Sunday 22 December 2024
2024-09-10
জনগণের কথা, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: এতদ্বারা সকলকে অবগত করতে চাই যে, আজকে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট আর জি কর ইসুতে যে অন্তর্বতীকালীন রায় দিয়েছে তাতে আমরা খুশী হতে পারছি না। কোর্ট একটা বিষয়ে নির্দেশনামা দিয়েছেন এবং আর একটা বিষয়ে রাজ্যকে এভিডেভিট দিতে বলেছেন। ১. আর জি কর জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে রোগীদের স্বার্থ বিবেচনা করে আগামী কাল বিকেল ৫ টার মধ্যে। না জয়েন করলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমরা এই নির্দেশিকা স্বাগত জানাই। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ বা সাসপেন্ড করার যে দাবি আন্দোলনকারীরা করেছে রাত জেগে, তার কি হল? আমি DBBC র পক্ষে আরো যোগ করতে চাই, সেই ৮-৯ আগস্ট কলকাতার টালা থানার ওসি, ডেপুটি কমিশনার পুলিশ, তদকালীন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তার করার অনেক তথ্য CBI এর হাতে থাকলেও কেন তাদের গ্রেপ্তারে সমস্যা? সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হল দুর্নীতি মামলায়, কিন্তু কেন তাকে FIR বিলম্ব নিয়ে বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ইচ্ছাকৃত বিকৃতি নিয়ে তাকে অভয়ার মর্মান্তিক মামলায় এরেস্ট মেমো ধরানোর নির্দেশিকা কোর্ট দিলেন না? 2. সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সুপ্রীম কোর্ট নিজে থেকে ( Suomoto) আর জি কর মামলা নিজে হাতে নিলেন, অথচ সাম্প্রতিক কালের বিলকিশ বানুকে নৃশংস গনধর্ষণ ও তার পরিবারকে গনহত্যা, কাটুয়ায় ন বছরের শিশুকে মন্দিরে টানা একমাস গনধর্ষণ ও শেষে হত্যা এবং শাসক দলের উকিলদের ধর্ষক খুনীদের পক্ষে মিছিল, উনাওতে বিজেপির বিধায়ক কতৃক দলিত কিশোরী ধর্ষণ ও তিনটি খুন, হাত্রাসে গনধর্ষণ ও ধর্ষিতা নিহত কিশোরীকে পরিবারের সম্মতি ব্যতিরেক পুলিশ কতৃক পুড়িয়ে ফেলা ও ধর্ষকদের জেল থেকে বার করে মালা দেওয়া, মনিপুরে দিবালোকে কুকী মেয়েদের গন ধর্ষণ তান্ডব, দিল্লিতে কুস্তিগীর সংসদের সভাপতি বিজেপি সাংসদ ব্রীজভূষণের কুস্তিগীরদের যৌন নির্যাতন, অতি সন্প্রতি বেনারাসে চার ধর্ষককে জামিন দিয়ে শাসক দল কতৃক তাদের গলায় ফুলের মালা দেওয়া, কনৌজে দুই দলিত কিশোরীকে পিটিয়ে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া, উজ্জয়িনীতে বেলা ১১ টায় ফুটপাতে অজস্র মানুষ ও পুলিশের সামনে দলিত মেয়েকে ধর্ষণ, চার বছর আগে মহারাষ্ট্রে পায়েল নামক আদিবাসী ডাক্তারকে হত্যা করা, সর্বোপরি,মালদার আফ্রাজুলকে রাজস্থানে পুড়িয়ে মারা, গত সপ্তাহে হরিয়ানায় ফরিদাবাদে বাসন্তীর তরতাজা পরিযায়ী শ্রমিককে গোমাংস খাওয়ার মিথ্যা অজুহাতে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারা এবং গত পরশু রাজস্থানে মালদার পরিযায়ী শ্রনিক রোস্তমকে পিটিয়ে মেরে ফেলা -- এসব হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এসবের কোনটি সুপ্রীম কোর্টের চোখে suomoto স্থান কেন এতোদিন পেল না? আর জি কর মামলা নেওয়া প্রশংশনীয় কাজ,, কিন্তু আমাদের প্রশ্ন : কেন বেছে বেছে আর জি করকে নিয়ে বাকিগুলোর একটিকেও নেওয়া হল না? এটা কি বিচারের নিরপেক্ষতা? নাকি বিচারের নামে কেন্দ্রীয় শাসক শ্রেণীকে তুষ্ট করা ও বিরলতম ধর্ষণ -খুনকে কতিপয় বিরোধী দল বা দলগুলির ঘোলা জলে মাছ ধরার সুযোগ করে দেওয়া? 3. সবশেষে মনে করিয়ে দিই, সুপ্রীম কোর্টকে justice delayed is justice denied... বিলম্বিত বিচার মানে বিচার না পাওয়া। শুধু আর জি কর নয়, উল্লেখিত সব কটি ক্ষেত্রে এটা সত্যি, যাদের পরিবারের সদস্যরা বিনিদ্র রজনী যাপন করে চলেছেন শুধু এক বিন্দু ন্যায় বিচারের আশায়। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত, স্বয়ং আদালত রাজনীতিকরণের গাড্ডায় আর লাল ফিতের বাধনে আটকে পড়ে আছে। সবচেয়ে বেশি অবহেলার বলি হচ্ছে ছাপোষা বহুজন সমাজের পরিবারগুলি যাদের জন্য বিচার নীরবে নিভৃতে কাদে। যাদের পাশে নেই মিডিয়া, অর্থ আর খুটির জোর। হায় স্বাধীন ভারত, হায় আজাদী, হায় বিচার। "We want Justice" এর দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মিছিলের ৮ বছরর শিশুটি একদিন জানতে পারবে বিচার নামক প্রহসনের ইতিবৃত্তান্ত। জানতে পারবে, বিচার কিনে নেয় এ দেশে ধনিক বনিক আর উচ্চবর্ণীয় উচু তলার গুটিকয়েক মানুষ। লিখেছেন ড. শামসুল আলম সভাপতি, দেশ বাচাও বাংলা কমিটি
2024-08-31
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: তিন সপ্তাহ গড়িয়ে গেল। ন্যায়বিচার এখনও অধরা। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের ভেতর গভীর রাতে যে চিকিৎসক-ছাত্রী নৃশংসভাবে ধর্ষিত ও খুন হয়েছেন তার তদন্ত চলছেই। কিন্তু মাঠে-ময়দানে-রাস্তায় আন্দোলন, বিক্ষোভের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করলেও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের এক স্বর জাস্টিস ফর আর জি কর। সেই ন্যায়বিচারের জন্য আজ মহানগরী কলকাতায় সুবিশাল প্রতিবাদ মিছিলে পথ হাঁটলেন কয়েক হাজার মানুষ। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে গ্রামবাংলা থেকে মানুষের ঢল নেমেছিল শিয়ালদা চত্বরে। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির মফস্বল শহর থেকে প্রচুর মানুষও। ছিলেন অসংখ্য মহিলাও। হঠাৎ ধেয়ে আসা ক্ষণিকের বৃষ্টিও হার মেনেছে। মানুষগুলি পথ হেঁটেছেন। গন্তব্য শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়। আর জি কর কাণ্ডের ন্যায়বিচার ছাড়াও মিছিল থেকে আদিবাসী তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদার খুনেরও বিচার চাওয়া হয়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অরাজকতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবী ওঠে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিশাল এই মিছিলটি শ্যামবাজার পাঁচমাথার কাছে এলে পুলিশ গতিরোধ করে। শ্লোগানে, শ্লোগানে উদ্বেলিত এই মিছিল পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কিছুটা এগিয়েও যায়। এখানেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তিন সপ্তাহ কেটে যাবার পরেও এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের কোন কিনারা না হওয়াকে তিনি তীব্র সমালোচনা করেন। রাজ্য সরকার অপরাধীদের আড়াল করছেও বলে তাঁর অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর ধর্ষণের শাস্তির প্রশ্নে নতুন আইন নিয়ে আসার ঘোষণাকে তিনি রাজনৈতিক চমক বলে অভিহিত করেন। মানুষের তীব্র ক্ষোভ থেকে বাঁচতে তিনি এই কথা বলছেন। ধর্ষণের শাস্তি তো দেশে চালুই আছে, আবার নতুন করে আইনের কি আছে? তৃণমূল কংগ্রেসের পোষা গুণ্ডা, মস্তান দিয়ে এই গণজাগরণকে যদি রুখতে যান মুখ্যমন্ত্রী, তার ফল ভালো হবে না বলে আইএসএফ চেয়ারম্যান হুঁশিয়ারি দেন। পাশাপাশি সিবিআই-এর শম্বুক গতিতে চলা তদন্তেরও কড়া সমালোচনা করেন নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমরা তাদের তদন্তের গতি প্রকৃতির দিকে নজর রাখছি। কয়েকদিন পরেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই হাজিরা দেবে। প্রয়োজনে প্রতিবাদ মিছিলের অভিমুখ সিবিআই দপ্তরের দিকেও ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরে, নওসাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে রাজ্য কমিটির একটি প্রতিনিধিদল আর জি কর হাসপাতালের গেট পর্যন্ত যায়। কিন্তু পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে ঢুকতে না দিলে, ধর্মঘটী চিকিৎসকদের কয়েকজন গেটের বাইরে এসে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আইএসএফ ধর্মঘটী চিকিৎসকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। আজ মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন নওসাদ সিদ্দিকী ছাড়াও দলের রাজ্য কমিটির কার্যকারী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক, রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি ছাড়াও রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষে সাহাবুদ্দিন গাজী, তাপস ব্যানার্জি, আবদুল মালেক মোল্লা, লক্ষীকান্ত হাঁসদা, কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, সাওন দাস, জুবি সাহা প্রমুখ।
2024-08-23
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে:মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা শ্রী তেজস্বী যাদব জি "ওয়াকফ বোর্ড সংশোধন বিল" সিরিজে মুখতালিফ মুসলিম তানজিমন এর কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাত করেন এবং ওয়াজ ও তফসিল-যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন। Tejashwi Yadav জি বলেছেন যে আমাদের দল এবং জাতীয় সভাপতি শ্রদ্ধেয় Lalu Prasad Yadav জি শুরু থেকেই বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে প্রতিটি বিষয়ে এবং কোন ধর্মীয় বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সংবেদনশীল। এই সংশোধনগুলি শুধু মুসলমানদের উপর প্রভাব ফেলবে না বরং অন্যান্য ধর্মের ধর্ম, ধর্ম ও সম্পত্তি আদেশ এবং একটি ভুল চেহারা স্থায়ী হবে। তেজস্বী যাদব বলেছেন যে আমাদের দল দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ত্যানা ভেঙ্গে ধর্মীয় উন্মত্ততা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মোদি-নিতিশ এনডিএ-র এই অসাংবিধানিক, অপ্রয়োজনীয় প্রস্তাবিত সংশোধন বিলের তীব্র বিরোধিতা করে। তেজস্বী যাদব তার আগত প্রতিনিধি দলকে সান্ত্বনা দিয়েছেন যে আমরা তার সাথে আছি এবং কোন মূল্যে সংসদ পাস হতে দেব না এবং সব ফোরামে এই লড়াই লড়বো। আফসোস বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এই বিলের সমর্থনে আছেন।
2024-08-20
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহত হয়ে যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত আছেন, এমন সকল রোগীর মাঝে আজ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাইখ আহমাদুল্লাহ, মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, সমন্বয়ক সারজিস আলম সহ আরো অনেকে। উল্লেখ্য, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের মাঝে ৫ কোটি টাকার চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান আছে। প্রয়োজনে এই ফান্ড আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আছে। সকল আহত ভাইবোন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন—আমরা সেই দোয়া করি।
2024-08-17
