Sunday 22 December 2024





সর্বশেষ

শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না: নওসাদ সিদ্দিকী

Wednesday : শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না: নওসাদ সিদ্দিকী নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না। গণপিটুনিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে সকল পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাচ্ছেন, লক্ষ্য করে দেখবেন প্রত্যেকেই মুসলমান-দলিত-আদিবাসী, পিছড়ে বর্গের মানুষ। তাদের বেশিরভাগই অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত। তারাই টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙা বিডিও কার্যালয় সন্নিকটে এক জনসভায় একথা বলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। আমডাঙা কে এস এইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে এই সভা আয়োজিত হয়। নওসাদ সিদ্দিকী তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ১০ হাজার মাদ্রাসা তৈরির প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল? সেই মাদ্রাসাগুলি তো হলই না। যে ৬১৪টি মাদ্রাসা আছে তার পরিকাঠামোর উন্নতিও সরকার করছে না। সেখানে শূন্যপদ পূরণ করছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নয়ন বলতে শুধু নীল-সাদা রঙ করা নয়। শিক্ষাদানের পরিবেশের উন্নতি, শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত বজায় রাখাকেও বোঝায়। সেটা করতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিনি আরো বলেন, আমরা হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত উন্নত সমাজ চাই। আমরা চাই শিক্ষিত সমাজ। এই সমাজের মানুষকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তারা সহজেই হিংসার শিকার হবে না। সেইজন্য মাদ্রাসা পরিচালন সমিতিতে আইএসএফের প্রতিনিধি থাকলে সুষ্ঠু, দুর্নীতিমুক্ত ভাবে মাদ্রাসার কাজকর্ম চলবে। এই সভায় তিনি আবারও কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে হওয়া চিকিৎসকের ওপর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। আমডাঙা কেএসএইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন আগামী ২২ তারিখ, রবিবার। এই নির্বাচনে আইএসএফের ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। ৫ নম্বরে মোহঃ ফারুক উদ্দিন মণ্ডল, ৬ নম্বরে নূর হোসেন মণ্ডল, ৭ নম্বরে হাবিবুর রহমান আকুঞ্জি, ৮ নম্বরে সাইদুল ইসলাম, ১০ নম্বরে মোহঃ আব্দুল আজিম ও মহিলা সংরক্ষিত ২ নম্বরে সারিকা পারভীন বিবি প্রার্থী রয়েছেন। আজকের এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, দলের উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি তাপস ব্যানার্জি, দলের রাজ‌্য কমিটির সদস্য কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, জামির হোসেন প্রমুখ সহ আমডাঙ্গা অঞ্চলের আইএসএফ নেতৃত্ব।

বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আইএসএফ রাজ্য কমিটির আবেদন

Wednesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: ডিভিসি সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। তাতে হুগলি ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। জলের তলায় হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির জেরে কানায় কানায় পূর্ণ দামোদর। তার উপর দফায় দফায় জল ছেড়েছে ডিভিসি। অভিযোগ যে ডিভিসি জেলা প্রশাসন, সেচ বিভাগ কাউকেই আগাম সতর্ক করেনি। আজকের এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এটা তো করা উচিত। এই গাফিলতির জন্য রাজ্য সরকারের ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত। এই জল ছাড়ার জন্য হুগলীর পুরশুড়া, তারকেশ্বর, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা ২ নম্বর ব্লক , এমনকি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালেও জল ঢুকেছে। অবিলম্বে সরকারের ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানো দরকার। অভিযোগ উঠেছে, হুগলির কিছু এলাকায় সরকারী ত্রাণের কিছুই নাকি মিলছে না। মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারে ও ত্রাণ সাহায্য পান সেটা সরকারকে দেখার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। এছাড়া আইএসএফ রাজ্য কমিটি বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য আশপাশের এলাকার পার্টি কর্মী-সমর্থকদের আবেদন করছে।

বৈদ্যবাটিতে বিশ্বনবীর আগমনের স্মরনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মিলাদুন্নবী জালসা

Tuesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বিশ্বনবীর আগমনের দিন অর্থাৎ ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মিলাদুন্নবী জালসা অনুষ্ঠিত হলো হুগলির বৈদ্যবাটি চৌমাথা মুসলিম পাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে। বিশাল এক জুলুস আসে বৈদ্যবাটি মাঠপাড়া মসজিদের ইমাম সাহেব সহ ও সকল মহাল্লাবাসী তাদের জন্য যত কিঞ্চিত তাবারকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ও সুন্দর ভাবে বন্টন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে কচিকাঁচা ছেলেমেয়েদের মধ্যে নাতে রাসুল ও কেরাত প্রতিযোগিতা হয়। তাদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারকে বিশেষ পুরস্কার ছাড়াও সকল প্রতিযোগিদের শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়। ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে একটা আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। মসজিদ কমিটির সদস্যগন ও সম্পাদক সায়েম আলি খুব সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠানটি তদারকি করেন। মাগরিব বাদ মিলাদুন্নবী জালসায় বক্তব্য রাখেন অলবেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি ও ফুরফুরা শরীফ এর ভুমিপুত্র আবু আফজাল জিন্না সাহেব। তাঁর বক্তব্যে নবিপাক (সাঃ) এঁর 63 বছরের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বলা বাহুল্য প্রফেট হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা ( সঃ) ছিলেন একজন মহামানব মহাপুরুষ। সারা বিশ্ববাসীর কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন, এক কথায় তাঁর জীবনের আদর্শ, মানবিকতার কথা বক্তব্যে তুলে ধরেন। দেশবাসীর কল্যান কামনা করে দোয়া প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

সোনামুখীতে ব্লক জমিয়তের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

Thursday : সোনামুখীতে ব্লক জমিয়তের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: আজ ১২ ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বোন্দলহাটি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সোনামুখী ব্লক জমিয়তের মিটিং অনুষ্ঠিত হলো। উক্ত মিটিং উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা জমিয়তের সভাপতি শেখ মোজাহারুল ইসলাম সাহেব, ব্লক সভাপতি সৌরভ সাহেব, এলাকার বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামগন এবং প্রতিটি মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন গণ। আজকের মিটিংয়ে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আজকের মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয় ছিল ব্লক কমিটির মজবুতিকরণ, ব্লকের তহবিল বৃদ্ধি। আগামীতে সোনামুখী ব্লকের তত্ত্বাবধানে পুরো বাঁকুড়া জেলা জুড়ে রাজ্য জমিয়তের সভাপতি চৌধুরী সাহেবকে নিয়ে প্রকাশ্য জমিয়তের সভা করার বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। জমিয়তের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাঁকুড়া জেলা সভাপতি প্রতিটি ইমাম সাহেবের কাছে মসজিদে জুম্মার দিনে প্রচার করার আবেদেন করেন এবং ওয়াকফ ২০২৪ সংশোধন বিল সরকার পাস করাতে না পারে তার জন্য আপনার ইমেলের মাধম্যে মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য আবেদন করেন ।

হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে শুরু হল স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা

Wednesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: গণউদ্যোগে গড়ে ওঠা হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে এবার শুরু হল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়া। প্রসঙ্গত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দান করা জমিতে ও সাধারণ মানুষের দানে এবং শ্রমজীবী হাসপাতালের আদর্শে গড়ে ওঠে হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল। তিরিশ শয্যার এই হাসপাতালে গত ১৬ এপ্রিল ২০২৩ থেকে শুরু হয় রুগী ভর্তি। এতোদিন এখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুযোগ ছিল না। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হল এই সুবিধা। প্রথম রুগী ছিলেন স্থানীয় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা ক্ষেতমজুর মনোরঞ্জন রায়। মনোরঞ্জন বাবু প্রস্টেটের সমস্যায় ভুগছেন। আচমকা রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রা কমে যায়। ৯ তারিখ ভর্তি হন হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে। শ্রমজীবী ব্লাড সেন্টারের সহযোগিতায় দেওয়া হয় দু ইউনিট রক্ত। মনোরঞ্জনবাবুর পুত্র বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমরা পরের জমিতে ক্ষেত মজুরের কাজ করি। বাবা মা ও ছয় বনের সংসার, বোনেদের বিয়ে হয়েছে। আমিও খুব কষ্ট করে মাস্টার্স ডিগ্রী করেছি সংস্কৃতে। বি এডও করেছি। চাকরি জোটেনি। ক্ষেত মজুরি করেই সামান্য রোজগার করি। স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়ে খুব উপকৃত হলাম। হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালের সম্পাদক সন্দীপন চ্যাটার্জি বলেন, শ্রমজীবী হাসপাতালের আদর্শে আমরা উদ্বুদ্ধ হয়ে গড়ে তুলেছি হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল। এই হাসপাতালও শ্রমজীবী হাসপাতালের মতোই প্রকৃত খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু যাঁদের প্রকৃত খরচও দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প খুবই সহায়ক হবে। শ্রমজীবী হাসপাতালের সহসম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করে হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামীণ মানুষের নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে উঠে অতি অল্প সময়ে এলাকায় স্বাস্থ্য মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে তা সাধুবাদযোগ্য। এভাবেই শ্রমজীবী ভাবধারা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এবার যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে, তার সুফল অবশ্যই গ্রামীণ মানুষজন পাবেন। শ্রমজীবী হাসপাতালের সম্পাদক ডাক্তার অনিল সাহা বলেন, আমাদের মূল শ্লোগানই হল, আমাদের স্বাস্থ্য আমরাই গড়ব। সেই লক্ষ্যেই শ্রমজীবীর পথচলা। এবার সেই পথ আরও সুগম হবে। হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল নিয়ে উচ্ছসিত রুগীর বাড়ির লোকজনও। প্রতিদিনই নানা বহির্বিভাগ চলে, আসছেন রুগীরা। অনেকে ভর্তি হচ্ছেন অন্তর্বিভাগে। তবে সেবিকা নন্দিনী ভট্টাচার্য বলেন, এই হাসপাতালে যাতায়াতের বন্দোবস্তটি আর একটু উন্নত হলে ভাল হয়। সরকার যদি গণপরিবহনের দিকে একটু নজর দেন তাহলে রুগী ও রুগীর বাড়ির লোকের বড় উপকার হয়।


কলকাতা

বিজেপির রাজ্য ভাগ করার চক্রান্তের কড়া নিন্দা অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টের

Sunday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: সম্প্রতি দিল্লিতে সংসদের দুই কক্ষে বিজেপি সাংসদরা এমন কিছু দাবী তুলেছেন যেগুলি থেকে বাংলাকে আরো একবার ভাগ করার কথা ফুটে উঠছে। এই বক্তব্যগুলি থেকে বিজেপির বিচ্ছিন্নতাবাদী, সাম্প্রদায়িক মনোভাব খুব স্পষ্টভাবে বেরিয়ে আসছে। আসলে পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো করে রাজ্যের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চাইছে বিজেপি। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিজেপির এই বক্তব্যগুলির তীব্র নিন্দা করছে। দল মনে করে রাজ্যগুলিকে ছোট আকারে ভেঙে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকেই আঘাত করা হচ্ছে। জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে বিহারের তিন জেলা ও পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলাকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মধ্যে নিয়ে আসা, গ্রেটার কোচবিহার বলে আলাদা রাজ্য গঠন কিংবা উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে রাজ্যের উত্তরের জেলাগুলিকে যুক্ত করা সবই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে টুকরো টুকরো করার অপপ্রয়াস। রাজ্যগুলিকে ভাষা, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দূর্বল করে এককেন্দ্রীক রাষ্ট্র তৈরি করা আরএসএস বিজেপির পুরোনো ছক। আশ্চর্যের কথা, এই বিষয়ে এই রাজ্যের শাসকদলও নীরব। আসলে রাজ্যভাগের এই চক্রান্তে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস উভয়ের দলেরই সুবিধা। রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি যেমন নদী ভাঙন, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা, শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতি থেকে মানুষের মনকে ঘুরিয়ে রাখা যাবে। ভাগাভাগির গল্পে জনসাধারণকে মাতিয়ে রেখে এইসব অন্যায়গুলি চলতে থাকবে। তাতে একধরণের বাইনারি আরো মজবুত হবে। আসলে উত্তরবঙ্গকে রাজ্য সরকার যেভাবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অবহেলা করে চলেছে, তাতে ঐ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ কার্যত অচল। পাহাড়ের উন্নয়ন স্তব্ধ। সেই ক্ষোভ বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত দিয়ে চলেছে। রাজ্য সরকারকে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত প্রতিটি নাগরিকের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে সচেষ্ট হতে হবে। আমরা চাই মানুষের রুটি রুজির সমস্যার সমাধানের লড়াই, মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্যের অধিকার সুনিশ্চিত করার লড়াই। সুতরাং বিজেপির এই হিন্দুত্বের জিগির তুলে রাজ্য ভাঙার অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। বাংলাকে আরো একবার ভাঙার এই চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।

ফেসবুক এখন মানসিক ভারসাম্য হারানোর নয়া ঠিকানা

Monday : ফেসবুক এখন মানসিক ভারসাম্য হারানোর নয়া ঠিকানা ফেসবুক এখন মানসিক ভারসাম্য হারানোর নয়া ঠিকানা। এখন গর্ব হয় যে বছর কুড়ি পঁচিশ আগে দুনিয়া জুড়ে আমাদের ক্লাস রুম ছিল। স্কুল গৃহশিক্ষকের পর আমাদের থেকে মিনিমাম দশ বছরের কেও বড় হলে আজকের ভাষায় তিনিই আমাদের শিক্ষাক। যেমন স্পিড সাইকেল চালানো থেকে যখন তখন উটকো খেলাধুলা ( স্বাস্থ্যগত নয় এমন খেলাতে নেশাগ্রস্ত ) থেকে বিরত রাখার মূল কারিগর কিন্তু পাড়ার দাদা কাকারা। তখন সামাজিক ও বড়দের মেনে চলার যে মানসিকতা তৈরি হত এখন সেটা ১% আছে কিনা সন্দেহ আছে। এই নয় যে নব্বই দশকের ছেলে মেয়ে মানে সোনার চাঁদ মানিক, তবে এই সামাজিক অবক্ষয় থেকে তারা অনেকটাই আলাদা। এখন ফেসবুক এসে কখন যে আমাদের জীবনকে পন্ডিতের থেকে পন্ডিত বানিয়েছে, শিক্ষিত থেকে শিক্ষক বানিয়ে ফেলেছে আমরা বুঝতেই পারিনি। সব বিষয়ে আমরা জ্ঞানীদের থেকেও বেশী গুরুত্ব সহকারে জ্ঞান বিতরণ করে চলেছি। সে ধর্ম হোক রাজনৈতিক সামাজিক হোক প্রশাসনিক সব বিষয়ে আমাদের পিএইচডি ফেসবুক করে দিয়েছে। রাজনীতির থেকে ধর্মীয় মহাসাগরে যেকোনো বিষয়ে খুঁচিয়ে তোলা থেকে শুরু করে, মহা পন্ডিতের মত জ্ঞান বিতরণ করা আমাদের রোজকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষক পন্ডিত থেকে যুগে যুগে মহান মনীষী বিজ্ঞানীরা ফেসবুকে আমাদের কাছে যেন পিসতুতো মাসতুতো ভাইয়ের সমান। তাঁদের বিরুদ্ধে এক দুটি কপিপেষ্ট গুগল হোক বা ওয়াটসাফ ইউনিভার্সিটি থেকে পেয়ে গেলে আমাদের দাবিয়ে রাখা শক্তি কারোর নেই ( যতক্ষণ না আইডি ব্লক হচ্ছে) তার সাথে আছে সেই মানসিক ভারসাম্যহীন কিছু সাঙ্গপাঙ্গরা, যেকোনো বিষয় চাপিয়ে দিয়ে মা মাসি উদ্ধার করে জ্ঞান বিতরণ করে যাবে। ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় গুলো এখন জলভাত করে ছেড়ে দিয়েছে, কেও কাওকে কিছু বলার নেই। এটাও শিকার করতে দ্বিধা নেই যে যারা পথ দেখাবে তাদের কিছু অংশ এই সমাজে বসবাস করে ইচ্ছাকৃত হোক বাঅনিচ্ছাকৃত তারাও আজ চরম অর্থ রাজনৈতিক অরাজনৈতিক পদমর্যাদার লোভে আকৃষ্ট হয়ে তারাও আজ দিশেহারা। আবু তালহা আব্বাসী হুগলী

নিজের ছেলেকে ‘চুরির দায়ে’ মার খাওয়া মা ফিরে পেলেন সন্তানকে! ভুলতে চান বিরাটির সেই দুঃস্বপ্ন

