম নবম দশম তিন মেধাবী সন্তান অকালে মারা গেছেন। ইউনুস সাহেবের স্ত্রী অর্থাৎ আফরোজী বেগম বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে স্নাতক তারপর বড় ভাই আনিসুল হকের কাছে চলে যান এবং সেখান থেকেই পদার্থবিদ্যায় গবেষণা ও পিএইচডি করতে লন্ডন পাড়ি দেন। মোঃ ইউনুস ও আফরোজি বেগম ১৯৮৬ ৮৭ খ্রিস্টাব্দে ৩৭ বছর আগে শেষবার বর্ধমান এসেছিলেন দিল্লি থেকে ফেরার পথে একদিনের জন্য বর্ধমান ছিলেন। বর্ধমানের জনগণ আনন্দে আত্মহারা তাদের ঘরের জামাই পরশি দেশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নিযুক্ত হওয়ায়।
2024-08-07
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: গত মাসকয়েক ধরে এইরাজ্যে অনেকগুলি গণপ্রহারের ঘটনা ঘটেছে। খবরে প্রকাশ, অন্তত ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আইএসএফের সক্রিয় কর্মী আবু সিদ্দিক হালদার নামে এক যুবককে পুলিশী হাজতে নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। দল বলেছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তাঁর বাড়ি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঢোলাহাট থানায়। এছাড়া, এই সময় কলকাতার একটি ছাত্রাবাসে স্রেফ চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে ইরশাদ আলমকে। মারা গেছেন প্রসেন মণ্ডল সহ আরো অনেকে। কলকাতায় আজ এরই প্রতিবাদে ও প্রতিটি হত্যার ন্যায়বিচারের দাবীতে রাস্তায় নামলেন অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টের কর্মীরা। কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক পথ হাঁটলেন শিয়ালদহ স্টেশন চত্ত্বর থেকে ধর্মতলার রানী রাসমনী অ্যাভেনিউ পর্যন্ত। এখানেই এক সংক্ষিপ্ত সভা হয়। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএসএফের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, একের পর এক গণপ্রহারের ঘটনা ঘটে চলেছে। পুলিশী হেফাজতে মৃত্যু হচ্ছে, অথচ সরকারের শীর্ষে যিনি আছেন তিনি নিশ্চুপ। ভাবখানা এমনই যেন এই রাজ্য দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ। অথচ এখানে সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসীরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ওপর আমাদের আস্থা আছে, সংবিধানের ওপর আস্থা আছে। এই হত্যাগুলির ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। দলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি অভিযোগ করেন, পুলিশের একাংশ সাম্প্রদায়িক হয়ে পড়েছে। এটা মোটেই কাম্য নয়। প্রশাসনের শীর্ষে যিনি আছেন তার মদতেই পুলিশ এই জঘন্য কান্ড করে চলেছে। আমরা পুলিশী অত্যাচারের অবসান চাই। পুলিশী উর্দি পরে শাসকদলের হয়ে দালালি করা চলবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। এই সভায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির কার্যকারী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার না পেলে আন্দোলন আরো তীব্রতর করা হবে। এই জঙ্গলের রাজত্ব খতম করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আর কোন পথ নেই। বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, তিনি বলেন রাজ্যে অপশাসন ও নৈরাজ্যের শাসন চলছে পুলিশ সাধারণ মানুষের উপরে নির্যাতন করছে অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি তাপস ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটি সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলা ও ব্লক স্তরের নেতৃত্ব।
2024-08-04
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: সম্প্রতি দিল্লিতে সংসদের দুই কক্ষে বিজেপি সাংসদরা এমন কিছু দাবী তুলেছেন যেগুলি থেকে বাংলাকে আরো একবার ভাগ করার কথা ফুটে উঠছে। এই বক্তব্যগুলি থেকে বিজেপির বিচ্ছিন্নতাবাদী, সাম্প্রদায়িক মনোভাব খুব স্পষ্টভাবে বেরিয়ে আসছে। আসলে পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো করে রাজ্যের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চাইছে বিজেপি। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিজেপির এই বক্তব্যগুলির তীব্র নিন্দা করছে। দল মনে করে রাজ্যগুলিকে ছোট আকারে ভেঙে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকেই আঘাত করা হচ্ছে। জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে বিহারের তিন জেলা ও পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলাকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মধ্যে নিয়ে আসা, গ্রেটার কোচবিহার বলে আলাদা রাজ্য গঠন কিংবা উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে রাজ্যের উত্তরের জেলাগুলিকে যুক্ত করা সবই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো টুকরো