প্রখ্যাত বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী সংবর্ধিত হয়েছিলেন বর্ধমান টাউন হলে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই ফেব্রুয়ারি বুধবার বৈকাল তিন ঘটিকায় বর্ধমান টাউন হলে সংবর্ধিত হয়েছিলেন প্রখ্যাত বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী মহাশয়। ঐদিন ই বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে সকাল এগারোটায় বাম ৭০ মাইল ,বাইপাসের ধারে (বর্তমানে উল্লাস উপনগরী) একটি মাদ্রাসা ও মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। উক্ত মাদ্রাসার নামকরণ ছিল "মাদ্রাসা কাঞ্জুল উলুম "অর্থাৎ জ্ঞানালয় বা উচ্চশিক্ষালয় যা আদতে বিশ্ববিদ্যালয়) মাদানী সাহেব ভুল ধরিয়ে দিলেন তিনি জানালেন এটি একটি সাধারণ মাদ্রাসা অর্থাৎ বিদ্যালয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না, এই কথা শুনে এলাকাবাসী ও জমিদাতা আনোয়ারা খাতুন ও আসগরি খাতুন নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। মাদানী সাহেব মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর ও মাদ্রাসার নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী মোঃ হোসেনের পত্নী জমি দাতা আসগরি খাতুনের অনুমতি ক্রমে মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বীর সৈনিক হযরত সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানী র স্মৃতির উদ্দেশ্যে নামকরণ করা হয় "বাম মাদ্রাসা হুসেনিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া"। এবং মসজিদের নামকরণ করা হয় মাদানী মসজিদ। বৈকাল তিন ঘটিকায় মাদানী সাহেবের গাড়ির কন ভয়ে ১০০ মোটরসাইকেল নিয়ে বর্ধমানের যুব বৃন্দ টাউন হল ময়দান ও হলে প্রবেশ করেন। কোনায় কোনায় লোকে লোকারণ্য তিল ধারণের জায়গা নাই , হল ছাপিয়ে গোটা মাঠে মানুষের মাথা গিজগিজ করছে । নির্দিষ্ট সময়ে সভা শুরু হয়, সংবর্ধিত হয়ে তিনি বক্তব্য রাখতে ওঠেন। বক্তব্যে উঠে আসে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পিছনে আলেমদের ও সাধারণ মুসলমানদের অবদানের কথা, রেশমি রুমাল অর্থাৎ রেশমপত্র যা ১৯১৩ থেকে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দেওবন্দী নেতাদের কর্তৃক সুসংগঠিত আন্দোলনের কথা, জমিয়ত উলেমা ই হিন্দ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ২৩ শে নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় যা একটি সর্বভারতীয় উলেমাদের পরিষদ এবং তাদের দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে লড়াইয়ের ইতিহাস, তুলে ধরেন দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয় যার নাম দারুল উলুম দেওবন্দ ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে মে উত্তরপ্রদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় শিক্ষা এবং দেশের স্বাধীনতা ত্বরান্বিত ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সৈনিক তৈরীর উদ্দেশ্যের কথা, উঠে আসে মাল্টার বন্দি- মুসলমান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা। সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী (সাইখুল হাদিস অর্থাৎ হাদিস শাস্ত্রে গভীর জ্ঞান এবং আমিরুল হিন্দ অর্থাৎ হিন্দুস্তানের নেতা) জন্ম ২ ই এপ্রিল ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে, অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদে, মৃত্যু ৬ ই ফেব্রুয়ারি ২০০৬ দিল্লি অ্যাপেলো হসপিটাল। সমাধি উত্তর প্রদেশ দেওবন্দে। পিতা - সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানী- বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ইসলামিক পন্ডিত , ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত করেন এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তার সম্মানে ডাক টিকিট বের করেন,(জন্ম ৬ ই ডিসেম্বর ১৮৭৯ মৃত্যু- ৫ ই ডিসেম্বর ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ। পুত্র - সাইয়্যেদ মাহমুদ মাদানী, ভাই- সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী। সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী ১৯৭৪ থেকে ১৯৮০, এবং ৮০ থেকে ৮৬ এবং ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্য সভার সম্মানীয় সদস্য ছিলেন। রাজনীতি - ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। একদিকে ছিলেন রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় নেতা , ইসলামিক চিন্তাবিদ,শিক্ষাবিদ- অধ্যাপক এবং সুসংগঠক, ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে স্নাতকোত্তর -দারুল উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে । ১২ বছর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন, তারপর দীর্ঘদিন মদিনায় শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক কারণে বসবাস করেন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে জমিয়ত উলামা ই হিন্দ উত্তর প্রদেশের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট সর্বভারতীয় সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ১১ ই আগস্ট সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ৩২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিবেশী পূর্ব পাকিস্তানের অধুনা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন, সারাদেশে উদ্বাস্তুদের ত্রাণ শিবিরে পর্যাপ্ত খাদ্য বন্টন করতেন, পঞ্চাশ হাজার ভারতীয় মুসলিম ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে দিল্লিতে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছিলেন, ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম পূর্ব পাকিস্তান গিয়েছিলেন তারপর ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ সফর করেছেন ২০০৫ পর্যন্ত। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী সাহেবকে বাংলাদেশ সরকার মরণোত্তর "বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মৈত্রী সম্মাননায়" ভূষিত করেন। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ২৩ ও ২৪ শ এপ্রিল সাইয়্যেদ আসআদ মাদানীর সম্মানে নয়া দিল্লিতে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছিল, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী সাহেবের সংসদীয় বক্তৃতা প্রকাশ করেছিলেন। তথ্যসূত্র- সেখ মনোয়ার হোসেন ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে ১৬ ই ফেব্রুয়ারি দুটি অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন এবং ভাই সাইয়্যেদ আরসাদ মাদানী ও পুত্র সাইয়্যেদ মাহমুদ মাদানী সাহেবের সঙ্গে আলাপচারিতায় তথ্য সংগ্রহ। কিছু তথ্য গুগল থেকে সংগ্রহ। চিত্র গুগল থেকে সংগ্রহ । লিখেছেন ঐতিহাসিক, শিক্ষা দরদী সেখ মনোয়ার হোসেন, বর্ধমান। ১৭/৮/২৪ ।
2024-08-12
উড়িষ্যায় বাঙালিদের উপর লাগাতার হামলার বিরুদ্ধে উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের নিযুক্ত সেকশন অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ নওসাদ সিদ্দিকীর নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া বহু পরিযায়ী শ্রমিক, ফেরিওয়ালা ইদানিং নানানধরণের হেনস্থা এমনকি শারিরীক নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। এইরকম বেশকিছু ঘটনা সংবাদপত্র ও সামাজিক মাধ্যমগুলির মধ্য দিয়ে আমাদের নজরে এসেছে। ওখানকার একশ্রেণি মানুষের মধ্যে চরম সাম্প্রদায়িক ও প্রাদেশিকতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়। এইসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ কলকাতার উৎকল ভবনে গিয়ে ওখানে উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের নিযুক্ত সেকশন অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। তার মাধ্যমে ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝিকে একটি চিঠিও দিয়েছি। ঐ চিঠিতে অবিলম্বে এইরকম অনভিপ্রেত ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। সাক্ষাতে জানিয়েছি ওড়িশার বহু শ্রমিক আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস, সব কিছু আমাদের রাজ্য দায়িত্ব পালন করছে। তেমনই ওড়িশা সরকারেরও উচিত সেখানকার পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক তথা বাংলার মানুষদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এছাড়া, আজই আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়ে এই ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আক্রান্তরা যাতে খুব দ্রুত এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে সেজন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ সহ টেলিফোন নম্বর চালু করার আবেদন জানিয়েছি। এছাড়া এই বিষয়গুলি যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেজন্য একটি নোডাল অফিসার নিয়োগেরও আবেদন চিঠিতে জানানো হয়েছে।
2024-08-11
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: মন্দির থেকে কষ্টি পাথরের কোটি টাকার মূর্তি চুরি। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার আহিরন থেকে গ্রেপ্তার করা হলো মুল অভিযুক্ত রনবীর ঠাকুর নামে এক যুবককে। পুলিস সূত্রে খবর, ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার জিরুয়াবাড়ি এলাকার একটি প্রাচীন মন্দির থেকে কষ্টি পাথরের হনুমান মুর্তি চুরি করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। স্থানীয়দের হাতে কয়েকজন ধরা পড়লেও চুরি হওয়া মুর্তি নিয়ে চম্পট দেয় মুল অভিযুক্ত রনবীর ঠাকুর। গোপন ডেরায় মূর্তিটি রেখে ট্রেনে চেপে সুতির আহিরনে পৌঁছে যায় সে। যদিও ঝাড়খন্ড পুলিশ ফোন লোকেশন ট্যাপ করে বিষয়টি নজরে আসতেই সুতি থানার পুলিশকে খবর দেন। তারপরেই আহিরন থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে সুতি থানার পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অভিযুক্তকে ঝাড়খন্ড পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চুরি হয়ে যাওয়া কষ্টি পাথরের মূর্তিটির মূল্য কয়েক কোটি টাকা বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
2024-08-08
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: প্রধান উপদেষ্টা : ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা: ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন- ১০. সুপ্রদিপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুকী আযম
2024-08-08
মনোয়ার হোসেইন, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বর্ধমান শহরে তেতুলতলা বাজারের লস্কর দিঘি মহল্লাতে সাজো সাজো রব, সাধারণ মানুষ সাংবাদিক ভিড় জমিয়েছেন মহাম্মদ হোসেনের বাড়িতে, পুত্র আস্তাক হোসেন ওরফে বাবু জানালেন যে তার দুলাভাই অর্থাৎ জামাইবাবু মহাম্মদ ইউনুস সাহেব পড়শি দেশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে যোগদান করেছেন। মহাম্মদ ইউনুস 28 জুন ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতের চট্টগ্রাম হাটহাজারীর বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হাজি দুলামিয়া মাতা সুফিয়া খাতুন। নয় ভাই বোনের তৃতীয় সন্তান। বাংলাদেশের সামাজিক উদ্যোক্তা ,অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ তিনি ই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হলেন ৮ ই আগস্ট ২০২৪। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্র বিত্ত ধারণার প্রবর্তনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেছিলেন । বর্তমান বয়স ৮৪ বছর। বিশ্ব ইতিহাসে মাত্র ১২ জন এক সঙ্গে নোবেল, আমেরিকান প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড ও মার্কিন কংগ্রেসানাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তাদের অন্যতম মহাম্মদ ইউনুস, সেদিক থেকে বিচার করলে তিনি এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানীয় বিশ্ব পথিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি। মেট্রিকুলেশনের ১৬ তম স্থান পেয়েছে । স্বাধীনতা বিষয় পুরস্কার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার ১৯৯৪, আন্তর্জাতিক গান্ধী পুরস্কার ২০০০, নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৬, ভলভো পরিবেশ পুরস্কার ২০০৩, যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম ২০০৯, কংগ্রেসনাল গোল্ড মডেল ২০১০। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকাতে ফুল স্কলারশিপে গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি নাগরিক কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকাতে সমর্থন সংগ্রহ অংশগ্রহণ করে হইচই ফেলে দেন এবং স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করেন। ১৯৭৫ থেকে ৮৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন ১৯১২ থেকে ১৯১৮ স্কটল্যান্ড এর গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলার ছিলেন। ১৯ ৯৬ খ্রিস্টাব্দে সাবেক বিচারপতি মোঃ হাবিবুল্লাহ রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা দায়িত্ব ইতিমধ্যে পালন করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ভেরা ফরোস্টোনকোর নামের এক রাশিয়ান কন্যাকে আমেরিকায় পড়াশোনার সুবাদে পরিচিতি ও বিবাহ ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে একটি কন্যা সন্তান মনিকা ইউনুস জন্মগ্রহণের তিন মাস পরই ডিভোর্স হয়ে যায়। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে মহাম্মদ ইউনুস দ্বিতীয়বার আফরোজি বেগমকে বিবাহ করেন তখন আফরোজি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিদ্যা নিয়ে পিএইচডি করছেন তখন পরিচয় ও বিবাহ পরবর্তীকালে জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে একটি কন্যা সন্তান গ্রহণ করেন যার নাম দেনা আফরোজ ইউনুস। আফরোজী বেগমের অর্থাৎ মহাম্মদ ইউনুসের শ্বশুরবাড়ি বর্ধনের তেঁতুলতলা বাজারের লস্কর দিঘিতে। শশুরের নাম মোঃ হোসেন শাশুড়ি মা সিতারা বেগম। তৎকালীন যুগে মোঃ হোসেন ছিলেন বর্ধমান আদালতের স্কোর যিনি ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে মেট্রিকুলেশনে প্রথম বিভাগে পাশ করে নজর পেরেছিলেন ব্রিটিশ এবং বর্ধমান বাসির। মোঃ হোসেনের ১০ সন্তান সকলকেই মানুষের মতন মানুষ করেছিলেন। প্রথম সন্তান আনিসুল হোসেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান বাস্তুকার ও বোর্ড মেম্বার । দ্বিতীয় সন্তান আলতাফ হোসেন ইউএসএ নিউইয়র্কের সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিক, তৃতীয় সন্তান আশফাক হোসেন বাবু বর্ধমানে মা সিতারা বেগমকে নিয়ে নিজের সুপার মার্কেট পরিচালনা করেন, চতুর্থ সন্তান ফিরজি বেগম বাংলাদেশের একটি কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপিকা, পঞ্চম সন্তান চিকিৎসক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, ষষ্ঠ সন্তান আফরোজি বেগম ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা যিনি মোঃ ইউনুসের সহধর্মিনী, সপ্তম সন্তান ফেরদৌসী বেগম লন্ডনে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, অষ্টম নবম দশম তিন মেধাবী সন্তান অকালে মারা গেছেন। ইউনুস সাহেবের স্ত্রী অর্থাৎ আফরোজী বেগম বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে স্নাতক তারপর বড় ভাই আনিসুল হকের কাছে চলে যান এবং সেখান থেকেই পদার্থবিদ্যায় গবেষণা ও পিএইচডি করতে লন্ডন পাড়ি দেন। মোঃ ইউনুস ও আফরোজি বেগম ১৯৮৬ ৮৭ খ্রিস্টাব্দে ৩৭ বছর আগে শেষবার বর্ধমান এসেছিলেন দিল্লি থেকে ফেরার পথে একদিনের জন্য বর্ধমান ছিলেন। বর্ধমানের জনগণ আনন্দে আত্মহারা তাদের ঘরের জামাই পরশি দেশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নিযুক্ত হওয়ায়।
2024-08-07
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: মাওলানা শরিফ মুহাম্মদ সাহেব দা,বা কে অন্তর্বর্তীলীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সদস্য হিসেবে যুক্ত করার দাবি। কারণ হুজুরকে নিছক আলেম না বরং সমাজ সাংস্কৃতি এবং দুনিয়ার মারপ্যাঁচ সম্পর্কে জ্ঞাত একজন আলেম বললে ভুল হবে না। সংক্ষেপে হযরতের প্রোফাইল দেখে নিতে পারেন - মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বিশিষ্ট ইসলামী লেখক, সাংবাদিক, চিন্তাবিদ, আলোচক, শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশের মিডিয়াঙ্গনকে আলোকিতকারী একজন আলেমে দীন। তিনি বাংলাদেশের সমসাময়িক বিষয়ে বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে (বিবিসি বাংলা) কথা বলে আসছেন। জাতি বিনির্মাণে বিভিন্ন জাতীয় সমস্যা ও তার সমাধানে একজন চিন্তাবিদ এবং প্রেরণাদায়ক আলোচক হিসেবে তিনি সর্বজন পরিচিত মুখ। সাংবাদিকতার পাশাপাশি শিক্ষা , সাহিত্য ও দাওয়াতি অঙ্গনে ইসলামের সঠিক দিশা প্রচারের মাধ্যমে বাঙ্গালি জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯৭১ সালে, ময়মনসিংহে। পড়াশুনাঃ জামিয়া ইসলামিয়া ময়মনসিংহের নুরানি বিভাগে ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়ে পড়াশোনা জীবনের শুরু। এক বছর পড়েছেন কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন জামিয়া নুরিয়া বাগে জান্নাত মাদরাসায়। ১৯৯২ সালে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন জামিয়া কোরআনিয়া, লালবাগ, ঢাকা থেকে। সাংবাদিকতাঃ ইসলাইম টাইমস ২৪ (অধুনালুপ্ত) এর সম্পাদক ছিলেন (২০১৮-২০২১)। ১৯৯২-৯৩ সালে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান প্রতিষ্ঠিত সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানে লিখতে শুরু করেন। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশ হলে সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। এ ছাড়া তিনি মাসিক আল কাউসারের নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক যমযমের সম্পাদক ও সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান, মাসিক আল জামেয়া ও বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটনেটের সম্পাদনা বিভাগে কাজ করেছেন। লেখকঃ সম্পাদনা করেছেন বেশ কিছু মূল্যবান স্মারকগ্রন্থও। এর মধ্যে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) স্মারকগ্রন্থ, মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) স্মারকগ্রন্থ এবং আল্লামা গহরপুরী (রহ.) স্মারকগ্রন্থ উল্লেখযোগ্য। ‘সাহাবায়ে কেরামের গল্প’ (১৯৯৬) তার প্রথম বই। প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় ৩০টি। শিক্ষকঃ মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া (দাওয়াহ বিভাগ স্নাতকোত্তর) এবং জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া (দাওয়াহ বিভাগ স্নাতকোত্তর) তে শিক্ষকতার সাথে জড়িত আছেন।
2024-08-07
প্রথম প্রহরে রাজনীতির ভাবনা নিবন্ধে আজ এমনকিছু কথা লিখতে বসেছি যা আমাদের অনেকের মনঃপূত হবে না। মনঃপূত না হলেও আমরা পারস্পরিক সম্মানের জায়গা থেকে দ্বিমত করবো—এটাই এই স্বাধীনতার সৌন্দর্য। কথা বলতে পারার জন্যই তো এই স্বাধীনতা। শুরুতেই বলে রাখি, আমি একজন অরাজনৈতিক মানুষ। আমি কোনো দল করি না এবং কোনো দলের প্রতিনিধিত্বও করি না। তবে, মানুষ হিশেবে অরাজনৈতিক হলেও, আমি অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন। সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার লেখালেখি শুরু হয় রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে অ্যাক্টিভিজমের মাধ্যমে। ২০১২/২০১৩ সালের দিক থেকে যারা আমার লেখালেখির সাথে যুক্ত তারা জেনে থাকবেন সেটা। রাজনৈতিক সচেতনতার জায়গা থেকে তাই আজ কিছু কথা লিখে রাখতে চাই। দেশের অনেক জায়গায় অনেক হামলা, ভাঙচুর আর ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এগুলো নিঃসন্দেহে গর্হিত কাজ আর আচরণ। কিন্তু বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এই ধরণের ক্যাওয়াজ বেশ অবশ্যম্ভাবী। আটকানো যায় না কোনোভাবে। আমরা শ্রীলঙ্কায় দেখেছি। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন তারাও জানেন স্বাধীনতা পরবর্তী এই দেশে কীরকম অন্তর্কোন্দল আর হানাহানি, লুটতরাজ শুরু হয়েছিল। নব্বইয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন পরবর্তী সময়েও সেটা দেখা গেছে। কিন্তু, এটা কেনো হয় জানেন? এটা হয় পাওয়ার ভ্যাকুয়ামের জন্য। ঠিক এই কারণে যতো দ্রুত অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করে ফেলা যাবে, ততো দ্রুতই এর লাগাম টেনে ধরা যাবে। ততো দ্রুত সারাদেশে আইন এবং আইনি সংস্থা অ্যাক্টিভ করে ফেলা যাবে। এখানে আরো কতোকগুলো বিষয়াদি আছে। পাওয়ার ভ্যাকুয়ামের এই সময়টা একইসাথে ভাইটাল এবং ভোলাটাইল (গুরুত্বপূর্ণ এবং টালমাটাল)। কারণ, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে ঠিক, কিন্তু তার সকল সফট পাওয়ারগুলো দেশে বিরাজমান আছে। তারা জোরেশোরে চেষ্টা চালাবে দেশে অরাজকতা আর নাশকতা সৃষ্টি করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে যাতে এই বিপ্লব যারা করেছে দেশ বিদেশে তারা নাশকতাকারী বলে চিহ্নিত হয়। ফলে, শেখ হাসিনা যে এতোদিন বহির্বিশ্বকে বোঝাতো—সে না থাকলে দেশ মৌলবাদীদের খপ্পড়ে পড়ে ধ্বংস হবে, শেখ হাসিনার সেই দাবির পক্ষে প্রমাণ তৈরি হয়। সারাদেশে ঘটমান অরাজকতাগুলো যতোটা না পলিটিক্যালি মোটিভেটেড, তারচেয়ে বেশি এই ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই আমার বিশ্বাস। আফটারঅল, ভারত যে এতো সহজে এই হার মেনে নিবে সেটা কল্পনা করাটা বোকামি। সুতরাং, আমাদের প্রথম কাজ হলো এই সকল অরাজকতা, হানাহানি, মারামারি এবং ভাঙচুরগুলো থামানো। আর, যতো দ্রুত অন্তবর্তীকালীন সরকার আসবে, এটা ততো দ্রুত সহজ হবে। তাই, অন্তবর্তীকালীন সরকারই আমাদের মূল প্রায়োরিটি। দ্বিতীয়ত, এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কেমন হবে? বাজারে যে ৩ থেকে ৫ বছরের কথা শোনা যাচ্ছে, তা কি যুক্তিযুক্ত? আমার মতে, অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি ৩ বা ৫ বছরের জন্য হয়, সেটা একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। মোটাদাগে এটা দেশের জন্য কল্যাণের হবে না। কেনো হবে না ব্যাখ্যা করি। দেশ পরিচালনার জন্য দরকার জনগনের ম্যান্ডেডে নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত সরকারের জন্য দরকার একটা ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশান। অন্তবর্তীকালীন সরকার যতো স্বচ্ছ আর নিরপেক্ষই হোক, মনে রাখতে হবে তারা ভোটে জয়ী হয়ে আসা সরকার নয়। দেশের আপামর জনসাধারণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয় এই সরকার। অন্তবর্তীকালীন সরকার যেহেতু নির্বাচিত সরকার নয়, তাই দেশের প্রতিটা কোণের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ তার পক্ষে অসম্ভব হবে। দেশের গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা আর বিভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রাজনৈতিক বিভাজনের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পারে কেবলমাত্র সেই অঞ্চলের নির্বাচিত প্রতিনিধি। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকারের সেরকম প্রতিনিধি নেই এবং সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে গোটা দেশ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে শৃঙ্খলা তো আসবেই না, বরং ক্যাওয়াজ আরো বাড়বে। ১/১১ পরবর্তী সময়টা যারা দেখেছেন তারা জানেন এটার বাস্তবতা। দ্বিতীয় আশংকা হলো, এই অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য আসে, সেই সুযোগটা পুরোদমে নিতে পারে আওয়ামিলীগ। মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা ও আওয়ামিলীগের সমস্ত সফট পাওয়ার এখনো বিদ্যমান। দেশের সমস্ত ইন্সটিটিউশানে তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যদিও এখন বোল পাল্টেছে। তারউপর, ভারত ভীষণভাবে তোড়জোড় চালাবে শেখ হাসিনা বা আওয়ামিলীগকে রি-ফর্ম করতে। অন্তবর্তীকালীন সরকার যেহেতু ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়, তাই দেশের মধ্যে নানান ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে রাখতে চাইবে। এই অস্থিতিশীলতায় ভুগতে ভুগতে জনগন ক্লান্ত হবে, বিরক্ত হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যাপকভাবে। ভেঙে পড়বে রাষ্ট্রের সকল ফাংশনাল ইন্সটিটিউশান। একদা মানুষের মনে হবে—‘শেখ হাসিনাই তো ভালো ছিলো’ (ইতোমধ্যে এই বয়ান বাজারে চালু হয়ে গেছে)। একদিকে আওয়ামিলীগ ও হাসিনার প্রতি একটা সিম্প্যাথি তৈরি করা হবে, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় ইন্সটিটিউশানে থাকা হাসিনার সফট পাওয়ারেরা ক্যু করে বসবে। ব্যস, পরেরদিন সকালে দেখতে পাবেন আওয়ামিলীগ আবার ক্ষমতায় এসে বসেছে। আপনি বলতে পারেন—এবার শেখ হাসিনাকে যেভাবে তাড়ানো হয়েছে, সেই জনগন তো আর হাওয়া হয়ে যায়নি। সকলে আবার রাস্তায় নামবে। আপনাদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলি—দুই বা তিন বছর তো বহু দূরে, ৫ ই আগষ্ট যে স্বতঃস্ফূর্ততায় মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, সেই মোমেন্টাম ইতোমধ্যেই অর্ধেক হয়ে গেছে। আন্দোলনকারীদের আরেকটা গনজমায়েতের ডাক দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে বলুন। ঠিক এজন্যেই বলে—লোহা গরম বা তাঁতানো অবস্থায় থাকতেই বারি দিতে হয়। তৃতীয় আশঙ্কা হলো, শেখ হাসিনা সহ আওয়ামিলীগের সকল পলিসি মেকারেরা সেইফ এক্সিট পেয়েছে। এতো অত্যাচার, নির্যাতনের জন্য তাদের কি বিচার হওয়া উচিত ছিলো না? কিন্তু, কী উদ্দেশ্যে তাদেরকে সেইফ এক্সিট দেওয়া হলো? কারা দিলো তা তো আমরা দেখেছি—সেনাবাহিনী। শেখ হাসিনাকে সেইফ এক্সিট দেওয়া সেনাবাহিনীকে নিয়েই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাজকারবার হবে। যে সেনাবাহিনীর ওপর ভর করে আওয়ামিলীগের সকল পলিসি মেকারেরা নির্বিঘ্নে সরে যেতে পেরেছে, আমাদের কি এই আশঙ্কাও করা উচিত না যে—সেই সেনাবাহিনী খুব করে চাইবে হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় পুনর্বহাল করতে? মোদ্দাকথা, আমার মনে হয় অন্তবর্তীকালীন সরক
2024-08-07
আন্দোলনকারী ছাত্রজনতা বাংলাদেশকে বিশ্ববেহায়া স্বৈরাচারী হাসিনার শাসন থেকে মুক্তির সংগ্রামে জয়লাভ করেছে। এর জন্যে দেশের বিপ্লবী ছাত্রজনতা ও তরুণ সমাজকে অভিনন্দন। এই বিপ্লব আর সংগ্রাম শুধুমাত্র ছাত্রদের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে এই চিন্তা যদি কেউ করে থাকেন তাহলে ভুল করবেন! ছাত্রসমাজের ত্যাগ গত এক মাসের। কিন্তু এই ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসন আর জুলুম নিপীড়নের শিকার হয়ে গত ১৫ বছর থেকে বিভিন্নভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে এদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামী সংগঠন। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির অন্ততপক্ষে অর্ধলক্ষ লোক কারাবন্দী হয়ে জুলুম নির্যাতন খুন গুমের শিকার হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়ে শহীদ করার পর সারাদেশে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে গত ১৫ বছর যাবৎ। সবচে ভয়াবহ যে গণহত্যা করেছে খুনি হাসিনার সরকার তা হলো হেফাজতের নেতৃবৃন্দকে একরাতে টিভি টেলিভিশন বন্ধ করে হাজারের উর্ধে নিরীহ ছাত্র ও আলেমদেরকে ক্র্যাকডাউন করে শহীদ করে দিয়েছে। রাজধানীর শাপলাচত্বরকে রক্তের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। যে গণহত্যা স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ এর আগে কখনও কল্পনাও করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, শহীদ হেফাজত কর্মীদের লাশ গুম করেছে, তাদের সঠিক তালিকাটাও করতে দেয়নি ডাইনি হাসিনার সরকার। জমিয়ত, খেলাফত ও হেফাজতের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপর বছরের পর বছর বিনা বিচারে জেল জুলুম নির্যাতন করেছে। ওলামায়ে কেরামকে গুম খুনের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে অন্য দল থেকে বিভক্ত করিয়েছে। জেলের ভয় দেখিয়ে দ্বীনের দাওয়াত বন্ধ করে দিয়েছে। শুধুমাত্র চিহ্নিত বামঘরাণার পান্ডারা ছাড়া দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের এইসব জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক দল ও ইসলাম পন্থীদের ত্যাগ বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে আমি কম্পেয়ার করব না, কিন্তু ছাত্রদের কেউ কেউ যদি মনে করে এই আন্দোলন শুধুমাত্র তাদেরই ত্যাগ আর অর্জন তাহলে তারা ভুল করবেন। গত ১৫ বছরে দ্যাশের মানুষ জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ জমা হয়েছিলো মূলত এরই ফসল। রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করেছিলো গণতন্ত্রের জন্যে, ছাত্ররা আন্দোলন করেছে তাদের চাকরিতে কোটা থেকে মুক্তির জন্যে। ছাত্রদের দাবীর চেয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর দাবীগুলো ছিলো সার্বজনীন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সফল হয়নি। কারণ তাদের আন্দোলন জমেনি। তারা তরুণ প্রজন্মকে স্বৈরাচারী সরকারের নেগেটিভিটি বুঝাতে সক্ষম হননি! ছাত্রদেরকে তাদের বৈষম্যের বিষয়ে জাগিয়ে তুলতে পারেননি। আম জনতাকে দুর্নীতি ও দু:সাশনের ব্যাখা দিয়ে জাগাতে পারেননি। অন্যদিকে সরকার তাদেরকে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি রাজাকার কিংবা রাজাকারের দোসর ট্যাগ দিয়ে সকলকে একসাথে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বিধায় রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলনকে গণবিপ্লবে রুপ দিতে পারেননি ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করেছিলো কোটা বাতিলের জন্যে। ছাত্রদের আন্দোলন ফ্যাসিস্ট ডাইনির বিরুদ্ধে ছিল না। যার ফলে সরকার তাদেরকে লাই দিয়েছে। পাত্তা দেয়নি। ছাত্ররা ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হয়েছে। জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে শুরু করেছে। এরপর তাদের আন্দোলন কোটা থেকে গড়িয়ে যায় জুলুমের বিরুদ্ধে। কিন্তু সরকার তখনও বুঝতে পারেনি এই জুলুম নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন অন্যদিকে গড়াতে পারে। তাই তখনও পাত্তা না দিয়ে সেই অভ্যাসবশত অহংকার আর ক্ষমতা দেখিয়ে মাস্তান ছাত্রলীগের কু কু র দের লেলিয়ে দিয়েছে ছাত্রদের পেছনে। আন্দোলন যখন জুলুম নির্যাতন ও হামলা মামলা বিরোধী তখনও সরকার পাত্তা না দিয়ে লাইসেন্সধারি মাস্তান হারুনদের ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে, আর অবৈধ পান্ডা মন্ত্রীদের দিয়ে হুমকি দিয়েছে। ছাত্ররা তখন বুঝতে পেরেছে কিংবা দেশের ডান বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ বুঝিয়ে দিয়েছেন এখন তোমরা দফা-১ এপ্লাই করো। আর পেছনে তাকানোর সময় নেই। এর আগপর্যন্ত সাধারণ ছাত্রদের পেছনে থেকে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির ও অন্যান্য ইসলামী ছাত্র সংগঠনের ছাত্ররা শক্তি যোগাচ্ছে আন্দোলনের। কিন্তু দফা এক ঘোষণা করতেই এই আন্দোলন আর ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে যায় গোটা দেশের নির্যাতিত মজলুম মানুষদের মধ্যে। নানাভাবে যারা জুলুমবাজ স্বৈরাচারী হাসিনার আগ্রাসনের শিকার হয়েছেন তারাও নেমে যান রাজপথে। ছাত্ররা আহবান করে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, আলেম ওলামা, সাধারণ মানুষ সকল পেশাজীবিদের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে। বিএনপি ঘোষণা দেয় পাশে থাকবে। জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও তারা মাঠে থাকার ঘোষণা দেয়। জমিয়ত, খেলাফত, চরমোনাই সরাসরি মাঠে এসে আন্দোলনে যোগ দেয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঘোষণা দিয়ে তাদের পাশে দাড়ায়। সর্বসাধাণ যুক্ত হয়ে যাওয়ায় সরকার পড়ে যায় বেকায়দায়। ডাকতে শুরু করে ছাত্রদের। বসতে চায় সরকার প্রধান হাসিনা। কিন্তু তখন আর ছাত্রদের পেছনে তাকানোর সময় বাকি থাকেনি। শুরু হয় গণজোয়ার। সাধারণ ছাত্রজনতা ঘোষণা দেয় বঙ্গভবন ঘেরাও করবে। এক সময় এই জোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যায় নিকৃষ্টতম খুনি হাসিনার মসনদ। হাসিনা পালিয়ে যান ভারতে। দেশ নতুন করে আবার স্বাধীন হয়। এই বিস্তারিত ঘটনার পর কোনো ছাত্র বা নির্দিষ্টগোষ্ঠী কখনও দাবী করতে পারেনা শুধুমাত্র ছাত্রদের আন্দোলন আর ত্যাগে ফ্যাসিস্ট রেজিমের পতন হয়েছে। সুতরাং গণতান্ত্রিক ধারার রাজনৈতিক দলগুলোকে উপেক্ষা করে, হাজার শহীদ আলেমের ত্যাগ অস্বীকার করে শুধুমাত্র আন্দোলনকারী ছাত্রদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে কোনো সরকার গঠন করলে বে-ইনসাফি হবে। ইনসাফভিত্তিক দুর্নীতিমুক্ত একটি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই দেশের আপামর জনতার হৃদয়ের চাওয়া। আপাতত এই পর্যন্ত... ইকবাল হাসান জাহিদ বিভাগীয় সম্পাদক দৈনিক জালালাবাদ
2024-08-06
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান: ড. মোহাম্মদ ইউনুস বাকি সদস্যরা হলেন- ১. ড. সলিমুল্লাহ খান ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. বিচারপতি (অব.) মোঃ আব্দুল ওয়াহাব মিঞা ৪. জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া ৫. মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন ৬. ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ৭. মতিউর রহমান চৌধুরী ৮. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ৯. ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ১০. বিচারপতি (অব.) এম এ মতিন। ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নির্বাচন করার পেছনে কয়েকটি মূল কারণ থাকতে পারে: 1.বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি ও সম্মানড. মোহাম্মদ ইউনুস একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং বিশ্বব্যাপী সমাদৃত অর্থনীতিবিদ। তাঁর নেতৃত্বগুণ ও সৎ প্রশাসনিক দক্ষতা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। 2. অর্থনৈতিক জ্ঞান ও সামাজিক উদ্যোগ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ড. ইউনুস ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর অর্থনৈতিক ধারণা ও সামাজিক উদ্যোগ দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সফল প্রমাণিত। 3. অরাজনৈতিক পরিচয় ড. ইউনুসের রাজনৈতিক দল ও আদর্শ থেকে মুক্ত থাকায়, তাঁকে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ। 4. ব্যক্তিগত সততা ও নৈতিকতা ড. ইউনুসের ব্যক্তিগত সততা ও নৈতিকতার জন্য তিনি সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য। একটি নিরপেক্ষ ও সৎ প্রশাসনের জন্য এই গুণাবলী অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গ্লোবাল সেলিব্রিটি বাংলাদেশের বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসই এমন একজন ব্যক্তি যিনি গত কয়েক শতকে গ্লোবাল সেলিব্রেটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার মাপের ব্যক্তিত্বের পরিমাপ করা ৯০ শতাংশ বাঙ্গালীর জন্য কঠিন। ধারণা করা হয়, বাঙ্গালী জনগণকে আরও ৩০-৪০ বছর লাগবে এই মাপের মানুষ বুঝতে। নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ইউনুসের পরিচয় শুধু নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক তিনটি পুরস্কার হল: ১. নোবেল পুরস্কার। ২. আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড। ৩. মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড। ইতিহাসে এই তিনটি পুরস্কারই পেয়েছেন মাত্র ১২ জন। তাদের মধ্যে একজন প্রফেসর ইউনুস। প্রফেসর ইউনুসের প্রভাব এতটাই ব্যাপক যে লিওনেল মেসির মতো বড় তারকাও তার সাথে ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক প্রতিযোগিতা অলিম্পিক গেমস। ২০২০ সালের জাপান অলিম্পিকের মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ইউনুস। এমন সম্মান কল্পনাতীত। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকের মূল থিম করা হয়েছে প্রফেসর ইউনুসের সামাজিক ব্যবসা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে। ফরাসি জাতির অহংকারের প্রতীক অলিম্পিক গেমসের ওয়েবসাইটের টাইটেল পেজে একজন ব্রাউন মুসলমান ড. ইউনুসের ছবি! ফরাসি জাতির এই সম্মান প্রদর্শন অনেকের জন্য অবাক করার বিষয়। প্রফেসর ইউনুসের ব্রেইন চাইল্ড ক্ষুদ্র ঋণ, সামাজিক ব্যবসা, এবং থ্রি জিরো তত্ত্বগুলি গ্লোবাল কমিউনিটি গ্রহণ করেছে। যদিও সব তত্ত্বই সমানভাবে ভাল না হলেও, সামাজিক ব্যবসা এবং থ্রি জিরো তত্ত্বের জনহিতকর দিক নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। বর্তমানে জীবিত শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের যে কোনও তালিকায় প্রফেসর ইউনুস থাকবেন। অনেকেই তাকে ১ নম্বরে রাখবেন। একজন বাঙ্গালী মুসলমান দুনিয়ার শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিত, এটি ইতিহাসে প্রথম এবং অনন্য। প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের অবদান, মানসিকতা এবং কর্মধারা বাংলাদেশের গর্ব এবং সম্মান বৃদ্ধি করেছে, যা বাঙ্গালীর ইতিহাসে অদ্বিতীয়।
2024-08-06
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে:এক অভূতপূর্ব গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে। পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। গত এক মাস যাবত বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। শুরু হয়েছিল চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলন দিয়ে। শেষপর্যন্ত সেটা পরিনত হয় এক দফা দাবীতে; সেই দাবী ছিল সরকারের পদত্যাগ। শেষপর্যন্ত সেটাই ঘটেছে অসংখ্য মানুষের হতাহতের বিনিময়ে। ভারত বৈদেশিক নীতি সবসময় পঞ্চশীল নীতিতে বিশ্বাস করে। তার মধ্যে অন্যতম হল একে অপরের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক অ-আগ্রাসন, একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পারস্পরিক অ-হস্তক্ষেপ ও পারস্পরিক সহাবস্থান। কিন্তু মানবাধিকারের প্রশ্নে, মানব সমাজের বিরুদ্ধে অপরাধ হলে আমাদের অবশ্যই গর্জে উঠতে হবে। সেই নিপীড়িত, অত্যাচারিতদের প্রতি সংহতি জানাতেই হবে। এটা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। সেখ হাসিনার সরকার যেভাবে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে মোকাবিলা করলো, সেটা একেবারই কাম্য ছিল না। এটা অনেক সংবেদনশীলতার সঙ্গে মোকাবিলা করা যেত। কিন্তু যে নৃশংসতার সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের মোকাবিলা করেছে, সেটা বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তার ফলে সারা বাংলাদেশ জুড়ে একটি গৃহযুদ্ধের আবহ তৈরি হয়ে গেছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেছে। বাংলাদেশের আপামর জনগণকে আমাদের আবেদন, আইন হাতে তুলে নেবেন না। শান্তিপূর্ণ গণ-অভ্যুত্থান করে দেশ গড়ে তোলার কাজে ব্রতী হন। মনে রাখতে হবে, একটি দেশে কোন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে তার আঁচ প্রতিবেশী দেশের ওপরও পড়ে। বাংলাদেশে যেসকল সংখ্যালঘু, প্রান্তিক শ্রেণির মানুষজন আছেন তাদের পাশে নিয়ে সংহতি ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। এই আন্দোলনের ফাঁকে কেউ যেন তাদের ওপর হামলা, অত্যাচার না নামিয়ে আনে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরী। আমরা সমগ্র ছাত্রসমাজ, সুশীল সমাজ সহ আপামর জনগণকে আহ্বান জানাই, স্বৈরাচারী সরকারকে পতন করে যে বিজয় আপনারা হাসিল করেছেন তাকে বজায় রাখতে শান্তি, সৌহার্দ্য ফিরিয়ে আনা ভীষণ জরুরী। আমরা চাই বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরে আসুক। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হোক। এই গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ ছিল দেশে প্রায় দেড় দশক ধরে নির্বাচন না হওয়া। নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ তাঁর গণতান্ত্রিক মতামত দিতে পারেননি। নির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে শুধু প্রহসন হয়েছে। এই প্রহসন যদি না হত, তাহলে জনরোষের এই অগ্নুৎপাত হয়তো হত না। এখন বাংলাদেশের জনগণের কর্তব্য দেশের সংবিধানের প্রতি, আইন-শৃঙ্খলার প্রতি আস্থা রাখা। তাদের উচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর চাপ বজায় রেখে যাতে শীঘ্রই দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যায় সেটা সুনিশ্চিত করা। কারণ দেশে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা ভীষণ জরুরী। এটা ঐ দেশের জন্য, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির জন্য, সর্বোপরি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য আশু প্রয়োজন। যে সকল ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ ঐ দেশে নানান কারণে বসবাস করছেন, তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব আন্দোলনকারীদের নিতে হবে। গতকাল থেকে কিছু বিচ্ছিন্ন, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও দেখা যাচ্ছে, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনাস্থল রক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছেন। এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এই কাজটা চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের এই সংকটকালীন সময়ে আমরা ঐ দেশের পাশে আছি। পরস্পরের পাশাপাশি থেকে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
2024-08-06
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: জনরোষের মুখে শুধু পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার ঘটনা মানতে পারছেন না আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও মন্ত্রীরা। তাঁরা বলছেন, তিনি দেশ ছেড়ে যদি যাবেনই, তাহলে শেষ মুহূর্তে দলের নেতা-কর্মীদের কেন আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি দাঁড় করালেন? প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর মন্ত্রিসভার ছয়জন সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা জানান, শেখ হাসিনা সোমবারই দেশ ছাড়বেন, এটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। এ ছাড়া তিনি পদত্যাগ করতে পারেন, এমন কোনো ইঙ্গিতও দেননি। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়বেন, গতকাল দুপুরের দিকে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এমন খবর শোনার পর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলের নেতা-কর্মীরা অনেকটা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। এরপর মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য ও নেতা-কর্মী নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে থাকেন। অবশ্য পরিস্থিতির কারণে দু-একজন রোববার রাতে ও গতকাল সকালে দেশ ছেড়েছেন। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমানসহ বেশির ভাগ মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতা দেশেই ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার পরও কারও কারও মুঠোফোন খোলা ছিল। তবে বিকেলের দিকে ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবিরসহ অনেকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কেউ কেউ ধারণা করছেন, তাঁরা হয় নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন, নতুবা বিদেশে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ এলাকাতেই গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছিলেন বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে এরপর তিনি কোথায় গেছেন, তা কেউ বলতে পারছেন না। বিকেলের পর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মন্ত্রিসভার সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, জনরোষের মুখে সবাইকে রেখে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার ঘটনায় তাঁরা হতাশ, বিপর্যস্ত ও ভেঙে পড়েছেন। তাঁরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত এবং জেদের কারণে দল ও নেতা-কর্মীরা বিপদে পড়েছেন। তিনি নিজের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেও অন্যদের রেখে গেছেন বিপদে। আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা গত রোববার সকালে দেশে আসেন। গতকাল তাঁকে সঙ্গে নিয়েই দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আর শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ আগে থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের বাইরে থাকেন। শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিও আগেই বাংলাদেশ ছেড়েছেন। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার দুজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার রাতে কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন; কিন্তু এটি আইনে নেই বলে তিনি উড়িয়ে দেন। মন্ত্রিসভার আরেকজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এ রকম কিছু ঘটবে, সেটি চিন্তায় ছিল না। তবে পরিস্থিতি ভালো মনে না হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য স্ত্রী-সন্তানকে গত রোববার বিদেশে পাঠিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে, এমন ভাবনা ছিল। কিন্তু সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেছে। প্রভাবশালী আরেকজন মন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পর থেকেই সরকারপ্রধান হিসেবে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের বেশির ভাগই ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পর সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকায় কমই গেছেন। গতকাল বিকেল থেকে তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছিলেন। আওয়ামী লীগের পাঁচজন সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, শেখ হাসিনা দেশে থেকে কারাগারে গেলে দলের নেতা-কর্মীরা এতটা বিপদে পড়তেন না। একজন সংসদ সদস্য বলেন, প্রয়াত স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের পতন হয় গণ-অভ্যুত্থানে। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে পালাননি; বরং জেলে গেছেন। শেখ হাসিনা দেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হয়ে কীভাবে নেতা-কর্মীদের রেখে বিদেশে চলে গেলেন, এটা মাথায় আসছে না। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগের এমন বিপর্যয় হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
2024-08-04
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: সম্প্রতি দিল্লিতে সংসদের দুই কক্ষে বিজেপি সাংসদরা এমন কিছু দাবী তুলেছেন যেগুলি থেকে বাংলাকে আরো একবার ভাগ করার কথা ফুটে উঠছে। এই বক্তব্যগুলি থেকে বিজেপির বিচ্ছিন্নতাবাদী, সাম্প্রদায়িক মনোভাব খুব স্পষ্টভাবে বেরিয়ে আসছে। আসলে পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো করে রাজ্যের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চাইছে বিজেপি। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিজেপির এই বক্তব্যগুলির তীব্র নিন্দা করছে। দল মনে করে রাজ্যগুলিকে ছোট আকারে ভেঙে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকেই আঘাত করা হচ্ছে। জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে বিহারের তিন জেলা ও পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলাকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মধ্যে নিয়ে আসা, গ্রেটার কোচবিহার বলে আলাদা রাজ্য গঠন কিংবা উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে রাজ্যের উত্তরের জেলাগুলিকে যুক্ত করা সবই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো টুকরো করার অপপ্রয়াস। রাজ্যগুলিকে ভাষা, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দূর্বল করে এককেন্দ্রীক রাষ্ট্র তৈরি করা আরএসএস বিজেপির পুরোনো ছক। আশ্চর্যের কথা, এই বিষয়ে এই রাজ্যের শাসকদলও নীরব। আসলে রাজ্যভাগের এই চক্রান্তে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস উভয়ের দলেরই সুবিধা। রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি যেমন নদী ভাঙন, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা, শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতি থেকে মানুষের মনকে ঘুরিয়ে রাখা যাবে। ভাগাভাগির গল্পে জনসাধারণকে মাতিয়ে রেখে এইসব অন্যায়গুলি চলতে থাকবে। তাতে একধরণের বাইনারি আরো মজবুত হবে। আসলে উত্তরবঙ্গকে রাজ্য সরকার যেভাবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অবহেলা করে চলেছে, তাতে ঐ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ কার্যত অচল। পাহাড়ের উন্নয়ন স্তব্ধ। সেই ক্ষোভ বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত দিয়ে চলেছে। রাজ্য সরকারকে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত প্রতিটি নাগরিকের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে সচেষ্ট হতে হবে। আমরা চাই মানুষের রুটি রুজির সমস্যার সমাধানের লড়াই, মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্যের অধিকার সুনিশ্চিত করার লড়াই। সুতরাং বিজেপির এই হিন্দুত্বের জিগির তুলে রাজ্য ভাঙার অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। বাংলাকে আরো একবার ভাঙার এই চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
2024-07-22
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: শুধু নামাজ পড়ার জন্য মসজিদই প্রয়োজন নয়, ধর্মীয় শিক্ষাও প্রয়োজন: মাওলানা মাহমুদ আসাদ মাদানী দিল্লি প্রদেশের মক্তবের শিক্ষার্থীদের প্রধান পরীক্ষায় 570 জন ছাত্র অংশগ্রহণ করেছে দিল্লি প্রদেশের 35 মক্তব (ধর্মীয় বিদ্যালয়) মধ্যে 570 জন ছাত্র এবং ছাত্রদের পরীক্ষা যারা দিনী তালিমি বোর্ড জমিয়ত উলমা-ই-হিন্দের তত্ত্বাবধানে জমিয়তের আইটিও তে নাজরা কুরআন (কুরআন পড়া) এবং ধর্মীয় শিক্ষা পাঁচ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেছে। দীনি ট্রেনিং বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ ও পদাধিকারীবৃন্দ বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন। উপলক্ষে জমিয়ত উলমা-ই-হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ আসাদ মাদানী বলেন, নবীজীর উত্তরাধিকারের দায়িত্ব তখনই পালন হবে যখন আমরা ধর্মীয় শিক্ষা প্রচারকে আমাদের মিশন বানিয়ে নেব। মাওলানা মাদানী বললেন, আজ তরুণ প্রজন্ম অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে। এদের শিক্ষার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া এবং এদের দীনি ও দুনিয়াবি শিক্ষায় সজ্জিত করা আমাদের দায়িত্ব। মাওলানা মাদানী জমিয়ত উলমা-ই-হিন্দের অধীনে ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উপর জোর দেন এবং বলেন যে এটি মনে রাখা উচিত যে প্রতিষ্ঠান উদ্দেশ্য নয় বরং শিক্ষা মিশন গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ধর্মীয় মক্তব (স্কুল) প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই, তাই যদি অন্য সংগঠনের সাহায্য আমাদের বোঝা কমে তবে আমরা তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমর্থক হওয়া উচিত। মা-বাবা, অভিভাবক, শিক্ষক ও মসজিদের দায়িত্বশীলদের বাচ্চাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার জোর দেন মাওলানা মাদানী। মসজিদ শুধু নামাজে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষা প্রচার করা মসজিদের পরিচালনা কমিটি ও ইমামদের দায়িত্বও তিনি জোর দেন। সত্য কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে ও জ্ঞান অর্জনের নিয়্যতে ছাত্রদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিলেন মাওলানা মাদানী। হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী বলেন, জ্ঞানের আলো তখনই অর্জিত হয় যখন হৃদয় জ্ঞান অনুসরণ করতে চায়। মাওলানা মাদানী শিক্ষকদের বলেছেন ছাত্রদের সাথে উদারতার সাথে আচরণ ও ভালবাসুন এবং তাদের উন্নতির জন্য সবসময় চেষ্টা করুন। প্রধান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত উপলক্ষে চারটি সূত্র ও বার্তা প্রদান করা হয় যে (১) প্রধান পরীক্ষা।
2024-07-22
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বিগত কয়েকদিন ধরে প্রতিবেশী বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। দেশজুড়ে তুমুল ছাত্র আন্দোলন চলছে। বাইরের বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। একশোরও বেশি মানুষ নিহত। কয়েক হাজার আহত। এই আন্দোলনের প্রাবল্য এত তীব্র যে সেটা আর ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিপুল সমর্থন আছড়ে পড়েছে আন্দোলনের পাশে। আন্দোলনের মূল দাবী সরকারী চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার। এই দাবী দীর্ঘদিনের। ছাত্র-ছাত্রীদের গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অগণতান্ত্রিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে দমন না করে আলোচনার মাধ্যমে এই উদ্ভুত পরিস্থিতির সমস্যার সমাধান জরুরি। শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রী নয় স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণভাবে সকলের দাবি দাওয়ার কথা তুলে ধরার অধিকার আছে। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট আশা করে গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ঐ দেশে যে তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সেটা প্রশমিত হবে; সারা দেশ ফের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দে ফিরে আসবে। পাশাপাশি, এই পরিস্থিতিতে বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ও পর্যটক বাংলাদেশে আটকে পড়েছেন। আমরা উভয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন নিরাপদে ভারতে ফিরে আসতে পারেন, সেই ব্যাপারে যেন তারা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এদিকে, আজই অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য মোহাঃ নওসাদ সিদ্দিকী এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এক চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি এই ঘটনার জেরে আটকে থাকা ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ও পর্যটকদের নিরাপদে দেশে ফেরানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।
2024-07-20
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে বিবিসি বাংলার লাইভ পেজে কিছুক্ষণ আগের আপডেট শনিবার ঢাকায় কারফিউ-র যে চিত্র দেখা যাচ্ছে কারফিউ জারি করার পর শনিবার সকালে ঢাকার রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। কিছু এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি দোকান খোলা দেখা গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সকাল বেলার চিত্র ছিল অনেকটা অন্যান্য দিনের মতই। শাক-সবজি, মাছ সহ নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের সকাল থেকেই বাজারে বসতে দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম দেখা গেছে। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। গণমাধ্যমের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি বাদে অন্য গাড়ি ছিল না বললেই চলে। সিএনজি চালিত অটোরিকশাও ছিল না রাস্তায়। তবে সব এলাকাতেই রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। সকাল থেকে ঢাকার ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, পল্টন, রাজারবাগ, মগবাজার, হাতিরঝিল, বাড্ডা, এলাকার কোথাও কোনো ধরনের মিছিল বা সমাবেশ দেখা যায়নি। তবে রামপুরার পাশে খিলগাও রেলগেটের কাছে রাস্তা আটকে বিক্ষোভকারীদের এক জায়গায় জড়ো হয়ে থাকতে দেখেন বিবিসি সংবাদদাতা। সেসময় বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে লাঠি, রড দেখা যায়। ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় আগের দিনের সহিংসতার চিহ্ন দেখা গেছে। সব জায়গায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল ইটের টুকরা, রাস্তার ডিভাইডারের ভাঙা রড। মোহাম্মদপুর, রামপুরা, মহাখালির বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় দেখা গেছে পুড়ে যাওয়া গাড়ির ধ্বংসাবশেষ। শাহবাগ, মহাখালি আর সংসদ ভবনের চারপাশে সেনাবাহিনীর অবস্থান দেখা গেছে। সেসব জায়গা দিয়ে যাওয়া-আসা করা রিকশা, গাড়ির যাত্রীদের পরিচয়পত্র যাচাই করতে দেখা যায় সেনা সদস্যদের। ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, শাহীন কলেজের সামনের সড়কে সেনা সদস্যদেরচেকপোস্ট দেখতে পেয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতা। সব যানবাহন থামিয়ে তারা যাচাই করছিলেন। বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ বিরতি ছিল। এরপর আবার কারফিউ শুরু হয়েছে, যা রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত চলবে। তথ্যসূত্র:- বিবিসি নিউজ
2024-07-18
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। চণ্ডীগড় থেকে ডিব্রুগড়গামী ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের অন্তত ১০-১২টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আড়াইটে নাগাদ গোন্ডা ও মনকাপুরের মাঝে জিলাহী স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রেনের একটি বাতানুকূল কামরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক পঙ্কজ সিংহ বলেন, ‘‘গোন্ডার কাছে মোতিগঞ্জ এবং জিলাহির মাঝখানে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্তসাপেক্ষ। আপাতত উদ্ধারকাজ চলছে। তিন-চার জন মারা গিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। হতাহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে কিছু ক্ষণ পর বলা সম্ভব হবে। উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। উদ্ধার করে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা বিকট শব্দ শুনতে পান যাত্রীরা। পর ক্ষণেই দুর্ঘটনা। বেলাইন হয়ে যায় একের পর এক কামরা। একাধিক বাতানুকূল কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলের যে ছবি আসতে শুরু করেছে, তা ভয়াবহ। একাধিক প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে। দুর্ঘটনার পর হুড়োহুড়ি করে যাত্রীরা ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসেন। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকারী দল। রেল দুর্ঘটনায় আটকে পড়া যাত্রীদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক জনকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর উত্তর-পূর্ব রেলের তরফে একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। ডিব্রুগড়ের জন্য ৯৯৫৭৫৫৫৯৬০, তিনসুকিয়ার জন্য ৯৯৫৭৫৫৫৯৫৯, সিমালগুড়ির জন্য ৮৭৮৯৫৪৩৭৯৮, মারিয়ানির জন্য ৬০০১৮৮২৪১০, ফুরকাটিঙের জন্য ৯৯৫৭৫৫৫৯৬৬ এবং কমার্শিয়াল কন্ট্রোলের জন্য ৯৯৫৭৫৫৫৯৮৪। গুয়াহাটি স্টেশনের জন্য তিনটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল ০৩৬১২৭৩১৬২১, ০৩৬১২৭৩১৬২২, ০৩৬১২৭৩১৬২৩। লখনউ স্টেশনের জন্য ৮৯৫৭৪০৯২৯২ ও গোন্ডা স্টেশনের জন্য ৮৯৫৭৪০০৯৬৫ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এ দিনের দুর্ঘটনার পর বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তিত হয়েছে। ১৫৭০৭ কাটিহার-অমৃতসর এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ বদল করে মনকাপুর-অযোধ্যা-বারাবঁকি হয়ে চালানো হবে। ১৫৬৫৩ গুয়াহাটি-কাটরা এক্সপ্রেসও যাত্রাপথ বদলে মনকাপুর-অযোধ্যা-বারাবঁকি হয়ে চলাচল করবে। আজ থেকে ঠিক এক মাস আগে গত ১৭ জুন ডাউন কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রেল দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরের এই রেল দুর্ঘটনার পর আহত যাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে কংগ্রেস। এদিকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দুর্ঘটনার জন্য সরাসরি দুষতে শুরু করেছেন রেল মন্ত্রককে। গত ১০ বছরে ভারতীয় রেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
2024-07-18
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: অদ্য ১৮ই জুলাই ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার, সকাল ৭টায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) এডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম. হাসিবুল ইসলাম এর নেতৃত্বে শহীদ আবু সাঈদ -এর কবর জিয়ারত ও তাঁর পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। উক্ত প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি মাহমুদুর রহমান রিপন, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক জাবের চৌধুরী জুয়েল, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর জেলা শাখার দফতর সম্পাদক মোঃ পলাশ মিয়া, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সাবেক কেন্দ্রীয় (সাংগঠনিক) উপ-সম্পাদক মোঃ আব্দুল ফাত্তাহ ও রংপুর জেলা শাখার সভাপতি ছাত্রনেতা আলিম আল আসিফ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মাওলানা মাসুদুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা সুলতান মাহমুদ সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা ও উপজেলা শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ। এডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম. হাসিবুল ইসলাম মরহুম শহীদ আবু সাঈদ -এর হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নিয়ে, দেশব্যাপী চলমান অস্থিরতা ও অন্যায়ভাবে হত্যাকান্ড বন্ধ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কমনা করেন। পরিশেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে শহীদ আবু সাঈদ এর পরিবারের প্রতি আর্থিক সহায়তা ও খাবার সামগ্রী প্রদান করা হয় এবং আগামীতে যেকোন পরিস্থিতিতে তাঁর পরিবারের প্রতি সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বস্ত করা হয়।
2024-07-18
উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছারছীনা দরবার শরীফের পীর সাহেব ও বাংলাদেশ জমিয়াতে হিজবুল্লাহর আমির, হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১১ মিনিটে তিনি রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে-সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন। গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সমগ্র বাংলাদেশ এবং ভারত-সহ উপমহাদেশের বিস্তির্ণ অঞ্চল জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফুরফুরা শরীফের পীর মোজাদ্দেদে যামান হযরত দাদা হুজুরের খলিফা ছিলেন পীর আল্লামা নেসার উদ্দিন আহমেদ ছারছীনাভী। তাঁর পৌত্র হলেন মরহুম পীর শাহ মাহবুল্লাহ হুজুর। অন্যদিকে ফুরফুরা শরীফের পীর আল্লামা আনসার সিদ্দিকী হুজুরের বড়ো জামাতা ছিলেন। দাদা হুজুরের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন পীর সাহেব। সুপ্রশিদশ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দরবারের পীর থাকাকালীন বহু সামাজিক কাজকর্ম করেছেন। তাঁর বক্তব্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য গর্জে উঠেছেন সদা সর্বদা। মরহুমের জানাজার নামাজ আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ছারছীনা দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের তরফে। মরহুম পীর সাহেব রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন ফুরফুরা শরীফের অসংখ্য পীরসাহেব। পীর শাইখ মিশকাত সিদ্দিকী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা মিজানুর রহমান আযহারী সকল সকল পীর ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ছাড়াও সমাজের গুনী ব্যক্তিরা। গভীর শোক জানিয়েছেন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা নুরুল হক খান, পীর সাহেব (ছোট হুজুর) চৈতা দরবার শরীফ।
2024-07-18
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: এবার বিল পাস করাতে কালঘাম ছুটবে বিজেপির, রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু হলো বিজেপি এনডিএ জোট। রাজ্যসভায় আসন কমল বিজেপির। যার জেরে সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল শাসকজোট এনডিএ। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে এনডিএ শিবিরের বাইরে থাকা বন্ধু দলগুলির সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে বিজেপির। তবে আগামী কয়েক মাসে একাধিক রাজ্যে রাজ্যসভার বেশ কয়েকটি আসনে নতুন সদস্য নির্বাচিত হবেন। সেখানে নিজেদের আসন ফের বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে এনডিএ গত শনিবার রাজ্যসভায় রাকেশ সিন্হা, রাম শাকল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমলানির মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়েছে। শাসকদল বিজেপির পরামর্শ অনুসারে এই চার জনকেই রাজ্যসভায় মনোনীত সদস্য হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। চার জনের মেয়াদ পূরণ হওয়ায় ওই চার আসন খালি হল। রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্যসংখ্যা কমে হল ৮৬। ২৪৫ আসনবিশিষ্ট রাজ্যসভায় বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার জন্য কোনও দল বা জোটের সঙ্গে ১১৩ জন সদস্যকে থাকতে হবে। এনডিএ-র সদস্যসংখ্যা এখন ১০১, সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় ১২টি আসন কম। অন্য দিকে, রাজ্যসভায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ৮৭ জন সদস্য রয়েছেন। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ২৬টি আসন। তৃণমূলের হাতে ১৩টি আসন। আর আপ এবং ডিএমকের হাতে ১০টি করে আসন। তবে এর বাইরেও বেশ কিছু দল আছে, যারা খাতায়কলমে এনডিএ কিংবা ‘ইন্ডিয়া’— কোনও জোটেরই শরিক নয়। অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১ জন, এডিএমকে-র ৪ জন, বিজেডির ৯ জন রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন। অতীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করতে বিজেপির সহায়ক হয়েছে এই দলগুলি। তবে সম্প্রতি ওড়িশার বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর নবীন পট্টনায়কের দল বিজে়ডি জানিয়েছে, তারা রাজ্যসভায় আর বিজেপিকে সমর্থন করবে না। সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় এই ‘নিরপেক্ষ’ দলগুলির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যসভায় ২০টি আসন শূন্য রয়েছে। তার মধ্যে ১১টি আসনে চলতি বছরেই ভোট হওয়ার কথা। মহারাষ্ট্র, বিহার, অসমের দু’টি এবং হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, ত্রিপুরার একটি করে রাজ্যসভার আসন রয়েছে এই তালিকায়। বিধানসভার শক্তির নিরিখে এর মধ্যে সাতটি আসনে এনডিএ-র জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রেও এনডিএ অতিরিক্ত দু’টি আসনে জয়ী হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মনোনীত সদস্যদের সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যেতে পারে এনডিএ। তা ছাড়া ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থন পাওয়ার বিষয়েও আশাবাদী এনডিএ শিবির। তেলঙ্গানায় একটি রাজ্যসভা আসনেও ভোট হওয়ার কথা। বিধানসভায় শক্তির নিরিখে এখানে জয়ী হওয়ার কথা শাসকদল কংগ্রেসের। রাজ্যসভায় শক্তি বৃদ্ধি করতে পারলে নিম্নকক্ষ লোকসভার পাশাপাশি উচ্চকক্ষেও বিরোধী দলনেতার পদটি দাবি করতে পারে কংগ্রেস।
2024-07-15
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিক্ষোভ মিছিল নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা একাত্তরের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে - ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা একাত্তরের বর্বতাকেও হার মানিয়েছে। আজ ১৫ জুলাই ২০২৪ সোমবার ক্যাম্পাসসমূহে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলার প্রতিবাদে রাত ৯টায় পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশের সচেতন শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি বাতিল করে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক এই দাবি সমাধান না করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তাচ্ছিল্য করে প্রধানমন্ত্রীর বেফাঁস মন্তব্য, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ট্যাগ দেয়া এবং দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। দেশের উল্লেখযোগ্য ক্যাম্পাসসমূহে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রলীগের এই নগ্ন সন্ত্রাসী হামলা প্রমাণ করে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের পক্ষের শক্তি নয়। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের কাছে পর্যদুস্ত ছাত্রলীগ নিরপরাধ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে যৌক্তিক আন্দোলনকে দমানো যাবে না। সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোনও ক্ষতি হলে বর্তমান সরকার প্রধানকেই এর দায়ভার নিতে হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি এ সময় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক আন্দোলন সফল করতে শিক্ষার্থীদের পাশে সর্বস্তরের জনসাধারণ কে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে বিশেষভাবে আহ্বান জানান। বিক্ষোভ মিছিলে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ সহ ঢাবি নেতৃবৃন্দ।
2024-07-15
ফেসবুক এখন মানসিক ভারসাম্য হারানোর নয়া ঠিকানা ফেসবুক এখন মানসিক ভারসাম্য হারানোর নয়া ঠিকানা। এখন গর্ব হয় যে বছর কুড়ি পঁচিশ আগে দুনিয়া জুড়ে আমাদের ক্লাস রুম ছিল। স্কুল গৃহশিক্ষকের পর আমাদের থেকে মিনিমাম দশ বছরের কেও বড় হলে আজকের ভাষায় তিনিই আমাদের শিক্ষাক। যেমন স্পিড সাইকেল চালানো থেকে যখন তখন উটকো খেলাধুলা ( স্বাস্থ্যগত নয় এমন খেলাতে নেশাগ্রস্ত ) থেকে বিরত রাখার মূল কারিগর কিন্তু পাড়ার দাদা কাকারা। তখন সামাজিক ও বড়দের মেনে চলার যে মানসিকতা তৈরি হত এখন সেটা ১% আছে কিনা সন্দেহ আছে। এই নয় যে নব্বই দশকের ছেলে মেয়ে মানে সোনার চাঁদ মানিক, তবে এই সামাজিক অবক্ষয় থেকে তারা অনেকটাই আলাদা। এখন ফেসবুক এসে কখন যে আমাদের জীবনকে পন্ডিতের থেকে পন্ডিত বানিয়েছে, শিক্ষিত থেকে শিক্ষক বানিয়ে ফেলেছে আমরা বুঝতেই পারিনি। সব বিষয়ে আমরা জ্ঞানীদের থেকেও বেশী গুরুত্ব সহকারে জ্ঞান বিতরণ করে চলেছি। সে ধর্ম হোক রাজনৈতিক সামাজিক হোক প্রশাসনিক সব বিষয়ে আমাদের পিএইচডি ফেসবুক করে দিয়েছে। রাজনীতির থেকে ধর্মীয় মহাসাগরে যেকোনো বিষয়ে খুঁচিয়ে তোলা থেকে শুরু করে, মহা পন্ডিতের মত জ্ঞান বিতরণ করা আমাদের রোজকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষক পন্ডিত থেকে যুগে যুগে মহান মনীষী বিজ্ঞানীরা ফেসবুকে আমাদের কাছে যেন পিসতুতো মাসতুতো ভাইয়ের সমান। তাঁদের বিরুদ্ধে এক দুটি কপিপেষ্ট গুগল হোক বা ওয়াটসাফ ইউনিভার্সিটি থেকে পেয়ে গেলে আমাদের দাবিয়ে রাখা শক্তি কারোর নেই ( যতক্ষণ না আইডি ব্লক হচ্ছে) তার সাথে আছে সেই মানসিক ভারসাম্যহীন কিছু সাঙ্গপাঙ্গরা, যেকোনো বিষয় চাপিয়ে দিয়ে মা মাসি উদ্ধার করে জ্ঞান বিতরণ করে যাবে। ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় গুলো এখন জলভাত করে ছেড়ে দিয়েছে, কেও কাওকে কিছু বলার নেই। এটাও শিকার করতে দ্বিধা নেই যে যারা পথ দেখাবে তাদের কিছু অংশ এই সমাজে বসবাস করে ইচ্ছাকৃত হোক বাঅনিচ্ছাকৃত তারাও আজ চরম অর্থ রাজনৈতিক অরাজনৈতিক পদমর্যাদার লোভে আকৃষ্ট হয়ে তারাও আজ দিশেহারা। আবু তালহা আব্বাসী হুগলী
2024-07-11
সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে রামদেবের পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে রামদেবের পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল। যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থার ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, গত এপ্রিলে উত্তরাখণ্ড সরকারের লাইসেন্সিং বিভাগ পতঞ্জলির যে ১৪টি পণ্য উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম, সমাজমাধ্যম-সহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সেগুলির বিজ্ঞাপন মুছে ফেলতে হবে। যোগগুরুর বাবা রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেড মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে, উত্তরাখণ্ড সরকারের লাইসেন্সিং বিভাগের তরফে ওই ১৪টি পণ্যের উৎপাদন লাইসেন্স স্থগিত করার পরে তারা ওই পণ্যগুলির বিক্রি বন্ধ করেছে। পাশাপাশি, দেশের ৫,৬০৬টি দোকানকে ওই পণ্য ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ওই সব বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার সংক্রান্ত পুরো বিষয়টির নজরদারির ভার ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ (আইএমএ)-কে দিয়েছে বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, পতঞ্জলির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল আইএমএ। এই মামলায় পতঞ্জলির আইনজীবী মুকুল রোহতগি মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপনগুলি ডিজিটাল মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
2024-07-08
ছাত্রকে বকাবকি করাই ক্লাসের মধ্যেই প্রান গেলো শিক্ষকের
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অসমের শিবসাগর জেলায়। অভিযুক্ত পড়ুয়া একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ছাত্রকে বকাবকি করাই ক্লাসের মধ্যেই কুপিয়ে খুন শিক্ষককে। সামান্য বকাবকিতে ক্লাসের মধ্যে শিক্ষক’কে কুপিয়ে খুন ছাত্রের। ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই পড়ুয়া’কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ঠিকমতো পড়াশোনা না করার জন্য অভিযুক্তকে বকেছিলেন ওই শিক্ষক। মৃত শিক্ষকের নাম রাজেশ বড়ুয়া একটি বেসরকারি স্কুলে তিনি রসায়ন পড়াতেন। একই সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের কিছু দায়িত্বও সামলাতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ক্লাস চলাকালীন অভিযুক্ত ছাত্রকে পড়াশোনা নিয়ে বকাঝকা করেন শিক্ষক রাজেশ বড়ুয়া। পরের দিন অভিভাবক সহ স্কুলে এসে দেখা করার কথাও বলেন শিক্ষক। তারপর শনিবার বিনা ইউনিফর্মে স্কুলে চলে আসে ওই পড়ুয়া। যা দেখে বেজায় চটে যান রাজেশ বড়ুয়া। ওই ছাত্র’কে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন পুলিশকে জানায়, ক্লাস শেষে কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় শিক্ষককে এলোপাথারি কোপ মারতে থাকে ওই ছাত্র। এদিন সাধারণ পোশাকে ও স্কুলে এসেছিল। স্যার ওকে বকাবকি করেন, ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তখন ও ছুরি বের করে স্যারের মাথায় আঘাত করে। তার পর কোপাতেই থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের স্যার মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। রাজেশ বড়ুয়াকে ডিব্রুগড় হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযুক্ত পড়ুয়ার এহেন কাণ্ড দেখে হতবাক হয়ে যায় অন্যান্য পড়ুয়ারা আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
2024-07-08
হাথরস কান্ডে নয়া তথ্য আইনজীবীর দাবি দাবি নায়ে সোরগোল নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: হাথরসে তাঁর সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে ভক্তদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর থেকেই উধাও স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু ‘ভোলে বাবা’। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। আড়াল থেকেই ভক্তদের মৃত্যু নিয়ে সম্প্রতি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ‘ভোলে বাবা’ ওরফে নারায়ণ সাকার হরি। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘ওই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তারা কেউ পার পাবে না।’’ এর পরেই রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তাঁর আইনজীবী জানান, হাথরসের ঘটনার জন্য দায়ী ১০-১২ জন দুষ্কৃতী। তারাই ষড়যন্ত্র করে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য অনুষ্ঠানস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করার কথাও বলেছেন ‘ভোলে বাবা’র আইনজীবী। হাথরসকাণ্ডে স্বঘোষিত গুরু ‘ভোলে বাবা’র ভূমিকা নিয়ে যখন একের পর এক প্রশ্ন উঠছে, তখন একটি পাল্টা তত্ত্ব খাড়া করলেন তাঁর আইনজীবী এপি সিংহ। তাঁর দাবি, ‘বাবা’র পায়ের মাটি সংগ্রহের জন্য নয়, সৎসঙ্গের ওই অনুষ্ঠানে বিপর্যয় ঘটে ১০-১২ জন দুষ্কৃতীর জন্য। তারাই সে দিন পরিচয় গোপন করে সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে ঢুকে ভিড়ের মধ্যে বিষ ছড়িয়ে দিয়েছিল। তাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘১৫-১৬ জন যুক্ত ছিল এই ষড়যন্ত্রে। তারা ওই অনুষ্ঠানে থাকার অনুমতিপত্রও জোগাড় করেছিল। প্রত্যেকটি অনুমতিপত্রের সঙ্গেই অনুষ্ঠানস্থলের একটি করে ছোট মানচিত্র দেওয়া হয়েছিল।’’ সিংহ বোঝাতে চেয়েছেন, ওই মানচিত্রই বিষয়টি আরও সহজ করে দিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে। ‘বাবা’র আইনজীবীর কথায়, ‘‘ঘটনার দিন অনুষ্ঠানস্থলে বেশ কিছু গাড়ি ঢুকেছিল। ১০-১২ জন ভিড়ের মধ্যে বিষ ছড়িয়ে দেয়। যাঁরা সেখানে ছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, কয়েক জন মহিলা অসুস্থ হয়ে সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কারও কারও শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাও হচ্ছিল। তার পরেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আর অনকেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘটনাস্থলে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।’’ হাথরস নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল এবং হাথরসের পুলিশ সুপারকে তাঁর অনুরোধ, ‘‘দয়া করে ওই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ওই গাড়িগুলিকে চিহ্নিত করুন।’’
2024-07-05
NEET বাতিল করার করার প্রস্তাব পাস তামিলনাড়ুর বিধানসভায় নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: NEET বাতিল করার ও রাজ্য সরকারগুলিকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে মেডিক্যালে ভর্তির অনুমতির প্রস্তাব পাস তামিলনাড়ুর বিধানসভায়। নিট-ইউজি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও নিট-পিজি পরীক্ষা আচমকা স্থগিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ (২৮-০৬-২৪) তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পেশ করেন। এই প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে NEET বাতিল করার ও রাজ্য সরকারগুলিকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে মেডিক্যালে ভর্তির অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। প্রস্তাবটি তামিলনাড়ু বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। তামিলনাড়ুর মতো পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভাতেও জাতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা (NEET)-র বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাস হওয়া উচিত বলে দাবি উঠছে সোস্যাল মিডিয়ায়।
2024-07-03
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: মঙ্গলবার হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২১। আহত আরও বহু। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। বুধবার সকালে তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হাথরসের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। নানা প্রশ্ন উঠে আসছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ‘সৎসঙ্গে’ পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু তার পর থেকেই ‘বেপাত্তা’ স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি। ভক্তদের কাছে তিনি ভোলে বাবা নামেই পরিচিত। মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকেই হাথরসের বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে ভোলে বাবার উপর। তাঁর পোস্টার লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ইট-পাথরও। এমন ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার হাথরসে একটি ‘সৎসঙ্গ’-এর ডাক দিয়েছিলেন ভোলে বাবা। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষেই ঘটে বিপত্তি। কেউ বলছেন, ‘সৎসঙ্গ’-এর জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ঘেরা ছিল। পাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। ‘সৎসঙ্গ’ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। সেই থেকে বিপদ। আবার কারও কথায়, প্যান্ডলের আসা-যাওয়ার জন্য যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেটিও অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকে ‘বেপাত্তা’ ভোলে বাবা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কার দোষে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই এফআইআরে ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজকদের নাম থাকলেও, সেই ভোলে বাবার নাম নেই। তবে ঘটনার পর থেকেই ভোলে বাবাকে নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে।