Sunday 22 December 2024
2024-09-04 | রাজ্য | Latest Bengal Today | Views : 238
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: এক সপ্তাহের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিক সাবির মল্লিকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে। না হলে শ্রম দপ্তর ঘেরাও করা হবে বলে অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) চরম হুঁশিয়ারি দিল। আজ কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলের পক্ষ থেকে এক অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএসএফ চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী হরিয়ানায় গো রক্ষা সমিতির হাতে গণপ্রহারে নিহত সাবির মল্লিকের পরিবারের প্রতি রাজ্য সরকার দায়সারা মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এখনো পর্যন্ত হরিয়ানায় রাজ্য সরকারের কোন প্রতিনিধি পাঠানো হয়নি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তৈরি যে বোর্ড আছে, তাদেরও কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পরিবারকে একটা চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই চাকরি স্থায়ী নাকি অস্থায়ী, সেটা বলা হচ্ছে না। এটা রাজ্য সরকারকে সুষ্পষ্টভাবে বলতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও ঐ দলেরই নেতৃত্বে চলা হরিয়ানা সরকারকেও তুলোধোনা করেন নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আজও হরিয়ানার ফরিদাবাদে আরিয়ান মিশ্র নামে এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে গোরু পাচারকারী সন্দেহে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কোন বর্বর রাজত্বে বাস করছি আমরা? এই হত্যাকাণ্ডেরও বিচার দাবি করছি। তিনি বলেন, হরিয়ানা সরকারকে অবিলম্বে সাবির মল্লিকের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই বিষয়ে যাতে কোন গাফিলতি না থাকে সেটা দেখতে হবে। সামগ্রিক বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই দেখতে হবে। শুধু মেকি দরদ দেখানো নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্র ও হরিয়ানা সরকারের ওপর উপযুক্ত চাপ সৃষ্টি করতে হবে বলে তিনি দাবি জানান। নওসাদ সিদ্দিকী আরো বলেন, রাজ্য সরকার কোনধরণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সহ্য করতে পারছে না। তা না হলে গতকাল হাওড়ায় স্টুডেন্ট ফ্রন্টের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর ঐরকম হিংসাত্মক আচরণ হল কেন? পুলিশ আধিকারিকদের মুখের ভাষাও ছিল অতি জঘন্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর মদতপুষ্ট বলেই পুলিশের একাংশ এইধরণের অশোভনীয়, অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে আইএসএফ চেয়ারম্যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরা গণপিটুনিতে মারা যাচ্ছেন অথচ তিনি নিশ্চুপ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন কলকাতায় তিলোত্তমার নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড নিয়ে শুধু এই রাজ্য নয়, গোটা দেশ এমনকি বিদেশেও তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু রাহুল গান্ধীকে কলকাতায় এসে কোন বিক্ষোভ সভা করতে দেখা গেল না। এমনকি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও তিনি দেখা করলেন না। নওসাদ সিদ্দিকী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য সাহাবুদ্দিন গাজী। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এই সমাজটাকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন। অথচ বিপদের সময় হাত গুটিয়ে বসে থাকেন।এই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে আরজিকর কান্ডের দ্রুত বিচারের জন্য সোচ্চার হন এই বিক্ষোভ অবস্থানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, আবদুল মালেক মোল্লা ছাড়াও সাহাদাত শাহ্, সুফিয়া বেগম প্রমুখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন পার্টির রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি তাপস ব্যানার্জি, উপস্থিত ছিলেন মাহিউদ্দিন আহমেদ, মুসা কালামুল্লাহ, বাহাউদ্দীন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।