Sunday 22 December 2024
2024-08-06 | বাংলাদেশ ,রাজনীতি , | Latest Bengal Today | Views : 184
নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান: ড. মোহাম্মদ ইউনুস বাকি সদস্যরা হলেন- ১. ড. সলিমুল্লাহ খান ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. বিচারপতি (অব.) মোঃ আব্দুল ওয়াহাব মিঞা ৪. জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া ৫. মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন ৬. ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ৭. মতিউর রহমান চৌধুরী ৮. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ৯. ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ১০. বিচারপতি (অব.) এম এ মতিন। ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নির্বাচন করার পেছনে কয়েকটি মূল কারণ থাকতে পারে: 1.বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি ও সম্মানড. মোহাম্মদ ইউনুস একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং বিশ্বব্যাপী সমাদৃত অর্থনীতিবিদ। তাঁর নেতৃত্বগুণ ও সৎ প্রশাসনিক দক্ষতা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। 2. অর্থনৈতিক জ্ঞান ও সামাজিক উদ্যোগ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ড. ইউনুস ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর অর্থনৈতিক ধারণা ও সামাজিক উদ্যোগ দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সফল প্রমাণিত। 3. অরাজনৈতিক পরিচয় ড. ইউনুসের রাজনৈতিক দল ও আদর্শ থেকে মুক্ত থাকায়, তাঁকে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ। 4. ব্যক্তিগত সততা ও নৈতিকতা ড. ইউনুসের ব্যক্তিগত সততা ও নৈতিকতার জন্য তিনি সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য। একটি নিরপেক্ষ ও সৎ প্রশাসনের জন্য এই গুণাবলী অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের গ্লোবাল সেলিব্রিটি বাংলাদেশের বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসই এমন একজন ব্যক্তি যিনি গত কয়েক শতকে গ্লোবাল সেলিব্রেটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার মাপের ব্যক্তিত্বের পরিমাপ করা ৯০ শতাংশ বাঙ্গালীর জন্য কঠিন। ধারণা করা হয়, বাঙ্গালী জনগণকে আরও ৩০-৪০ বছর লাগবে এই মাপের মানুষ বুঝতে। নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ইউনুসের পরিচয় শুধু নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক তিনটি পুরস্কার হল: ১. নোবেল পুরস্কার। ২. আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড। ৩. মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড। ইতিহাসে এই তিনটি পুরস্কারই পেয়েছেন মাত্র ১২ জন। তাদের মধ্যে একজন প্রফেসর ইউনুস। প্রফেসর ইউনুসের প্রভাব এতটাই ব্যাপক যে লিওনেল মেসির মতো বড় তারকাও তার সাথে ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক প্রতিযোগিতা অলিম্পিক গেমস। ২০২০ সালের জাপান অলিম্পিকের মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ইউনুস। এমন সম্মান কল্পনাতীত। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকের মূল থিম করা হয়েছে প্রফেসর ইউনুসের সামাজিক ব্যবসা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে। ফরাসি জাতির অহংকারের প্রতীক অলিম্পিক গেমসের ওয়েবসাইটের টাইটেল পেজে একজন ব্রাউন মুসলমান ড. ইউনুসের ছবি! ফরাসি জাতির এই সম্মান প্রদর্শন অনেকের জন্য অবাক করার বিষয়। প্রফেসর ইউনুসের ব্রেইন চাইল্ড ক্ষুদ্র ঋণ, সামাজিক ব্যবসা, এবং থ্রি জিরো তত্ত্বগুলি গ্লোবাল কমিউনিটি গ্রহণ করেছে। যদিও সব তত্ত্বই সমানভাবে ভাল না হলেও, সামাজিক ব্যবসা এবং থ্রি জিরো তত্ত্বের জনহিতকর দিক নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। বর্তমানে জীবিত শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের যে কোনও তালিকায় প্রফেসর ইউনুস থাকবেন। অনেকেই তাকে ১ নম্বরে রাখবেন। একজন বাঙ্গালী মুসলমান দুনিয়ার শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিত, এটি ইতিহাসে প্রথম এবং অনন্য। প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের অবদান, মানসিকতা এবং কর্মধারা বাংলাদেশের গর্ব এবং সম্মান বৃদ্ধি করেছে, যা বাঙ্গালীর ইতিহাসে অদ্বিতীয়।