Wednesday : সাত দিন পর কোলের শিশুকে ফিরে পেলেন বাসন্তী পাণ্ডে। শিশুচোর সন্দেহে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি স্টেশনে গত বুধবার তাঁকে ঘিরে ধরেন সহযাত্রীরা। মারধর করা হয়। তাঁকে তুলে দেওয়া হয় আরপিএফের হাতে। শেষমেশ সামনে আসে শিশুর মা তিনিই। কিন্তু শিশুটিকে চাইল্ড লাইনে পাঠিয়ে দেওয়ায় নানা ঝক্কি পোয়াতে হয়েছে বাসন্তীকে। মঙ্গলবার শিশুকে ফিরে পেলেন বামনগাছির মুরালি এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বুধবার বামনগাছি স্টেশনে দত্তপুকুর থেকে শিয়ালদহগামী একটি লোকাল ট্রেনের লেডিস কম্পার্টমেন্টে উঠেছিলেন বাসন্তী। কোলের শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, সহযাত্রীরা শিশুচোর সন্দেহে ঘেরাও করেন। হেনস্থা করা হয় তাঁকে। খবর যায় আরপিএফের কাছে। বিরাটি স্টেশনে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তখন দুধের শিশুটিকে পাঠানো হয় চাইল্ড লাইনে। যদিও সে দিনই রাতে প্রমাণ হয়ে যায় যে বাচ্চাটি ওই মহিলারই। ছেলেধরা গুজবের মধ্যে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। কিন্তু, চাইল্ড লাইনে কোনও শিশুকে পাঠানো হলে বিভিন্ন আইনি জটিলতা টপকাতে হয়। সপ্তাহ খানেক পর শিশুকে পেয়ে হাসি ফুটেছে বাসন্তীর মুখে। কিন্তু, তিনি আর এ নিয়ে কোনও কথা বলতেই চান না। যেন দুঃস্বপ্ন ভেবে গত সাত দিনের যন্ত্রণাকে ভুলতে চাইছেন। প্রতিবেশীরাও খুশি। এক পড়শির কথায়, ‘‘বাচ্চা তো ওরই। একটু ভোলাভালা আছে মেয়েটি। কিন্তু, শুধু সন্দেহ বলে এক জন মাকে তার শিশুর কাছ থেকে আলাদা করে দেওয়া যায়?’’ পড়শিরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিন শুধু কান্নাকাটি করতে দেখেছেন ওই মহিলাকে। সবাই চেয়েছিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মায়ের কাছে ফিরুক শিশুটি।

রাজ্য

শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না: নওসাদ সিদ্দিকী

Wednesday : শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না: নওসাদ সিদ্দিকী নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না। গণপিটুনিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে সকল পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাচ্ছেন, লক্ষ্য করে দেখবেন প্রত্যেকেই মুসলমান-দলিত-আদিবাসী, পিছড়ে বর্গের মানুষ। তাদের বেশিরভাগই অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত। তারাই টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙা বিডিও কার্যালয় সন্নিকটে এক জনসভায় একথা বলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। আমডাঙা কে এস এইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে এই সভা আয়োজিত হয়। নওসাদ সিদ্দিকী তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ১০ হাজার মাদ্রাসা তৈরির প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল? সেই মাদ্রাসাগুলি তো হলই না। যে ৬১৪টি মাদ্রাসা আছে তার পরিকাঠামোর উন্নতিও সরকার করছে না। সেখানে শূন্যপদ পূরণ করছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নয়ন বলতে শুধু নীল-সাদা রঙ করা নয়। শিক্ষাদানের পরিবেশের উন্নতি, শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত বজায় রাখাকেও বোঝায়। সেটা করতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিনি আরো বলেন, আমরা হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত উন্নত সমাজ চাই। আমরা চাই শিক্ষিত সমাজ। এই সমাজের মানুষকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তারা সহজেই হিংসার শিকার হবে না। সেইজন্য মাদ্রাসা পরিচালন সমিতিতে আইএসএফের প্রতিনিধি থাকলে সুষ্ঠু, দুর্নীতিমুক্ত ভাবে মাদ্রাসার কাজকর্ম চলবে। এই সভায় তিনি আবারও কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে হওয়া চিকিৎসকের ওপর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। আমডাঙা কেএসএইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন আগামী ২২ তারিখ, রবিবার। এই নির্বাচনে আইএসএফের ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। ৫ নম্বরে মোহঃ ফারুক উদ্দিন মণ্ডল, ৬ নম্বরে নূর হোসেন মণ্ডল, ৭ নম্বরে হাবিবুর রহমান আকুঞ্জি, ৮ নম্বরে সাইদুল ইসলাম, ১০ নম্বরে মোহঃ আব্দুল আজিম ও মহিলা সংরক্ষিত ২ নম্বরে সারিকা পারভীন বিবি প্রার্থী রয়েছেন। আজকের এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, দলের উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি তাপস ব্যানার্জি, দলের রাজ‌্য কমিটির সদস্য কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, জামির হোসেন প্রমুখ সহ আমডাঙ্গা অঞ্চলের আইএসএফ নেতৃত্ব।

বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আইএসএফ রাজ্য কমিটির আবেদন

Wednesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: ডিভিসি সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। তাতে হুগলি ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। জলের তলায় হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির জেরে কানায় কানায় পূর্ণ দামোদর। তার উপর দফায় দফায় জল ছেড়েছে ডিভিসি। অভিযোগ যে ডিভিসি জেলা প্রশাসন, সেচ বিভাগ কাউকেই আগাম সতর্ক করেনি। আজকের এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এটা তো করা উচিত। এই গাফিলতির জন্য রাজ্য সরকারের ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত। এই জল ছাড়ার জন্য হুগলীর পুরশুড়া, তারকেশ্বর, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা ২ নম্বর ব্লক , এমনকি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালেও জল ঢুকেছে। অবিলম্বে সরকারের ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানো দরকার। অভিযোগ উঠেছে, হুগলির কিছু এলাকায় সরকারী ত্রাণের কিছুই নাকি মিলছে না। মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারে ও ত্রাণ সাহায্য পান সেটা সরকারকে দেখার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। এছাড়া আইএসএফ রাজ্য কমিটি বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য আশপাশের এলাকার পার্টি কর্মী-সমর্থকদের আবেদন করছে।

বৈদ্যবাটিতে বিশ্বনবীর আগমনের স্মরনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মিলাদুন্নবী জালসা

Tuesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বিশ্বনবীর আগমনের দিন অর্থাৎ ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মিলাদুন্নবী জালসা অনুষ্ঠিত হলো হুগলির বৈদ্যবাটি চৌমাথা মুসলিম পাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে। বিশাল এক জুলুস আসে বৈদ্যবাটি মাঠপাড়া মসজিদের ইমাম সাহেব সহ ও সকল মহাল্লাবাসী তাদের জন্য যত কিঞ্চিত তাবারকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ও সুন্দর ভাবে বন্টন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে কচিকাঁচা ছেলেমেয়েদের মধ্যে নাতে রাসুল ও কেরাত প্রতিযোগিতা হয়। তাদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারকে বিশেষ পুরস্কার ছাড়াও সকল প্রতিযোগিদের শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়। ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে একটা আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। মসজিদ কমিটির সদস্যগন ও সম্পাদক সায়েম আলি খুব সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠানটি তদারকি করেন। মাগরিব বাদ মিলাদুন্নবী জালসায় বক্তব্য রাখেন অলবেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি ও ফুরফুরা শরীফ এর ভুমিপুত্র আবু আফজাল জিন্না সাহেব। তাঁর বক্তব্যে নবিপাক (সাঃ) এঁর 63 বছরের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বলা বাহুল্য প্রফেট হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা ( সঃ) ছিলেন একজন মহামানব মহাপুরুষ। সারা বিশ্ববাসীর কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন, এক কথায় তাঁর জীবনের আদর্শ, মানবিকতার কথা বক্তব্যে তুলে ধরেন। দেশবাসীর কল্যান কামনা করে দোয়া প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