করার অপপ্রয়াস। রাজ্যগুলিকে ভাষা, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দূর্বল করে এককেন্দ্রীক রাষ্ট্র তৈরি করা আরএসএস বিজেপির পুরোনো ছক। আশ্চর্যের কথা, এই বিষয়ে এই রাজ্যের শাসকদলও নীরব। আসলে রাজ্যভাগের এই চক্রান্তে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস উভয়ের দলেরই সুবিধা। রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি যেমন নদী ভাঙন, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা, শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতি থেকে মানুষের মনকে ঘুরিয়ে রাখা যাবে। ভাগাভাগির গল্পে জনসাধারণকে মাতিয়ে রেখে এইসব অন্যায়গুলি চলতে থাকবে। তাতে একধরণের বাইনারি আরো মজবুত হবে। আসলে উত্তরবঙ্গকে রাজ্য সরকার যেভাবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অবহেলা করে চলেছে, তাতে ঐ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ কার্যত অচল। পাহাড়ের উন্নয়ন স্তব্ধ। সেই ক্ষোভ বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত দিয়ে চলেছে। রাজ্য সরকারকে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত প্রতিটি নাগরিকের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে সচেষ্ট হতে হবে। আমরা চাই মানুষের রুটি রুজির সমস্যার সমাধানের লড়াই, মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্যের অধিকার সুনিশ্চিত করার লড়াই। সুতরাং বিজেপির এই হিন্দুত্বের জিগির তুলে রাজ্য ভাঙার অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। বাংলাকে আরো একবার ভাঙার এই চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
2024-07-22
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বিগত কয়েকদিন ধরে প্রতিবেশী বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। দেশজুড়ে তুমুল ছাত্র আন্দোলন চলছে। বাইরের বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। একশোরও বেশি মানুষ নিহত। কয়েক হাজার আহত। এই আন্দোলনের প্রাবল্য এত তীব্র যে সেটা আর ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিপুল সমর্থন আছড়ে পড়েছে আন্দোলনের পাশে। আন্দোলনের মূল দাবী সরকারী চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার। এই দাবী দীর্ঘদিনের। ছাত্র-ছাত্রীদের গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অগণতান্ত্রিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে দমন না করে আলোচনার মাধ্যমে এই উদ্ভুত পরিস্থিতির সমস্যার সমাধান জরুরি। শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রী নয় স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণভাবে সকলের দাবি দাওয়ার কথা তুলে ধরার অধিকার আছে। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট আশা করে গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ঐ দেশে যে তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সেটা প্রশমিত হবে; সারা দেশ ফের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দে ফিরে আসবে। পাশাপাশি, এই পরিস্থিতিতে বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ও পর্যটক বাংলাদেশে আটকে পড়েছেন। আমরা উভয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন নিরাপদে ভারতে ফিরে আসতে পারেন, সেই ব্যাপারে যেন তারা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এদিকে, আজই অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য মোহাঃ নওসাদ সিদ্দিকী এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এক চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি এই ঘটনার জেরে আটকে থাকা ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ও পর্যটকদের নিরাপদে দেশে ফেরানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।
2024-07-22
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: সোমবার ২২ জুলাই ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের অবস্থান নিয়ে এসডিপিআই-এর রাজ্য অফিসে অনুষ্ঠিত হল প্রেস কনফারেন্স । কনফারেন্স থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট কলকাতা হাইকোর্টের ওবিসি বাতিল রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা এসএলপি-এর উপর শীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেন জানান রাজ্য সভাপতি তায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন— পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ২০১০ সালের পর ওবিসি তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি গ্ৰহণ করেনি বলে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পর তালিকা ভুক্ত