Sunday 22 December 2024
2024-08-15 | রাজ্য | Latest Bengal Today | Views : 338
ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বিগত কয়েকদিন ধরে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণজনিত হত্যার মতন বিভৎস ঘটনায় সারা রাজ্য উত্তাল। এই নারকীয় ঘটনার সুবিচার চেয়ে ও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবীতে গতকাল মধ্যরাতে যখন কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার, হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে, রাস্তা দখল নিয়েছে, প্রতিবাদে সোচ্চার, তখন হঠাৎই ঐ হাসপাতাল চত্বরের ধর্ণামঞ্চে হামলা চালালো একদল উন্মত্ত দুষ্কৃতী। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠছে রাজ্য সরকার ও পুলিশের দ্বিচারিতা। একটা আন্দোলন চলছে। সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাহলে কেন ঐ গোটা এলাকা সুরক্ষিত রাখা হল না? আমরা দেখছি এই অবস্থায় সংস্কারের বাহানায় ঘটনাস্থলের লাগোয়া ঘর ভাঙা হচ্ছে। গতরাতে দেখা গেছে শুধু ধর্ণামঞ্চ নয়, দুষ্কৃতীরা সেমিনার রুমেও হামলা চালাতে চেয়েছে। এমারজেন্সি বিভাগে আগুন দিয়েছে। উদ্দেশ্য পরিষ্কার, তথ্য প্রমাণ লুঠ। আমাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে রাজ্য সরকার ও পুলিশ এমনকিছু তথ্য আড়াল করতে চাইছে, যেটা উন্মোচিত হলে সরকার সঙ্কটে পড়ে যাবে। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছি। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজ্যের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা- বিচার না পাওয়া, প্রভাবশালীকে বাঁচানো, অন্যায়কে প্রশ্রয়, সরকারের মুখ বাঁচানো- সবই মিলেমিশে আছে। সুতরাং তদন্ত কতটা হবে সেটাই প্রশ্নের মুখে। কিন্তু তা সত্বেও আমরা নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে তদন্ত চাই। ডাক্তারদের আন্দোলন যখন আপামর জনগণের আন্দোলনে পরিনত হচ্ছে, যখন গণ বিস্ফোরণের দিকে এগোচ্ছে, তখন কিছু লুম্পেনকে লেলিয়ে একে ভাঙা হচ্ছে কার নির্দেশে? এর পেছনে অবশ্যই গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রকে টেনে উন্মোচন করতে হবে। সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না। রাজ্যে গণপিটুনি বাড়ছে, পুলিশী হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। আনিস খানের হত্যার কিনারা এখন পর্যন্ত হল না। সম্প্রতি আবু সিদ্দিক হালদার পুলিশের অত্যাচারে মারা গেলেন। প্রসেন মণ্ডল চোর সন্দেহে গণপ্রহারে মারা গেলেন। এইরকম হত্যা অসংখ্য। এই হত্যাগুলির বিচার এখনও অধরা। এই সমস্ত অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারগুলিকে সামনে রেখে দুর্বার আন্দোলন, সংগ্রাম চালাতে হবে। জনগণকে বলব, শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন চালান। এই আন্দোলনের ঝাঁঝ ধাপে ধাপে বাড়াতে হবে। রাজ্যের বাক্যবাগীশ, অকর্মণ্য মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশ দপ্তর চালাচ্ছেন। যে দুটি দপ্তর চালাতে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সুতরাং অবিলম্বে তাঁকে ঐ দপ্তর দুটি ছেড়ে দিতে হবে। আর তাঁর কুর্সি থেকে পদত্যাগ-সেটাও সময়েরই দাবী।