সোনামুখীতে ব্লক জমিয়তের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

Thursday : সোনামুখীতে ব্লক জমিয়তের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: আজ ১২ ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বোন্দলহাটি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সোনামুখী ব্লক জমিয়তের মিটিং অনুষ্ঠিত হলো। উক্ত মিটিং উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা জমিয়তের সভাপতি শেখ মোজাহারুল ইসলাম সাহেব, ব্লক সভাপতি সৌরভ সাহেব, এলাকার বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামগন এবং প্রতিটি মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন গণ। আজকের মিটিংয়ে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আজকের মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয় ছিল ব্লক কমিটির মজবুতিকরণ, ব্লকের তহবিল বৃদ্ধি। আগামীতে সোনামুখী ব্লকের তত্ত্বাবধানে পুরো বাঁকুড়া জেলা জুড়ে রাজ্য জমিয়তের সভাপতি চৌধুরী সাহেবকে নিয়ে প্রকাশ্য জমিয়তের সভা করার বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। জমিয়তের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাঁকুড়া জেলা সভাপতি প্রতিটি ইমাম সাহেবের কাছে মসজিদে জুম্মার দিনে প্রচার করার আবেদেন করেন এবং ওয়াকফ ২০২৪ সংশোধন বিল সরকার পাস করাতে না পারে তার জন্য আপনার ইমেলের মাধম্যে মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য আবেদন করেন ।

হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে শুরু হল স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা

Wednesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: গণউদ্যোগে গড়ে ওঠা হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে এবার শুরু হল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়া। প্রসঙ্গত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দান করা জমিতে ও সাধারণ মানুষের দানে এবং শ্রমজীবী হাসপাতালের আদর্শে গড়ে ওঠে হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল। তিরিশ শয্যার এই হাসপাতালে গত ১৬ এপ্রিল ২০২৩ থেকে শুরু হয় রুগী ভর্তি। এতোদিন এখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুযোগ ছিল না। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হল এই সুবিধা। প্রথম রুগী ছিলেন স্থানীয় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা ক্ষেতমজুর মনোরঞ্জন রায়। মনোরঞ্জন বাবু প্রস্টেটের সমস্যায় ভুগছেন। আচমকা রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রা কমে যায়। ৯ তারিখ ভর্তি হন হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে। শ্রমজীবী ব্লাড সেন্টারের সহযোগিতায় দেওয়া হয় দু ইউনিট রক্ত। মনোরঞ্জনবাবুর পুত্র বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমরা পরের জমিতে ক্ষেত মজুরের কাজ করি। বাবা মা ও ছয় বনের সংসার, বোনেদের বিয়ে হয়েছে। আমিও খুব কষ্ট করে মাস্টার্স ডিগ্রী করেছি সংস্কৃতে। বি এডও করেছি। চাকরি জোটেনি। ক্ষেত মজুরি করেই সামান্য রোজগার করি। স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়ে খুব উপকৃত হলাম। হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালের সম্পাদক সন্দীপন চ্যাটার্জি বলেন, শ্রমজীবী হাসপাতালের আদর্শে আমরা উদ্বুদ্ধ হয়ে গড়ে তুলেছি হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল। এই হাসপাতালও শ্রমজীবী হাসপাতালের মতোই প্রকৃত খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু যাঁদের প্রকৃত খরচও দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প খুবই সহায়ক হবে। শ্রমজীবী হাসপাতালের সহসম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করে হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামীণ মানুষের নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে উঠে অতি অল্প সময়ে এলাকায় স্বাস্থ্য মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে তা সাধুবাদযোগ্য। এভাবেই শ্রমজীবী ভাবধারা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এবার যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে, তার সুফল অবশ্যই গ্রামীণ মানুষজন পাবেন। শ্রমজীবী হাসপাতালের সম্পাদক ডাক্তার অনিল সাহা বলেন, আমাদের মূল শ্লোগানই হল, আমাদের স্বাস্থ্য আমরাই গড়ব। সেই লক্ষ্যেই শ্রমজীবীর পথচলা। এবার সেই পথ আরও সুগম হবে। হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতাল নিয়ে উচ্ছসিত রুগীর বাড়ির লোকজনও। প্রতিদিনই নানা বহির্বিভাগ চলে, আসছেন রুগীরা। অনেকে ভর্তি হচ্ছেন অন্তর্বিভাগে। তবে সেবিকা নন্দিনী ভট্টাচার্য বলেন, এই হাসপাতালে যাতায়াতের বন্দোবস্তটি আর একটু উন্নত হলে ভাল হয়। সরকার যদি গণপরিবহনের দিকে একটু নজর দেন তাহলে রুগী ও রুগীর বাড়ির লোকের বড় উপকার হয়।

দেশ

বিলম্বিত বিচার মানে বিচার না পাওয়া: ড. শামসুল আলম

Tuesday : জনগণের কথা, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: এতদ্বারা সকলকে অবগত করতে চাই যে, আজকে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট আর জি কর ইসুতে যে অন্তর্বতীকালীন রায় দিয়েছে তাতে আমরা খুশী হতে পারছি না। কোর্ট একটা বিষয়ে নির্দেশনামা দিয়েছেন এবং আর একটা বিষয়ে রাজ্যকে এভিডেভিট দিতে বলেছেন। ১. আর জি কর জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে রোগীদের স্বার্থ বিবেচনা করে আগামী কাল বিকেল ৫ টার মধ্যে। না জয়েন করলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমরা এই নির্দেশিকা স্বাগত জানাই। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ বা সাসপেন্ড করার যে দাবি আন্দোলনকারীরা করেছে রাত জেগে, তার কি হল? আমি DBBC র পক্ষে আরো যোগ করতে চাই, সেই ৮-৯ আগস্ট কলকাতার টালা থানার ওসি, ডেপুটি কমিশনার পুলিশ, তদকালীন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তার করার অনেক তথ্য CBI এর হাতে থাকলেও কেন তাদের গ্রেপ্তারে সমস্যা? সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হল দুর্নীতি মামলায়, কিন্তু কেন তাকে FIR বিলম্ব নিয়ে বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ইচ্ছাকৃত বিকৃতি নিয়ে তাকে অভয়ার মর্মান্তিক মামলায় এরেস্ট মেমো ধরানোর নির্দেশিকা কোর্ট দিলেন না? 2. সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সুপ্রীম কোর্ট নিজে থেকে ( Suomoto) আর জি কর মামলা নিজে হাতে নিলেন, অথচ সাম্প্রতিক কালের বিলকিশ বানুকে নৃশংস গনধর্ষণ ও তার পরিবারকে গনহত্যা, কাটুয়ায় ন বছরের শিশুকে মন্দিরে টানা একমাস গনধর্ষণ ও শেষে হত্যা এবং শাসক দলের উকিলদের ধর্ষক খুনীদের পক্ষে মিছিল, উনাওতে বিজেপির বিধায়ক কতৃক দলিত কিশোরী ধর্ষণ ও তিনটি খুন, হাত্রাসে গনধর্ষণ ও ধর্ষিতা নিহত কিশোরীকে পরিবারের সম্মতি ব্যতিরেক পুলিশ কতৃক পুড়িয়ে ফেলা ও ধর্ষকদের জেল থেকে বার করে মালা দেওয়া, মনিপুরে দিবালোকে কুকী মেয়েদের গন ধর্ষণ তান্ডব, দিল্লিতে কুস্তিগীর সংসদের সভাপতি বিজেপি সাংসদ ব্রীজভূষণের কুস্তিগীরদের যৌন নির্যাতন, অতি সন্প্রতি বেনারাসে চার ধর্ষককে জামিন দিয়ে শাসক দল কতৃক তাদের গলায় ফুলের মালা দেওয়া, কনৌজে দুই দলিত কিশোরীকে পিটিয়ে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া, উজ্জয়িনীতে বেলা ১১ টায় ফুটপাতে অজস্র মানুষ ও পুলিশের সামনে দলিত মেয়েকে ধর্ষণ, চার বছর আগে মহারাষ্ট্রে পায়েল নামক আদিবাসী ডাক্তারকে হত্যা করা, সর্বোপরি,মালদার আফ্রাজুলকে রাজস্থানে পুড়িয়ে মারা, গত সপ্তাহে হরিয়ানায় ফরিদাবাদে বাসন্তীর তরতাজা পরিযায়ী শ্রমিককে গোমাংস খাওয়ার মিথ্যা অজুহাতে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারা এবং গত পরশু রাজস্থানে মালদার পরিযায়ী শ্রনিক রোস্তমকে পিটিয়ে মেরে ফেলা -- এসব হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এসবের কোনটি সুপ্রীম কোর্টের চোখে suomoto স্থান কেন এতোদিন পেল না? আর জি কর মামলা নেওয়া প্রশংশনীয় কাজ,, কিন্তু আমাদের প্রশ্ন : কেন বেছে বেছে আর জি করকে নিয়ে বাকিগুলোর একটিকেও নেওয়া হল না? এটা কি বিচারের নিরপেক্ষতা? নাকি বিচারের নামে কেন্দ্রীয় শাসক শ্রেণীকে তুষ্ট করা ও বিরলতম ধর্ষণ -খুনকে কতিপয় বিরোধী দল বা দলগুলির ঘোলা জলে মাছ ধরার সুযোগ করে দেওয়া? 3. সবশেষে মনে করিয়ে দিই, সুপ্রীম কোর্টকে justice delayed is justice denied... বিলম্বিত বিচার মানে বিচার না পাওয়া। শুধু আর জি কর নয়, উল্লেখিত সব কটি ক্ষেত্রে এটা সত্যি, যাদের পরিবারের সদস্যরা বিনিদ্র রজনী যাপন করে চলেছেন শুধু এক বিন্দু ন্যায় বিচারের আশায়। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত, স্বয়ং আদালত রাজনীতিকরণের গাড্ডায় আর লাল ফিতের বাধনে আটকে পড়ে আছে। সবচেয়ে বেশি অবহেলার বলি হচ্ছে ছাপোষা বহুজন সমাজের পরিবারগুলি যাদের জন্য বিচার নীরবে নিভৃতে কাদে। যাদের পাশে নেই মিডিয়া, অর্থ আর খুটির জোর। হায় স্বাধীন ভারত, হায় আজাদী, হায় বিচার। "We want Justice" এর দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মিছিলের ৮ বছরর শিশুটি একদিন জানতে পারবে বিচার নামক প্রহসনের ইতিবৃত্তান্ত। জানতে পারবে, বিচার কিনে নেয় এ দেশে ধনিক বনিক আর উচ্চবর্ণীয় উচু তলার গুটিকয়েক মানুষ। লিখেছেন ড. শামসুল আলম সভাপতি, দেশ বাচাও বাংলা কমিটি

আর জি কর কাণ্ডের ন্যায়বিচার ও আদিবাসী তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদার খুনিদের শাস্তির দাবিতে মহানগরে বিশাল মিছিল

Saturday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: তিন সপ্তাহ গড়িয়ে গেল। ন্যায়বিচার এখনও অধরা। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের ভেতর গভীর রাতে যে চিকিৎসক-ছাত্রী নৃশংসভাবে ধর্ষিত ও খুন হয়েছেন তার তদন্ত চলছেই। কিন্তু মাঠে-ময়দানে-রাস্তায় আন্দোলন, বিক্ষোভের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করলেও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের এক স্বর জাস্টিস ফর আর জি কর। সেই ন্যায়বিচারের জন্য আজ মহানগরী কলকাতায় সুবিশাল প্রতিবাদ মিছিলে পথ হাঁটলেন কয়েক হাজার মানুষ। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে গ্রামবাংলা থেকে মানুষের ঢল নেমেছিল শিয়ালদা চত্বরে। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির মফস্বল শহর থেকে প্রচুর মানুষও। ছিলেন অসংখ্য মহিলাও। হঠাৎ ধেয়ে আসা ক্ষণিকের বৃষ্টিও হার মেনেছে। মানুষগুলি পথ হেঁটেছেন। গন্তব্য শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়। আর জি কর কাণ্ডের ন্যায়বিচার ছাড়াও মিছিল থেকে আদিবাসী তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদার খুনেরও বিচার চাওয়া হয়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অরাজকতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবী ওঠে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিশাল এই মিছিলটি শ্যামবাজার পাঁচমাথার কাছে এলে পুলিশ গতিরোধ করে। শ্লোগানে, শ্লোগানে উদ্বেলিত এই মিছিল পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কিছুটা এগিয়েও যায়। এখানেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তিন সপ্তাহ কেটে যাবার পরেও এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের কোন কিনারা না হওয়াকে তিনি তীব্র সমালোচনা করেন। রাজ্য সরকার অপরাধীদের আড়াল করছেও বলে তাঁর অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর ধর্ষণের শাস্তির প্রশ্নে নতুন আইন নিয়ে আসার ঘোষণাকে তিনি রাজনৈতিক চমক বলে অভিহিত করেন। মানুষের তীব্র ক্ষোভ থেকে বাঁচতে তিনি এই কথা বলছেন। ধর্ষণের শাস্তি তো দেশে চালুই আছে, আবার নতুন করে আইনের কি আছে? তৃণমূল কংগ্রেসের পোষা গুণ্ডা, মস্তান দিয়ে এই গণজাগরণকে যদি রুখতে যান মুখ্যমন্ত্রী, তার ফল ভালো হবে না বলে আইএসএফ চেয়ারম্যান হুঁশিয়ারি দেন। পাশাপাশি সিবিআই-এর শম্বুক গতিতে চলা তদন্তেরও কড়া সমালোচনা করেন নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমরা তাদের তদন্তের গতি প্রকৃতির দিকে নজর রাখছি। কয়েকদিন পরেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই হাজিরা দেবে। প্রয়োজনে প্রতিবাদ মিছিলের অভিমুখ সিবিআই দপ্তরের দিকেও ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরে, নওসাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে রাজ্য কমিটির একটি প্রতিনিধিদল আর জি কর হাসপাতালের গেট পর্যন্ত যায়। কিন্তু পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে ঢুকতে না দিলে, ধর্মঘটী চিকিৎসকদের কয়েকজন গেটের বাইরে এসে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আইএসএফ ধর্মঘটী চিকিৎসকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। আজ মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন নওসাদ সিদ্দিকী ছাড়াও দলের রাজ্য কমিটির কার্যকারী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক, রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি ছাড়াও রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষে সাহাবুদ্দিন গাজী, তাপস ব্যানার্জি, আবদুল মালেক মোল্লা, লক্ষীকান্ত হাঁসদা, কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, সাওন দাস, জুবি সাহা প্রমুখ।

ওয়াকফ ওয়াকফ বোর্ড সংশোধন বিল" নিয়ে বিহারের মুসলিম নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তেজস্বী যাদব

Friday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে:মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা শ্রী তেজস্বী যাদব জি "ওয়াকফ বোর্ড সংশোধন বিল" সিরিজে মুখতালিফ মুসলিম তানজিমন এর কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাত করেন এবং ওয়াজ ও তফসিল-যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন। Tejashwi Yadav জি বলেছেন যে আমাদের দল এবং জাতীয় সভাপতি শ্রদ্ধেয় Lalu Prasad Yadav জি শুরু থেকেই বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে প্রতিটি বিষয়ে এবং কোন ধর্মীয় বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সংবেদনশীল। এই সংশোধনগুলি শুধু মুসলমানদের উপর প্রভাব ফেলবে না বরং অন্যান্য ধর্মের ধর্ম, ধর্ম ও সম্পত্তি আদেশ এবং একটি ভুল চেহারা স্থায়ী হবে। তেজস্বী যাদব বলেছেন যে আমাদের দল দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ত্যানা ভেঙ্গে ধর্মীয় উন্মত্ততা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মোদি-নিতিশ এনডিএ-র এই অসাংবিধানিক, অপ্রয়োজনীয় প্রস্তাবিত সংশোধন বিলের তীব্র বিরোধিতা করে। তেজস্বী যাদব তার আগত প্রতিনিধি দলকে সান্ত্বনা দিয়েছেন যে আমরা তার সাথে আছি এবং কোন মূল্যে সংসদ পাস হতে দেব না এবং সব ফোরামে এই লড়াই লড়বো। আফসোস বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এই বিলের সমর্থনে আছেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের খবরাখবর নিতে হাসপাতালে

Tuesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহত হয়ে যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত আছেন, এমন সকল রোগীর মাঝে আজ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাইখ আহমাদুল্লাহ, মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, সমন্বয়ক সারজিস আলম সহ আরো অনেকে। উল্লেখ্য, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের মাঝে ৫ কোটি টাকার চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান আছে। প্রয়োজনে এই ফান্ড আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আছে। সকল আহত ভাইবোন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন—আমরা সেই দোয়া করি।

প্রখ্যাত বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী সংবর্ধিত হয়েছিলেন বর্ধমান টাউন হলে

Saturday : প্রখ্যাত বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী সংবর্ধিত হয়েছিলেন বর্ধমান টাউন হলে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই ফেব্রুয়ারি বুধবার বৈকাল তিন ঘটিকায় বর্ধমান টাউন হলে সংবর্ধিত হয়েছিলেন প্রখ্যাত বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী মহাশয়। ঐদিন ই বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে সকাল এগারোটায় বাম ৭০ মাইল ,বাইপাসের ধারে (বর্তমানে উল্লাস উপনগরী) একটি মাদ্রাসা ও মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। উক্ত মাদ্রাসার নামকরণ ছিল "মাদ্রাসা কাঞ্জুল উলুম "অর্থাৎ জ্ঞানালয় বা উচ্চশিক্ষালয় যা আদতে বিশ্ববিদ্যালয়) মাদানী সাহেব ভুল ধরিয়ে দিলেন তিনি জানালেন এটি একটি সাধারণ মাদ্রাসা অর্থাৎ বিদ্যালয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না, এই কথা শুনে এলাকাবাসী ও জমিদাতা আনোয়ারা খাতুন ও আসগরি খাতুন নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। মাদানী সাহেব মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর ও মাদ্রাসার নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী মোঃ হোসেনের পত্নী জমি দাতা আসগরি খাতুনের অনুমতি ক্রমে মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বীর সৈনিক হযরত সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানী র স্মৃতির উদ্দেশ্যে নামকরণ করা হয় "বাম মাদ্রাসা হুসেনিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া"। এবং মসজিদের নামকরণ করা হয় মাদানী মসজিদ। বৈকাল তিন ঘটিকায় মাদানী সাহেবের গাড়ির কন ভয়ে ১০০ মোটরসাইকেল নিয়ে বর্ধমানের যুব বৃন্দ টাউন হল ময়দান ও হলে প্রবেশ করেন। কোনায় কোনায় লোকে লোকারণ্য তিল ধারণের জায়গা নাই , হল ছাপিয়ে গোটা মাঠে মানুষের মাথা গিজগিজ করছে । নির্দিষ্ট সময়ে সভা শুরু হয়, সংবর্ধিত হয়ে তিনি বক্তব্য রাখতে ওঠেন। বক্তব্যে উঠে আসে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পিছনে আলেমদের ও সাধারণ মুসলমানদের অবদানের কথা, রেশমি রুমাল অর্থাৎ রেশমপত্র যা ১৯১৩ থেকে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দেওবন্দী নেতাদের কর্তৃক সুসংগঠিত আন্দোলনের কথা, জমিয়ত উলেমা ই হিন্দ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ২৩ শে নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় যা একটি সর্বভারতীয় উলেমাদের পরিষদ এবং তাদের দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে লড়াইয়ের ইতিহাস, তুলে ধরেন দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয় যার নাম দারুল উলুম দেওবন্দ ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে মে উত্তরপ্রদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় শিক্ষা এবং দেশের স্বাধীনতা ত্বরান্বিত ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সৈনিক তৈরীর উদ্দেশ্যের কথা, উঠে আসে মাল্টার বন্দি- মুসলমান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা। সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী (সাইখুল হাদিস অর্থাৎ হাদিস শাস্ত্রে গভীর জ্ঞান এবং আমিরুল হিন্দ অর্থাৎ হিন্দুস্তানের নেতা) জন্ম ২ ই এপ্রিল ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে, অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদে, মৃত্যু ৬ ই ফেব্রুয়ারি ২০০৬ দিল্লি অ্যাপেলো হসপিটাল। সমাধি উত্তর প্রদেশ দেওবন্দে। পিতা - সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানী- বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ইসলামিক পন্ডিত , ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত করেন এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তার সম্মানে ডাক টিকিট বের করেন,(জন্ম ৬ ই ডিসেম্বর ১৮৭৯ মৃত্যু- ৫ ই ডিসেম্বর ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ। পুত্র - সাইয়্যেদ মাহমুদ মাদানী, ভাই- সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী। সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী ১৯৭৪ থেকে ১৯৮০, এবং ৮০ থেকে ৮৬ এবং ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্য সভার সম্মানীয় সদস্য ছিলেন। রাজনীতি - ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। একদিকে ছিলেন রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় নেতা , ইসলামিক চিন্তাবিদ,শিক্ষাবিদ- অধ্যাপক এবং সুসংগঠক, ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে স্নাতকোত্তর -দারুল উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে । ১২ বছর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন, তারপর দীর্ঘদিন মদিনায় শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক কারণে বসবাস করেন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে জমিয়ত উলামা ই হিন্দ উত্তর প্রদেশের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট সর্বভারতীয় সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ১১ ই আগস্ট সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ৩২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিবেশী পূর্ব পাকিস্তানের অধুনা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন, সারাদেশে উদ্বাস্তুদের ত্রাণ শিবিরে পর্যাপ্ত খাদ্য বন্টন করতেন, পঞ্চাশ হাজার ভারতীয় মুসলিম ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে দিল্লিতে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছিলেন, ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম পূর্ব পাকিস্তান গিয়েছিলেন তারপর ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ সফর করেছেন ২০০৫ পর্যন্ত। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী সাহেবকে বাংলাদেশ সরকার মরণোত্তর "বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মৈত্রী সম্মাননায়" ভূষিত করেন। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ২৩ ও ২৪ শ এপ্রিল সাইয়্যেদ আসআদ মাদানীর সম্মানে নয়া দিল্লিতে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছিল, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী সাহেবের সংসদীয় বক্তৃতা প্রকাশ করেছিলেন। তথ্যসূত্র- সেখ মনোয়ার হোসেন ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে ১৬ ই ফেব্রুয়ারি দুটি অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন এবং ভাই সাইয়্যেদ আরসাদ মাদানী ও পুত্র সাইয়্যেদ মাহমুদ মাদানী সাহেবের সঙ্গে আলাপচারিতায় তথ্য সংগ্রহ। কিছু তথ্য গুগল থেকে সংগ্রহ। চিত্র গুগল থেকে সংগ্রহ । লিখেছেন ঐতিহাসিক, শিক্ষা দরদী সেখ মনোয়ার হোসেন, বর্ধমান। ১৭/৮/২৪ ।

বিশ্ব

চীনের ২০টি শহরে চলছে চালকবিহীন গাড়ি

Tuesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: অ্যাপে চাইতেই হাজির গাড়ি, স্ক্যান করলেই খুলে যাচ্ছে দরজা। গন্তব্য সিলেক্ট করলেই চলতে শুরু করবে। ড্রাইভিং সিটে নেই কোনও চালক। কিন্তু গাড়ি ছুটে চলছে একদম ঠিকঠাক। যানবাহন প্রযুক্তিতে অন্যতম আবিষ্কার এই চালকবিহীন গাড়ি। অর্থাৎ গাড়ি চলবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কোন জায়গায় যেতে চান তার নির্দেশনা দিলে গাড়ি নিজে থেকেই পৌঁছে দেবে গন্তব্যে। চালকবিহীন গাড়ি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে গাড়িপ্রেমীদের মধ্যে। ড্রাইভার ছাড়া গাড়ির চলাচলের বিষয়টি নিয়ে শুরুতে সংশয় থাকলেও কয়েকদিন চলার পর তা সবার মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন প্রযুক্তির এই নতুন আবিষ্কারে। ২০২৬ সালের মধ্যে চীনের বিভিন্ন রাস্তায় স্মার্ট গাড়ি চলবে, এমন লক্ষ্য নিয়ে দেশটির ২০টি শহরে শুরু হয়েছে চালকবিহীন ট্যাক্সির পরীক্ষামূলক চলাচল। চালকবিহীন গাড়ির প্রচার বাড়াতে , চীনজুড়েই এ গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়াতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। শুরুর দিকে চীনের উহানে চলছে "অ্যাপোলো গো" চালকবিহীন ট্যাক্সি। প্রথমেই ৫০০টি গাড়ি চলাচল করছে এই শহরে। বিশাল জনসংখ্যার এই শহরে এই পরীক্ষামূলক ভাবে চালিয়ে নিশ্চিত করা করা হচ্ছে এই ধরনের গাড়ির নির্বিঘ্ন চলাচল। এ ধরনের আরও এক হাজার গাড়ি চলতি বছরের শেষ নাগাদ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় চলবে বলে জানিয়েছেন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাইতু। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ যেমন- ইউটার্ন, ছোট ছোট যানবাহনকে সিগ্ন্যাল দিয়ে নির্বিঘ্নে চলছে চালকবিহীন এসব গাড়ি। এতে করে স্বাচ্ছন্দে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন যাত্রীরা। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমি দেখছি শহরের রাস্তায় চালকবিহীন গাড়ি চলতে। অনেকের কাছে শুনেছি এই গাড়িগুলো নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। এর চারপাশেই ক্যামেরা আছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তা এবং এই ধরনের গাড়ি ব্যবহার বাড়াতে আরও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। অর্থনৈতিক গবেষক চাও সিয়া বলেন, " চালকবিহীন গাড়ি এবং এই ধরনের গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তার যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে সেটার খরচ প্রতি কিলোমিটারে ২০ লাখ ইউয়ান খরচ হবে। সম্প্রতি উচ্চমানের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে জোর দিয়েছে চীন সরকার। চলতি মাসের শুরুতে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে চালকবিহীন গাড়ি উদীয়মান গাড়িশিল্পের ওপর জোর দেন। বিশ্বে প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির পর্দা নামায় চীনা প্রতিষ্ঠান ইউসি টেকনোলজি। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বিশ্ব বাজারে আনে নতুনত্ব। শুধু সড়ক, মহাসড়কে নয়, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ নানা জায়গায় ব্যবহারউপযোগী গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করছে চীনের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। নাহার/ফয়সল তথ্য ও ছবি- সিসিটিভি

খেলা

রাজনীতি

শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না: নওসাদ সিদ্দিকী

Wednesday : শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না: নওসাদ সিদ্দিকী নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: শিক্ষিত না হলে অধিকার ছিনিয়ে আনা যায় না। গণপিটুনিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে সকল পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাচ্ছেন, লক্ষ্য করে দেখবেন প্রত্যেকেই মুসলমান-দলিত-আদিবাসী, পিছড়ে বর্গের মানুষ। তাদের বেশিরভাগই অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত। তারাই টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙা বিডিও কার্যালয় সন্নিকটে এক জনসভায় একথা বলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। আমডাঙা কে এস এইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে এই সভা আয়োজিত হয়। নওসাদ সিদ্দিকী তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ১০ হাজার মাদ্রাসা তৈরির প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল? সেই মাদ্রাসাগুলি তো হলই না। যে ৬১৪টি মাদ্রাসা আছে তার পরিকাঠামোর উন্নতিও সরকার করছে না। সেখানে শূন্যপদ পূরণ করছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নয়ন বলতে শুধু নীল-সাদা রঙ করা নয়। শিক্ষাদানের পরিবেশের উন্নতি, শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত বজায় রাখাকেও বোঝায়। সেটা করতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিনি আরো বলেন, আমরা হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত উন্নত সমাজ চাই। আমরা চাই শিক্ষিত সমাজ। এই সমাজের মানুষকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তারা সহজেই হিংসার শিকার হবে না। সেইজন্য মাদ্রাসা পরিচালন সমিতিতে আইএসএফের প্রতিনিধি থাকলে সুষ্ঠু, দুর্নীতিমুক্ত ভাবে মাদ্রাসার কাজকর্ম চলবে। এই সভায় তিনি আবারও কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে হওয়া চিকিৎসকের ওপর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। আমডাঙা কেএসএইচ রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন আগামী ২২ তারিখ, রবিবার। এই নির্বাচনে আইএসএফের ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। ৫ নম্বরে মোহঃ ফারুক উদ্দিন মণ্ডল, ৬ নম্বরে নূর হোসেন মণ্ডল, ৭ নম্বরে হাবিবুর রহমান আকুঞ্জি, ৮ নম্বরে সাইদুল ইসলাম, ১০ নম্বরে মোহঃ আব্দুল আজিম ও মহিলা সংরক্ষিত ২ নম্বরে সারিকা পারভীন বিবি প্রার্থী রয়েছেন। আজকের এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, দলের উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি তাপস ব্যানার্জি, দলের রাজ‌্য কমিটির সদস্য কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, জামির হোসেন প্রমুখ সহ আমডাঙ্গা অঞ্চলের আইএসএফ নেতৃত্ব।

হরিয়ানায় গো-রক্ষক সমিতির লোকেদের হাতে নিহত সাবির মল্লিকের বাড়িতে আজ আইএসএফ চেয়ারম্যান

Tuesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: গোরুর মাংস খাওয়ার অজুহাতে হরিয়ানায় গো-রক্ষক সমিতির লোকেদের হাতে নিহত সাবির মল্লিকের বাড়িতে আজ আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে নওসাদ সিদ্দিকী রাজ্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সব বিষয়েই তো মন্তব্য করেন। কিন্তু কয়েকদিন কেটে গেলেও এই গরিব মুসলমান যুবকটির জন্য তিনি কোন সমবেদনা জ্ঞাপন করেননি। তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে শুনছি। কিন্তু টাকাটা কে দিলেন, সেটা পরিষ্কার নয়। বোঝা যাচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। সরকারের শ্রম দপ্তর হাত গুটিয়ে বসে আছে কেন? তিনি বলেন, আইএসএফের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় তিনি নিজে আওয়াজ তুলেছিলেন বলে পরিযায়ী শ্রমিকদের আলাদা বোর্ড তৈরি হল। সেই বোর্ডের ভূমিকা কি? বোর্ড তার ভূমিকা পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে তিনি মন্তব্য করেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কোন প্রতিনিধিদল হরিয়ানায় গেল না? নওসাদ সিদ্দিকী প্রশ্ন তোলেন। পরিবারের কাউকে চাকরির দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই চাকরিটা স্থায়ী না চুক্তিভিত্তিক সেটা খোলসা করে বলা দরকার। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, হরিয়ানায় গো মাংস নিষিদ্ধ। মুসলমান বাস করেন মাত্র পাঁচ শতাংশ। সেখানে গোরুর মাংস কোথায় পাওয়া যায়? সেই মাংস খাওয়ার মিথ্যা অজুহাতে এই তরতাজা যুবকটিকে মেরে ফেলা হল। নওসাদ সিদ্দিকী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, মুসলমানদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকবেন অথচ তাদের বিপদের সময় পাশে থাকবেন না। এই ভণ্ডামি বন্ধ করুন। রাজ্য বিজেপিকেও তিনি এক হাত নিয়ে বলেন, বিভেদকামী রাজনীতি এই বাংলার মাটিতে করা থেকে বিরত থাকুন। তৃণমূল ও বিজেপির বাইনারি রাজনীতি আজ ধরে ফেলেছে মানুষ। রাস্তায় আজ লক্ষ, লক্ষ মানুষ নেমে এসেছেন। এই ভণ্ডামির রাজনীতি শেষ করতে হবে। নওসাদ সিদ্দিকী আরো বলেছেন, নিহত সাবির মল্লিকের একটি দুই বছর বয়সের শিশু কন্যা রয়েছে। পরবর্তী কালে এই পরিবার চাইলে এই শিশুর যাবতীয় পড়াশোনার খরচ আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকী বহন করবেন বলে ঐ পরিবারকে জানানো হয়েছে।

আরজি কর হাসপাতাল কান্ড নিয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বারাসাতে মিছিল করলো আইএসএফ

Tuesday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ছাত্রীর নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বিকেলে বারাসাতে আইএসএফ একটি বিশাল মিছিল বের করে। এই হত্যাকাণ্ডের সুবিচার চেয়ে মিছিলে আওয়াজ ওঠে। পাশাপাশি ঐ হাসপাতালের সিন্ডিকেট রাজ বন্ধ করার লড়াইয়েরও ডাক দেওয়া হয়। এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে যাঁর উপর এই ঘটনা ঘটলো, তিনি এই হাসপাতালের সিন্ডিকেট রাজ ও দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই মিছিল থেকে এই সিন্ডিকেট রাজ খতম ও বিনামূল্যে সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবিও ওঠে। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধেও শ্লোগান ওঠে। মিছিল থেকে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে পুলিশ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। বিশাল এই মিছিলটি বারাসাতের বারাসাত কাছারি ময়দান থেকে শুরু হয়ে ডাকবাংলো মোড় ঘুরে কলোনি মোড় হেলাবটতলায় মিছিল শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত দুই সদস্য জুবি সাহা ও সায়ন দাস। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন আইএসএফের রাজ‌্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, দলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি তাপস ব্যানার্জি প্রমুখ।

নান্দুরে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন নওসাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আইএসএফের এক প্রতিনিধি দল

Saturday : নিউজ ডেস্ক, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে যখন আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষিতা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে সারা রাজ্য উত্তাল, প্রায় সেই সময়ে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে (নির্ভয়া নাম পরিবর্তন) এক ২২ বছরের আদিবাসী তরুণী তাঁর বাড়ির পাশে খুন হয়ে গেলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁকেও ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আশ্চর্যের কথা এই ঘটনার পর তিন দিন হয়ে গেল, পুলিশ এখনও কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অথচ পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি SIT গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এটা আবার সেই পুরোনো চাল। SIT গঠন করে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অপপ্রয়াস। আমাদের মনে আছে আনিস খানের খুনের ঘটনা। পনেরো দিনের খুনের কিনারা করার প্রতিশ্রুতি এখন বাতাসে মিলিয়ে গেছে। আজ নান্দুরে গিয়েছিলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি দেখা করেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে। আদিবাসী অধ্যুষিত ঐ গ্রাম। বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আতঙ্কিত। শান্ত এই গ্রামের চেহারা পালটে গেছে। এই আদিবাসী তরুণী বাঙ্গালোরে কাজ করতেন। আবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়াশোনাও করতেন। গত ১২ তারিখে বাড়িতে ফিরেছিলেন। নওসাদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, যেভাবে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সেটাও সন্দেহজনক। কোন ধর্মীয় রীতি না মেনে পুলিশ চাপ দিয়ে এই শেষকৃত্য করিয়েছে। আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত। গ্রামকে আতঙ্কমুক্ত করতে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড যেখানে ঘটেছে সেটাও সঠিকভাবে রক্ষা করা হয়নি। এই থেকে পুলিশের গা ছাড়া ভাব স্পষ্ট। তারা ঢিমেতালে কাজ করছে। আমরা এই নৃশংস ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল তিলোত্তমার হত্যার জন্য ফাঁসি চেয়ে পথ হেটেছেন। একইভাবে আশা করি এই আদিবাসী তরুণীর হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পথ হাঁটবেন। পাশাপাশি, যেভাবে আদিবাসী সমাজকে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কোনঠাসা করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাদের প্রতি অত্যাচার-অবিচার বাড়ছে, তাকে রোধ করতে আইএসএফ ২০১৪ সালের সংসদে পেশ হওয়া ভার্জিনিয়াস খাখা কমিটির সুপারিশগুলির বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান মহাম্মদ ইউনুসের ভারত যোগ প্রকাশ্যে

Thursday : মনোয়ার হোসেইন, লেটেস্ট বেঙ্গল টুডে: বর্ধমান শহরে তেতুলতলা বাজারের লস্কর দিঘি মহল্লাতে সাজো সাজো রব, সাধারণ মানুষ সাংবাদিক ভিড় জমিয়েছেন মহাম্মদ হোসেনের বাড়িতে, পুত্র আস্তাক হোসেন ওরফে বাবু জানালেন যে তার দুলাভাই অর্থাৎ জামাইবাবু মহাম্মদ ইউনুস সাহেব পড়শি দেশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে যোগদান করেছেন। মহাম্মদ ইউনুস 28 জুন ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতের চট্টগ্রাম হাটহাজারীর বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হাজি দুলামিয়া মাতা সুফিয়া খাতুন। নয় ভাই বোনের তৃতীয় সন্তান। বাংলাদেশের সামাজিক উদ্যোক্তা ,অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ তিনি ই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হলেন ৮ ই আগস্ট ২০২৪। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্র বিত্ত ধারণার প্রবর্তনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেছিলেন । বর্তমান বয়স ৮৪ বছর। বিশ্ব ইতিহাসে মাত্র ১২ জন এক সঙ্গে নোবেল, আমেরিকান প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড ও মার্কিন কংগ্রেসানাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তাদের অন্যতম মহাম্মদ ইউনুস, সেদিক থেকে বিচার করলে তিনি এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানীয় বিশ্ব পথিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি। মেট্রিকুলেশনের ১৬ তম স্থান পেয়েছে । স্বাধীনতা বিষয় পুরস্কার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার ১৯৯৪, আন্তর্জাতিক গান্ধী পুরস্কার ২০০০, নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৬, ভলভো পরিবেশ পুরস্কার ২০০৩, যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম ২০০৯, কংগ্রেসনাল গোল্ড মডেল ২০১০। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকাতে ফুল স্কলারশিপে গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি নাগরিক কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকাতে সমর্থন সংগ্রহ অংশগ্রহণ করে হইচই ফেলে দেন এবং স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করেন। ১৯৭৫ থেকে ৮৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন ১৯১২ থেকে ১৯১৮ স্কটল্যান্ড এর গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলার ছিলেন। ১৯ ৯৬ খ্রিস্টাব্দে সাবেক বিচারপতি মোঃ হাবিবুল্লাহ রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা দায়িত্ব ইতিমধ্যে পালন করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ভেরা ফরোস্টোনকোর নামের এক রাশিয়ান কন্যাকে আমেরিকায় পড়াশোনার সুবাদে পরিচিতি ও বিবাহ ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে একটি কন্যা সন্তান মনিকা ইউনুস জন্মগ্রহণের তিন মাস পরই ডিভোর্স হয়ে যায়। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে মহাম্মদ ইউনুস দ্বিতীয়বার আফরোজি বেগমকে বিবাহ করেন তখন আফরোজি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিদ্যা নিয়ে পিএইচডি করছেন তখন পরিচয় ও বিবাহ পরবর্তীকালে জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে একটি কন্যা সন্তান গ্রহণ করেন যার নাম দেনা আফরোজ ইউনুস। আফরোজী বেগমের অর্থাৎ মহাম্মদ ইউনুসের শ্বশুরবাড়ি বর্ধনের তেঁতুলতলা বাজারের লস্কর দিঘিতে। শশুরের নাম মোঃ হোসেন শাশুড়ি মা সিতারা বেগম। তৎকালীন যুগে মোঃ হোসেন ছিলেন বর্ধমান আদালতের স্কোর যিনি ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে মেট্রিকুলেশনে প্রথম বিভাগে পাশ করে নজর পেরেছিলেন ব্রিটিশ এবং বর্ধমান বাসির। মোঃ হোসেনের ১০ সন্তান সকলকেই মানুষের মতন মানুষ করেছিলেন। প্রথম সন্তান আনিসুল হোসেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান বাস্তুকার ও বোর্ড মেম্বার । দ্বিতীয় সন্তান আলতাফ হোসেন ইউএসএ নিউইয়র্কের সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিক, তৃতীয় সন্তান আশফাক হোসেন বাবু বর্ধমানে মা সিতারা বেগমকে নিয়ে নিজের সুপার মার্কেট পরিচালনা করেন, চতুর্থ সন্তান ফিরজি বেগম বাংলাদেশের একটি কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপিকা, পঞ্চম সন্তান চিকিৎসক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, ষষ্ঠ সন্তান আফরোজি বেগম ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা যিনি মোঃ ইউনুসের সহধর্মিনী, সপ্তম সন্তান ফেরদৌসী বেগম লন্ডনে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, অষ্টম নবম দশম তিন মেধাবী সন্তান অকালে মারা গেছেন। ইউনুস সাহেবের স্ত্রী অর্থাৎ আফরোজী বেগম বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে স্নাতক তারপর বড় ভাই আনিসুল হকের কাছে চলে যান এবং সেখান থেকেই পদার্থবিদ্যায় গবেষণা ও পিএইচডি করতে লন্ডন পাড়ি দেন। মোঃ ইউনুস ও আফরোজি বেগম ১৯৮৬ ৮৭ খ্রিস্টাব্দে ৩৭ বছর আগে শেষবার বর্ধমান এসেছিলেন দিল্লি থেকে ফেরার পথে একদিনের জন্য বর্ধমান ছিলেন। বর্ধমানের জনগণ আনন্দে আত্মহারা তাদের ঘরের জামাই পরশি দেশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নিযুক্ত হওয়ায়।

লাইফস্টাইল




Follow us on                  

About Us
Latest Bengal Today, a pioneering digital platform, is revolutionizing the way citizens access news, information, and services.
Contact Us
Address : Kolkata, Kolkata
Call : +91 75518 47049
WhatsApp : +91 75518 47049
Email : info@latestbengaltoday
Important Link
  • Disclaimer
  • Privacy Policy

  • Total Visitor : 21829