Sunday 22 December 2024
2024-09-11 | রাজ্য,স্বাস্থ্য | Latest Bengal Today | Views : 112
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: গণউদ্যোগে গড়ে ওঠা হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে এবার শুরু হল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়া। প্রসঙ্গত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দান করা জমিতে ও সাধারণ মানুষের দানে এবং শ্রমজীবী হাসপাতালের আদর্শে গড়ে ওঠে হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল। তিরিশ শয্যার এই হাসপাতালে গত ১৬ এপ্রিল ২০২৩ থেকে শুরু হয় রুগী ভর্তি। এতোদিন এখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুযোগ ছিল না। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হল এই সুবিধা। প্রথম রুগী ছিলেন স্থানীয় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা ক্ষেতমজুর মনোরঞ্জন রায়। মনোরঞ্জন বাবু প্রস্টেটের সমস্যায় ভুগছেন। আচমকা রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রা কমে যায়। ৯ তারিখ ভর্তি হন হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে। শ্রমজীবী ব্লাড সেন্টারের সহযোগিতায় দেওয়া হয় দু ইউনিট রক্ত। মনোরঞ্জনবাবুর পুত্র বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমরা পরের জমিতে ক্ষেত মজুরের কাজ করি। বাবা মা ও ছয় বনের সংসার, বোনেদের বিয়ে হয়েছে। আমিও খুব কষ্ট করে মাস্টার্স ডিগ্রী করেছি সংস্কৃতে। বি এডও করেছি। চাকরি জোটেনি। ক্ষেত মজুরি করেই সামান্য রোজগার করি। স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়ে খুব উপকৃত হলাম। হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালের সম্পাদক সন্দীপন চ্যাটার্জি বলেন, শ্রমজীবী হাসপাতালের আদর্শে আমরা উদ্বুদ্ধ হয়ে গড়ে তুলেছি হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল। এই হাসপাতালও শ্রমজীবী হাসপাতালের মতোই প্রকৃত খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু যাঁদের প্রকৃত খরচও দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প খুবই সহায়ক হবে। শ্রমজীবী হাসপাতালের সহসম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করে হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামীণ মানুষের নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে উঠে অতি অল্প সময়ে এলাকায় স্বাস্থ্য মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে তা সাধুবাদযোগ্য। এভাবেই শ্রমজীবী ভাবধারা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এবার যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে, তার সুফল অবশ্যই গ্রামীণ মানুষজন পাবেন। শ্রমজীবী হাসপাতালের সম্পাদক ডাক্তার অনিল সাহা বলেন, আমাদের মূল শ্লোগানই হল, আমাদের স্বাস্থ্য আমরাই গড়ব। সেই লক্ষ্যেই শ্রমজীবীর পথচলা। এবার সেই পথ আরও সুগম হবে। হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল নিয়ে উচ্ছসিত রুগীর বাড়ির লোকজনও। প্রতিদিনই নানা বহির্বিভাগ চলে, আসছেন রুগীরা। অনেকে ভর্তি হচ্ছেন অন্তর্বিভাগে। তবে সেবিকা নন্দিনী ভট্টাচার্য বলেন, এই হাসপাতালে যাতায়াতের বন্দোবস্তটি আর একটু উন্নত হলে ভাল হয়। সরকার যদি গণপরিবহনের দিকে একটু নজর দেন তাহলে রুগী ও রুগীর বাড়ির লোকের বড় উপকার হয়।