পাঁচ লক্ষাধিক ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছে। বাতিল করার পর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং ঘোষণা করেন এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে চ্যালেঞ্জ করা হবে। ১৮ জুন,২০২৪ শীর্ষ আদালতে এসএলপি জমা করা হয়। ১৯ জুন ২০২৪ শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রেশন বিভাগ জানিয়ে দেয় এসএলপি তে কিছু ত্রুটি আছে এবং এর অগ্ৰগতির জন্য ত্রুটি সংশোধন করে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু আজ ২২ জুলাই এক মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর রাজ্য সরকারের পক্ষে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আদালতের রায়ের ফলে প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ভর্তি সমস্যা, চাকরির ইন্টারভিউ সমস্যায় আটকে আছেন। এই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের এবং চাকরি প্রার্থীদের অনতিবিলম্বে সমস্যা সমাধানের জন্য শীর্ষ আদালত থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে আসা জরুরী। রাজ্য সরকার মানবিকতার সাথে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করুক এবং এসএলপির শুনানি সুনিশ্চিত করতে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এই দাবি করেন তিনি।
2024-07-20
নিউজ ডেস্ক , লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: শহীদ আবু সিদ্দিক হালদারের খুনের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনায় শুধুমাত্র ঢোলাহাট থানার পুলিশই নয়, শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বও জড়িত। এমনই অভিযোগ করছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা রাজ্য বিধানসভার সদস্য নওসাদ সিদ্দিকী। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের নুনতলা মোড়ে ঐ খুনের প্রতিবাদে এক বিশাল সমাবেশে তিনি বলেন, আইনের মাধ্যমে যেমন এই ইনসাফের লড়াই চলবে, পাশাপাশি রাস্তায় নেমেও এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। বিধানসভার মধ্যেও এই বিষয়টি তোলা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, গত দেড় মাস ধরে এই রাজ্যে অনেকগুলি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি হেফাজতে বিনা দোষে আবু সিদ্দিকও খুন হলেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চুপ। দেখা যাবে এই প্রতিটি ঘটনায় মুসলমান, আদিবাসী, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষেরা মারা গেছেন। তিনি বলেন, একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে শাসকদল প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করতে চাইছেন। যেভাবে গণপিটুনি বাড়ছে তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি শাসিত গুজরাট, আসাম, উত্তর প্রদেশের থেকে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে নেই। এই প্রসঙ্গে আইএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, আনিস খান হত্যা থেকে শুরু করে গতবছর বারুইপুর পুলিশ জেলার হেফাজতে চারজনের মৃত্যু, কোনটিতেই এখনও পর্যন্ত ইনসাফ পাওয়া যায়নি। আবু সিদ্দিকের হত্যার ক্ষেত্রে এটা সহ্য করা যাবে না। সজাগ, সতর্ক থেকে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে আন্দোলনের ঢেউ তোলার আহ্বান জানান তিনি। সভায় আইএসএফের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি বলেন, খুন করে আইএসএফ কে শেষ করা যাবে না। আবু সিদ্দিক আমাদের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তাঁকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর টাকা ও গয়নাও নিয়েছে পুলিশ। সেগুলি যেন অবিলম্বে তারা ফেরত দেয়। এই বিশাল প্রতিবাদ সভাটি পরিচালনা করেন আইএসএফ দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সভাপতি আবদুল মালেক মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন সিরাজী সহ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
2024-07-16
