Sunday 22 December 2024
2024-07-16 | রাজ্য,রাজনীতি | Latest Bengal Today | Views : 216
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: সম্প্রতি কলকাতার একটি ছাত্রাবাসে গণপ্রহারে খুন হয়েছিলেন ইরশাদ আলম। স্রেফ চোর সন্দেহে তাঁকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে মুচিপাড়া থানার নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের একটি সরকারি ছাত্রাবাসের কতিপয় আবাসিক ছাত্র। কলকাতার চাঁদনি চকের একটি টিভি মেরামতির দোকানে তিনি কাজ করতেন। থাকতেন বেলগাছিয়ার একটি একশো বর্গফুটের ভাড়াঘরে স্ত্রী ও দুটি ছোট্ট ছেলে মেয়ের সাথে। আজ এই শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মোহাঃ নওসাদ সিদ্দিকী। পরে তিনি জানান, পরিবারটি খুবই দুর্দশার মধ্যে আছে। বাচ্চা মেয়েটি পড়ে ক্লাস ফাইভে ও ছেলেটি ক্লাস ওয়ানে। তিনি পরিবারটিকে জানিয়েছেন যে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা তিনি দেবেন। পাশাপাশি তিনি পরিবারের একজনকে সরকারী চাকরি দেওয়ার দাবী জানান। এছাড়া পরিবারটিকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের জন্যও দাবী তোলেন। এই জঘন্য হত্যাকান্ডে যারা যুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও তিনি দাবী তোলেন। আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়াও যারা প্রশাসনের দায়িত্বে আছেন তারা এই ঘটনা আটকাতে যেন স্বতঃসিদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই বিষয়টিও দেখতে হবে বলে তিনি জানান। কোথাও কোন গাফিলতি থাকলে তাদেরও যেন জবাবদিহি করার দায় থেকে মুক্ত না রাখা হয়। প্রসঙ্গক্রমে নওসাদ সিদ্দিকী আরো বলেন, আগে বলা হত দেশের অন্যান্য রাজ্য যেমন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে গণপিটুনি হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে থাকছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্বে দিনদিন এইধরণের অনভিপ্রেত ঘটনাগুলি ঘটেই চলেছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাব করছেন যেন কিছুই ঘটছে না। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এখনও কোন বিবৃতি দেননি। পুলিশ নামকোয়াস্তে গ্রেপ্তার করে ঘটনাগুলি ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত। আইএসএফ চেয়ারম্যান বলেছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মতন এখানেও দলিত-আদিবাসী-সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসাশ্রয়ী আক্রমণ ঘটে চলেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। অবিলম্বে ২০১৪ সালে সংসদে ইউপিএ সরকারের আনা Prevention of Communal and Targeted Violence (Access to Justice and Reparations) বিলটি বলবত করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তখন বিলটি বিজেপির বিরোধিতার কারনে সংসদে আইনে পরিনত করা যায়নি। এখানে তো বিজেপি শাসন নেই। তাই রাজ্য সরকারকে অনুরোধ বিলটি বিধানসভায় যেন পাশ করা হয় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হোক।