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: সম্প্রতি কলকাতার একটি ছাত্রাবাসে গণপ্রহারে খুন হয়েছিলেন ইরশাদ আলম। স্রেফ চোর সন্দেহে তাঁকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে মুচিপাড়া থানার নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের একটি সরকারি ছাত্রাবাসের কতিপয় আবাসিক ছাত্র। কলকাতার চাঁদনি চকের একটি টিভি মেরামতির দোকানে তিনি কাজ করতেন। থাকতেন বেলগাছিয়ার একটি একশো বর্গফুটের ভাড়াঘরে স্ত্রী ও দুটি ছোট্ট ছেলে মেয়ের সাথে। আজ এই শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মোহাঃ নওসাদ সিদ্দিকী। পরে তিনি জানান, পরিবারটি খুবই দুর্দশার মধ্যে আছে। বাচ্চা মেয়েটি পড়ে ক্লাস ফাইভে ও ছেলেটি ক্লাস ওয়ানে। তিনি পরিবারটিকে জানিয়েছেন যে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা তিনি দেবেন। পাশাপাশি তিনি পরিবারের একজনকে সরকারী চাকরি দেওয়ার দাবী জানান। এছাড়া পরিবারটিকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের জন্যও দাবী তোলেন। এই জঘন্য হত্যাকান্ডে যারা যুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও তিনি দাবী তোলেন। আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়াও যারা প্রশাসনের দায়িত্বে আছেন তারা এই ঘটনা আটকাতে যেন স্বতঃসিদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই বিষয়টিও দেখতে হবে বলে তিনি জানান। কোথাও কোন গাফিলতি থাকলে তাদেরও যেন জবাবদিহি করার দায় থেকে মুক্ত না রাখা হয়। প্রসঙ্গক্রমে নওসাদ সিদ্দিকী আরো বলেন, আগে বলা হত দেশের অন্যান্য রাজ্য যেমন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে গণপিটুনি হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে থাকছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্বে দিনদিন এইধরণের অনভিপ্রেত ঘটনাগুলি ঘটেই চলেছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাব করছেন যেন কিছুই ঘটছে না। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এখনও কোন বিবৃতি দেননি। পুলিশ নামকোয়াস্তে গ্রেপ্তার করে ঘটনাগুলি ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত। আইএসএফ চেয়ারম্যান বলেছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মতন এখানেও দলিত-আদিবাসী-সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসাশ্রয়ী আক্রমণ ঘটে চলেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। অবিলম্বে ২০১৪ সালে সংসদে ইউপিএ সরকারের আনা Prevention of Communal and Targeted Violence (Access to Justice and Reparations) বিলটি বলবত করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তখন বিলটি বিজেপির বিরোধিতার কারনে সংসদে আইনে পরিনত করা যায়নি। এখানে তো বিজেপি শাসন নেই। তাই রাজ্য সরকারকে অনুরোধ বিলটি বিধানসভায় যেন পাশ করা হয় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হোক।
2024-07-16
শেখ আব্দুল আজিম, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে, হুগলী :সাংবাদিক কে বিপদে পড়েছি বললে সাংবাদিক রা তা যাচাই করে সেই স্থানে যায়। কিন্তু বিপদে পড়েছি বলে ডেকে সাংবাদিক কে হুমকি ভিডিও করতে গেলে ধাক্কা দিয়ে সাংবাদিকের মোবাইল ছুড়ে ফেলে দেওয়া হলো হুগলীর উত্তরপাড়া। উত্তরপাড়ায় বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তুঙ্গে তার মধ্যেই গত রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আসেন তাকে সম্মান দেন বিজেপির কার্যকর্তারা। কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের আসার সময় দেওয়া ছিলো বিকেল ৪ টে কিন্তু তিনি এসে উপস্থিত হন রাত ৭টার পরে। এর মধ্যে সাংবাদিক শুভজ্যোতি চক্রবর্তী ওই স্থানে বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ এই আমন্ত্রনে গিয়ে উপস্থিত হন। এর পরে তার সাথে সকল বিজেপি কর্যকর্তাদের কথোপকথন হতে থাকে। বিজেপি মাখালা মন্ডল সভাপতি তাপস দেবের সাথে সে কথা বলার পরে বিরজা নন্দ বন্ধু মানে এক বিজেপির কর্যকর্তা সাংবাদিক কে এসে বলেন যে বিজেপির মাখলা মন্ডল সভাপতি একাধিক অনৈতিক কাজ করছেন উনি দাবী করেন এখন আমি পদ পেয়েছি এইসব অশিক্ষিতের বক্তব্য নিলে চ্যানেলের মান কমে যাবে তাই আমাদের বক্তব্য নিও পরিপেক্ষিতে সাংবাদিক জানান যে আমাকে সবার সাথে মিশতে হবে তুমি যখন পদে যাবে তোমার বিবৃতি নিয়ে খবর হবে স্বাভাবিক কথোপকথন হয় তাদের মধ্যে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এসে উপস্থিত হন রাত ৭ টার পরে। সেখানে তিনি বলেন "উপর থেকে দাদা সিবিআই কে বলুন একে এরেষ্ট করে নিতে হবে না অনুব্রত মন্ডল আছে কিনা জেলে বীরভূম জিতেছি আমরা।" এই কথা একমাত্র সাংবাদিক শুভজ্যোতি চক্রবর্তীর ক্যামেরা বন্ধি হয়। এর পরে মিটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বিজেপির কর্মী বিরজা নন্দ বন্ধু তার ফোন থেকে সাংবাদিক কে ফোন একধিক বার ফোন করে তিনি বিপদে পড়েছেন জরুরী দরকার তাই দেখা করতে চান। সাংবাদিক তার কথা মতো উত্তরপাড়া মাখালা আগ্রদূত ক্লাবের সামনে অন্ধকার গলিতে দেখা করে। সাংবাদিক শুভজ্যোতি চক্রবর্তী দাবী করেন মদ্যপ অবস্থায় এই বিরজা নন্দ বন্ধু ও বুদ্ধ দেব রায় চৌধুরী সাংবাদিক কে ঘেরাও করে ও বলেন এবার থেকে বিজেপির মাখলা মন্ডল সভাপতি তাপস দেবের বদলে আমাদের বিবৃতি নিতে হবে। এর পর তারা মদ্যপ অবস্থায় সাংবাদিক কে কর্মী সভার সব ভিডিও ডিলিট করতে বলেন এবং ফোন কেরে সাংবাদিক কে প্রহার করেন ও গাল মন্দ করেন। এর পরে এই দুইজন বিজেপির কর্মীর বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়।এ বিষয়ে বিজেপির কর্মী অমর চ্যাটার্জী ক্ষমা চেয়ে জানান, আগেও এই দুজনের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় বিভিন্ন মানুষদের সাথে অশালীন আচরণের একাধিক অভিযোগ আছে এবং এই ঘটনার কথা তারা বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব দের জানিয়েছেন।বিজেপির মাখলা মন্ডল সভাপতি এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান এই দুই জন দির্ধদিন ধরে ভুল ভাল কাজ করে চলছে বার বার না করার পরেও শোনেনি পাল্টা আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। উনি জানান বি.এন. বন্ধু দলের কোনো পদে নিই বুদ্ধদেব রায় চৌধুরী বিজেপি মাখলা মন্ডলের সহ--সভাপতি।পাশাপাশি এই ঘটনায় উত্তরপাড়া উপপ্রধান খোকন মন্ডল জানান এরা মদ্যপ অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির নেতা পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করে।
2024-07-15
ফেসবুক এখন মানসিক ভারসাম্য হারানোর নয়া ঠিকানা ফেসবুক এখন মানসিক ভারসাম্য হারানোর নয়া ঠিকানা। এখন গর্ব হয় যে বছর কুড়ি পঁচিশ আগে দুনিয়া জুড়ে আমাদের ক্লাস রুম ছিল। স্কুল গৃহশিক্ষকের পর আমাদের থেকে মিনিমাম দশ বছরের কেও বড় হলে আজকের ভাষায় তিনিই আমাদের শিক্ষাক। যেমন স্পিড সাইকেল চালানো থেকে যখন তখন উটকো খেলাধুলা ( স্বাস্থ্যগত নয় এমন খেলাতে নেশাগ্রস্ত ) থেকে বিরত রাখার মূল কারিগর কিন্তু পাড়ার দাদা কাকারা। তখন সামাজিক ও বড়দের মেনে চলার যে মানসিকতা তৈরি হত এখন সেটা ১% আছে কিনা সন্দেহ আছে। এই নয় যে নব্বই দশকের ছেলে মেয়ে মানে সোনার চাঁদ মানিক, তবে এই সামাজিক অবক্ষয় থেকে তারা অনেকটাই আলাদা। এখন ফেসবুক এসে কখন যে আমাদের জীবনকে পন্ডিতের থেকে পন্ডিত বানিয়েছে, শিক্ষিত থেকে শিক্ষক বানিয়ে ফেলেছে আমরা বুঝতেই পারিনি। সব বিষয়ে আমরা জ্ঞানীদের থেকেও বেশী গুরুত্ব সহকারে জ্ঞান বিতরণ করে চলেছি। সে ধর্ম হোক রাজনৈতিক সামাজিক হোক প্রশাসনিক সব বিষয়ে আমাদের পিএইচডি ফেসবুক করে দিয়েছে। রাজনীতির থেকে ধর্মীয় মহাসাগরে যেকোনো বিষয়ে খুঁচিয়ে তোলা থেকে শুরু করে, মহা পন্ডিতের মত জ্ঞান বিতরণ করা আমাদের রোজকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষক পন্ডিত থেকে যুগে যুগে মহান মনীষী বিজ্ঞানীরা ফেসবুকে আমাদের কাছে যেন পিসতুতো মাসতুতো ভাইয়ের সমান। তাঁদের বিরুদ্ধে এক দুটি কপিপেষ্ট গুগল হোক বা ওয়াটসাফ ইউনিভার্সিটি থেকে পেয়ে গেলে আমাদের দাবিয়ে রাখা শক্তি কারোর নেই ( যতক্ষণ না আইডি ব্লক হচ্ছে) তার সাথে আছে সেই মানসিক ভারসাম্যহীন কিছু সাঙ্গপাঙ্গরা, যেকোনো বিষয় চাপিয়ে দিয়ে মা মাসি উদ্ধার করে জ্ঞান বিতরণ করে যাবে। ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় গুলো এখন জলভাত করে ছেড়ে দিয়েছে, কেও কাওকে কিছু বলার নেই। এটাও শিকার করতে দ্বিধা নেই যে যারা পথ দেখাবে তাদের কিছু অংশ এই সমাজে বসবাস করে ইচ্ছাকৃত হোক বাঅনিচ্ছাকৃত তারাও আজ চরম অর্থ রাজনৈতিক অরাজনৈতিক পদমর্যাদার লোভে আকৃষ্ট হয়ে তারাও আজ দিশেহারা। আবু তালহা আব্বাসী হুগলী
2024-07-13
বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে আবু সিদ্দিকি হালদারের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: পুলিশি হেফাজতে পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের লোকজন। ঘটনার সঠিক তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন আবুর পরিবারের লোকজন। সেই ঘটনায় আবুর দেহ দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারপতি। শনিবার সকালে যখন কবর থেকে দেহ তোলার কাজ শুরু করে পুলিশ, তখন এলাকার লোকজন জড়ো হন। পরিবারের আশা, বিচার মিলবে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে আবু সিদ্দিকি হালদারের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সুন্দরবনের ঢোলার যুবক আবু সিদ্দিকি হালদারের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হল। শনিবার সকালে ঢোলাহাট থানার পুলিশ আবুর গ্রাম হাটবকুলতলায় যায়। কবর থেকে দেহ তোলার কাজ শুরু করে। ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। মৃত আবুকে নিজেদের দলীয় কর্মী বলে দাবি করে থানা ঘেরাও করে বার বার বিক্ষোভে দেখিয়েছে আইএসএফ। নিহত যুবকের বাবা, কাকা এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আইএসএফ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (জোনাল) কাছে থানার আইসি, তদন্তকারী অফিসার-সহ আরও এক জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই দিনই পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে মৃতের পরিবার। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। মৃত যুবকের বাবা ইয়াসিন হালদার বলেন, ‘‘বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমার ছেলের হত্যাকারীরা যেন শাস্তি পায়।” সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট জানান, পরিবারের লোকজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত চলছে। গত সোমবার কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ঢোলাহাট থানার ঘাটবকুলতলা এলাকার বাসিন্দা আবুর। দিন কয়েক আগে একটি চুরির ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে ওই যুবককে মারধর, অত্যাচার করা হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। একের পর এক হাসপাতাল ঘোরার পর তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ জুন ঢোলাহাটের ঘাটবকুলতলা এলাকায় আবুর কাকার বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনায় থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। মৃত যুবক জামিনে মুক্ত হলেও বাকি দু’জন নাবালক বলে তাদের বারুইপুর জুভেনাইল বোর্ডে পাঠানো হয়। গত ৪ জুলাই তিন জনকে আদালতে তোলার আগে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে চিকিৎসক ‘ফিট সার্টিফিকেট’ দেন বলে পুলিশের দাবি। যে কাকার বাড়িতে চুরির অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল আবুকে, সেই মহসিন হালদার বুধবারও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, জোর করে ভাইপোর বিরুদ্ধে এফআইআরের কাগজে সই করিয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, “এলাকার দু’জন ছেলে আমার বাড়িতে চুরি করে। পুলিশ তাদের ধরে। তবুও ভাইপোকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর করে এফআইআর কপিতে সই করিয়ে নেয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘৪ জুলাই আদালতে যখন ভাইপোকে দেখি, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফেটে গিয়েছে। কথা বলার অবস্থায় নেই। তা সত্ত্বেও পুলিশ জেল হেফাজতে নিতে চাইছিল। আমি উকিল ঠিক করে জামিন করিয়ে বাড়ি নিয়ে আসি। পরে ওকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।” সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন মহসিন। বুধবার দুপুরে মৃত যুবককে কবরস্থ করা হয়েছিল। তখন পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ডাঃ রুইসুদ্দিন ইমতিয়াজ আহমেদ সহ অনেকে।
2024-07-13
অসুস্থ বৃদ্ধার আবাস যোজনার বাড়ির দখল করেছেন তৃণমূলের মিতা দাস, কোলে চেপে মহকুমা শাসককে অভিযোগ করলেন বৃদ্ধা নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: অসুস্থ বৃদ্ধার আবাস যোজনার বাড়ির দখল করেছেন তৃণমূলের মিতা দাস, কোলে চেপে মহকুমা শাসককে অভিযোগ করলেন বৃদ্ধা। আবাস যোজনায় পাওয়া বাড়ি দখল করেছেন তৃণমূল নেত্রী! কোলে চেপে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ অসুস্থ বৃদ্ধা অসুস্থ বৃদ্ধাকে পাঁজাকোলা করে প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে যান পাড়ার ছেলেরা। সঙ্গে ছিলেন বৃদ্ধার সহোদরা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অসহায়। মহকুমা শাসক বলেছেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন। আর আসতে হবে না।’’ পূর্ব বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের হ্যাচারি রোডের বাসিন্দা পুষ্পা চক্রবর্তী। তাঁর পরিবারের দাবি, ইন্দিরা আবাস যোজনায় পাওয়া পুষ্পার বাড়িটি ২০১৯ সালে ভাড়া নেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাস। সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তৈরি হয়। প্রথম দু’বছর নিয়মিত টাকা পেয়েছেন পুষ্পা দেবী। সেই শেষ। তার পর থেকে আর ভাড়ার টাকা পাননি। তাঁর পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘এক কথায় জবরদখল করে রাখা হয়েছে ওঁর বাড়িটি।’’ এখন বয়সজনিত অসুখে ভুগছেন ওই বৃদ্ধা। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। বোন মমতা দেবী মাঝেমাঝে এসে তাঁর দেখাশোনা করেন। মমতার বাড়ি বুদবুদ এলাকায়। তিনি বলেন, ‘‘ভাড়া না পাওয়ায় চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে দিদি। তৃণমূলের মিতা দাসকে একাধিক বার জানানো হয়েছিল। বেশ কয়েক বার তাঁর কাছে বাড়িভাড়া চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।’’ উপায়ন্তর না-দেখে পুষ্পা এই গোটা বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান-২ ব্লকের বিডিওকে জানিয়েছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দিন পনেরো কেটে যাওয়ার পরেও কোনও কাজ-না হওয়ায় মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধা। বিডিও অফিসের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। তৃণমূল নেত্রী যে ঘর ভাড়ায় নিয়ে দলীয় কার্যালয় করেছিলেন, সেই বাড়ি ফেরত পাননি। পাচ্ছেন না ভাড়ার টাকাও। তাই অসুস্থ শরীরে অন্যের কোলে চেপে বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক (উত্তর) তীর্থঙ্কর বিশ্বাসের দ্বারস্থ হলেন এক বৃদ্ধা। ওই ঘটনা শুনে তৃণমূলের বক্তব্য, দোষী প্রমাণিত হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আইন আইনের পথে চলবে। অসুস্থ বৃদ্ধাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাঁজাকোলা করে প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে যান তাঁর পাড়ার ছেলেরা। সঙ্গে ছিলেন সহোদরা মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অসহায়। মহকুমাশাসক বলেছেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন। আর আসতে হবে না।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মাসে বর্ধমানের বড়শুলে বিডিও অফিসে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ‘জবরদখল করা’ ইন্দিরা আবাস যোজনার বাড়িটি ছেড়ে দেবেন তৃণমূল নেত্রী মিতা। অভিযোগ পেয়ে বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস পঞ্চায়েতকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য। তদন্তের রিপোর্ট জমা দেবার পর বিডিও অফিসে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েতপ্রধান মনুশ্রী মণ্ডল, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা এবং বাড়ির মালিক পুষ্পা। বৈঠক শেষে বিডিও জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েতের প্রাথমিক তদন্তের পর ‘ফাস্ট হেয়ারিং’ হয়েছে। পার্টি অফিসের নামে দখল করে রাখা ঘরটি ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই বাড়ি এখনও ফিরে পাননি বৃদ্ধা। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নির্দেশ দিয়েছেন কোনও রকম বেআইনি দখলদারি চলবে না। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে আইনত দণ্ড পাবেন। দল এ রকম কোনও জিনিস বরদাস্ত বা সমর্থন করে না।’’
2024-07-11
গনপিটুনিতে মৃত ইরশাদ আলমের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নিউজ ডেস্ক , লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: গত শুক্রবার কলকাতার একটি ছাত্রাবাসে গণপ্রহারে খুন হয়েছিলেন ইরশাদ আলম। আজ নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল। তাঁরা ইরশাদ আলমের স্ত্রীকে দলের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান। ফোনে তাঁরা আইএসএফের চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। নওসাদ সিদ্দিকী পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ইনসাফ পাবার জন্য আইনী লড়াইয়ে পরিবার চাইলে দল সাহায্য করবে। এছাড়া, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বা অন্যান্য বিষয়ে আর্থিক সহযোগিতার জন্যও দল সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। উল্লেখ্য, স্রেফ সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ইরশাদ আলমকে গত শুক্রবার গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়। কলকাতার চাঁদনি চকের একটি টিভি মেরামতির দোকানে তিনি কাজ করতেন। থাকতেন বেলগাছিয়ার একটি ভাড়াঘরে। মুচিপাড়া থানার নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের একটি সরকারি ছাত্রাবাসে তাঁকে চোর সন্দেহ করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে কতিপয় আবাসিক ছাত্র। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই ঘটনা ফের উস্কে দিয়েছে দশবছর আগের এক দগদগে স্মৃতি। তখন কোরপান শাহ্ নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল এনআরএস হাসপাতালের একটি ছাত্রাবাসে। এই ধরণের ঘটনা কিন্তু এই রাজ্যে প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। ইদানিং ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে উত্তর ২৪ পরগণার বারাসত, অশোকনগর প্রভৃতি স্থানে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। দেখা যাচ্ছে গত এক সপ্তাহের মধ্যে ১২ জনকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছে, যা অতি উদ্বেগজনক। আমরা দেখেছি, পুলিশ এইসব ঘটনায় নামকোয়াস্তে কিছু গ্রেপ্তার করে বিষয়গুলিকে ধামাচাপা দিয়ে দেয়। এই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমেও তোলপাড় তোলা হয় না। তথাকথিত লিবেরালরা চুপ করে থাকেন। তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে যেন লিঞ্চিঙের ঘটনা ঘটে না। কিন্তু এখানেও বিজেপি শাসিত রাজ্যের মতন দলিত-আদিবাসী-সংখ্যালঘুদের ওপর এইরকম হিংসাশ্রয়ী আক্রমণ ঘটে চলেছে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। আমরা এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই। সমাজের গভীরে এই অসুখ প্রবেশ করেছে। এগুলি একটা অসুস্থ সমাজের লক্ষণ। একটি সুস্থ সমাজে এইরকম পাশবিক ঘটনা ঘটতে পারে না।নির্দিষ্ট করে পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষের ওপর অত্যাচার বাড়ছে। সুতরাং যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। অবিলম্বে ২০১৪ সালে সংসদে আনা Prevention of Communal and Targeted Violence (Access to Justice and Reparations) বিলটি বলবত করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই বিষয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী উদ্যোগ নেবেন। আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়াও যারা প্রশাসনের দায়িত্বে আছেন তারা এই ঘটনা আটকাতে যেন স্বতঃসিদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই বিষয়টি আইনে উল্লেখ থাকা দরকার। কোথাও গাফিলতি থাকলে তাদেরও যেন জবাবদিহি করার দায় থেকে মুক্ত না রাখা হয়।
2024-07-09
রথের ভিড়ে গয়না ছিনতাই, মুর্শিদাবাদে পাকড়াও পাণ্ডা স্বপ্না দাসের ‘গ্যাং’ সাতটি সোনার হার নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: হার চুরির অভিযোগ পেয়ে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে তিন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে এমনই তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা। রথের ভিড়ে গয়না ছিনতাই, মুর্শিদাবাদে পাকড়াও পাণ্ডা স্বপ্না দাসের ‘গ্যাং’ সাতটি সোনার হার। তদন্তে উঠে এসেছে, রবিবার রথের মেলাতে ভিড় হবে এবং সেই সময় ছিনতাই করা সুবিধাজনক হবে, এই ভাবনা থেকে স্বপ্না বিমলা এবং বাসন্তী নামে দু’জনকে ‘ভাড়া’ করে নিয়ে আসে।ধৃত তিন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ছিনতাই চক্রের খোঁজে পুলিশ। <> পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চক্রের মূল পাণ্ডা স্বপ্না দাস। তার বাড়ি বহরমপুর থানার ধোপঘাটি এলাকায়। ছিনতাইয়ের কাজে তাকে সাহায্য করার জন্য হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বর খাঁপুকুর এলাকার বাসিন্দা বিমলা খাটিক এবং কলাবাজার এলাকার বাসিন্দা বাসন্তী সাহা নামে আরও দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, রবিবার রথের মেলাতে ভিড় হবে এবং সেই সময় ছিনতাই করা সুবিধাজনক হবে, এই ভাবনা থেকে স্বপ্না বিমলা এবং বাসন্তীকে ‘ভাড়া’ করে নিয়ে এসেছিল। দুই মহিলাকে জেরা করে রবিবার রাতে বহরমপুর থানার পুলিশ স্বপ্নার বাড়িতে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়া সাতটি সোনার হার। পাকড়াও হয় স্বপ্নাও। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত।
2024-07-08
মেটিয়াব্রুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চোখের অপারেশনের গাফিলতি নিয়ে কংগ্রেসের ডেপুটেশন নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: কোলকাতা: আজকে কলকাতা এর মেটিয়াব্রুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কংগ্রেস দলের তরফে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়, মেডিক্যাল সুপারকে। নেতৃত্বে ছিলেন মহ: মুখতার ( সহ -সভাপতি, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি) উপস্তিত ছিলেন আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়( সাধারণ সম্পাদক, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি), তাব্রেজ আলাম, সৌমেন বিশ্বাস, রাজা মোল্লা, রাবিয়া বিবি, রাশিদা খাতুন, সেলিম কাদরী এবং প্রচুর সংখ্যক কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল জানায় যে আপনারা সকলেই জানেন যে চোখের অস্ত্রপচারের নাম করে মানুষ তার দৃষ্টি সংকটে পড়েছে এবং আশ্চর্যের ব্যপার হল কেউ কোন রকমের দায় নিতে চাইছেন না। স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রক্রিয়ার চরম গাফিলতির শিকার মানুষদের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং সুচিকিৎসার দাবি জানানো হয়েছে আজ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে । আপনারা জেনে আশ্চর্য্য হবেন যে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ডাক্তার ও প্রশাসন কে চাপের মধ্যে রাখা হয়েছে কারণ এক বড় নেতা(শাসকদলের), মদতপুষ্ট ম্যানপাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি যারা কি না প্রায় সকল সরকারি হাসপাতালে দাদাগিরি চালাচ্ছে। কিন্তু যোগ্য স্থানীয় মানুষের কাজ জোটেনা। হাসপাতাল এর OT কেনো স্যানিটাইজ করা হয়নি, যারা জড়িত এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা আজও নেওয়া হয়নি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে ।